নমস্কার বন্ধুরা,
কচিকলা একাডেমির পুজো দেখার পর হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম কলেজ পাড়ার দিকটায় যেখানে মূলত একটিই ক্লাব রয়েছে। যাদের পুজো দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ এই পুজো মণ্ডপে পাঁচটা দিন ভিড় করে থাকেন। আর এ বছরেও যে তার ভিন্নতা হয়নি সেটা পুজো মন্ডপের পৌছানোর কিলোমিটার খানেক আগে থেকেই টের পেয়ে গেলাম। আসলে এই পুজো কমিটি প্রতিবছরই তাদের পুজোতে এমন চমক রাখে যে স্বাভাবিকভাবেই দর্শনার্থীরা প্রচুর পরিমানে ভিড় জমান। ক্লাবটির নাম, অভিযাত্রী ক্লাব। তাদের এবারের থিম, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আসলে অভিযাত্রী ক্লাব এ বছরে সর্বধর্ম সমন্বয়ের এক ভাবনা আমাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।
কচিকলা একাডেমি থেকে যখন হেঁটে অভিযাত্রীর পুজো মন্ডপের সামনে পৌছালাম তখন চারিদিকে শুধু মানুষের ভীড়ে ভরে গেছে। সন্ধ্যে আটটার মধ্যেই এতটা ভীড় হয়ে যাবে সেটা কল্পনাতীত। যেহেতু অভিযাত্রী ক্লাবের বিশাল মাঠ রয়েছে তাই তারা পুজো মন্ডপ একদিকে বানায় বাকি জায়গা রাখে সবার আড্ডার জন্য। যে জায়গা পুজোর পাঁচটা দিন মানুষ ভীড় করে আড্ডায় মেতে ওঠে। তাছাড়া ভীড় কেনই বা হবে না। মন্ডপ সজ্জা থেকে আলোকসজ্জা এমন কি মায়ের প্রতিমা সবই হয় মন মাতানো।
পুজো মন্ডপে মূলত ফোমের উপরে কাজ হয়েছে। উপরে খুব সুন্দর জরির কাজ করা হয়েছে। মন্ডপে মূলত তিনটি ভাগ রয়েছে। যেখানে মন্দিরের একটি ভাগ যেটি মধ্যিখানে। গির্জার আকৃতির একটি ভাগ যেটি হাতের বাম দিকে এবং মসজিদ আকৃতির একটি ভাগ যেটি ছিলো হাতের ডানদিকে। যেটা দূর থেকে প্রথম নজরে মনে না হলেও ভালোভাবে লক্ষ্য করলে ঠিকই বোঝা যায়। মন্ডপের কারুকাজ সাদা ও সোনালী রঙের যে অসাধারণ সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছিলো তা দেখলে চোখে লেগে থাকে। ধীরে ধীরে ভিড় ঠেলে মণ্ডপের সামনে এগিয়ে গিয়ে একদম মন্ডপের ভেতরে প্রবেশ করে গেলাম।
মণ্ডপের ভেতরের আলোকসজ্জা সত্যি এক অন্য মাত্রা দিয়েছে। সেখান থেকে মায়ের প্রতিমা এত সুন্দর লাগছিল বলে বোঝানো সম্ভব নয়। মণ্ডপের অন্দরের কাজও খুবই সুন্দর। তবে মায়ের স্নিগ্ধ রূপ সবকিছু ছাপিয়ে গিয়েছিল।
দাদা ফটোগ্রাফি তে যেমন দেখাচ্ছে না জানি বাস্তবে কতটা সুন্দর ৷ আমি বরাবরই আপনাদের দেশের পুজোর আয়োজন গুলো ভালো লাগে ৷ বিশেষ করে পুজোর থিম আয়োজন ডেগারেশন সত্যি দেখার মতো ৷ ছবিতে দেখতেই পাচ্ছি অনেক মানুষের সমাগম ৷ ভালো লাগলো অভিযাত্রী ক্লাবের জমজমাট পুজোর আয়োজন দেখে ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাস্তবে আরো সুন্দর!! রাতের আলোতে কি যে সুন্দর লাগছিল বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অভিযাএী ক্লাবের এই থিমটা বেশ দারুণ ছিল তো। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। মন্দির মসজিদ গির্জা তিনটার আদলেই তারা মন্ডপ তৈরি করেছিল। এরুপ তো সচরাচর দেখাই যায় না। আর এইসময় লোক বেশি হওয়া স্বাভাবিক দাদা। প্রথমত নামকরা জায়গা আর দ্বিতীয়ত সন্ধ্যার পরে গিয়েছেন সেজন্যই হয়তো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের এখানে এমন প্রচুর মন্ডপ তৈরী হয় ভাই।
আসলে পুজোর ভীড় সন্ধ্যার পরেই বেশি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ্! অভিযাত্রী ক্লাব তো এককথায় দুর্দান্ত আয়োজন করেছে দূর্গা পূজা উপলক্ষে। তাদের "ধর্ম যার যার উৎসব সবার" নামক থিমটাও দারুণ লেগেছে। এমন আয়োজন করলে তো দর্শনার্থীদের ভিড় থাকাটা স্বাভাবিক। পূজা মন্ডপটি দেখে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যাবে। কারণ তিনটি ভাগে মন্দির, গির্জা এবং মসজিদ রয়েছে। এককথায় বলতে গেলে একের ভিতরে তিন। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পুজো মন্ডপ সত্যিই নজরকাড়া ছিলো। যেমন মন্ডপ তেমনি আলোকসজ্জা
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পুজো মন্ডপে ফোমের উপরে কাজ হলেও, দেখতে কিন্তু একেবারে অরজিনাল এর মত লাগছে। তাছাড়া মন্ডপের তিন ভাগের যে আলাদা আলাদা কনসেপ্ট, এটাও কিন্তু একেবারে ইউনিক বলা যায়। আর এমন জায়গাগুলোতে ভিড় হওয়াটা স্বাভাবিক দাদা কারণ এখানে অনেক সুন্দর থিম বানিয়েছে এবং মা দুর্গার মূর্তিটা দেখেও মন টা ভরে যাচ্ছে। তোমার পুজো পরিক্রমণের আরো একটা পর্ব দেখে বেশ ভালো লাগলো দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদমই তাই! ফোমের কাজ হলেও বোঝার উপায় নেই। রাতের আলোতে আর বেশি ভালো লাগছিলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা, এখন অনেক প্যান্ডেলেই এই ফোমের কাজগুলো করে থাকে, কিন্তু দেখে বোঝার কোন উপায় থাকে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit