নমস্কার বন্ধুরা,
প্রতিটা বাঙালির ইচ্ছে থাকে, পুজোর চার পাঁচটা দিন সবাই মিলে খুব আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে কাটাতে। পুজোর কদিন খাওয়া-দাওয়া আর ঘুরে বেড়ানো জীবনের এই তো মাত্র ছোট্ট চাহিদা। সেই চাহিদা পূরণে আমিও চলে গিয়েছিলাম ম্যান্ডারিন রেস্টুরেন্টে। আসলে এটি এক ক্লায়েন্টের তরফ থেকে ট্রিট ছিল। কাজের সূত্র নিয়ে তৃতীয়ার দিন আমি গিয়েছিলাম রাসবিহারীতে। সেখানেই আমার এক ক্লায়েন্টের তরফ থেকে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করলেন। তৃতীয়ার পর পুজো শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার টিকির নাগাল টুকুও পাওয়া যাবে না, সেই জন্যই পুজোর শুরুতেই সেরে ফেলা আরকি।
যদিও কোন পাকাপোক্ত ভাবনা নিয়ে দুপুরবেলার খেতে বেরোনো হয়নি। শুধুমাত্র ক্লায়েন্ট জানালেন দুপুরের খাবারটা তার তরফ থেকে। সে হিসেবেই সবাই মিলে দুপুরবেলা বেরিয়ে এলাম। উনি পছন্দ করে আমাদেরকে নিয়ে গেলেন মুদিয়ালিতে। তিনি নাকি বেশ কিছুদিন ধরে এক ইন্দো চাইনিজ রেস্টুরেন্টে যাবেন যাবেন করছিলেন। রেস্টুরেন্টর নাম ম্যান্ডারিন। নাম শুনে বুঝছেন খাবার দাবার কেমন হতে পারে।
দুপুর বেলায় যখন আমরা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম তখন বেশ ফাঁকাই ছিল। সত্যি কথা বলতে ইন্দো চাইনিজ খাবার দুপুরবেলা রেস্টুরেন্টে কম মানুষই খেতে আসেন। অন্তত আমার তো এরকমই ধারণা ছিল যা কিছুক্ষণ পরেই ভেঙে গেল। টেবিল দখল করে বসে বিশাল মেনু কার্ড দেখে সেখান থেকে অর্ডার করে দেওয়া হলো মাশরুম ফ্রাইড রাইস আর গার্লিক প্রন। অর্ডার দিয়ে কিছুক্ষণ বসে আছি তার মধ্যে পুরো রেস্টুরেন্ট টাই ভরে গেলো। তখন বুঝলাম যে আমরা দুপুরের খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে চলে এসেছি তাই তখন ফাঁকা ছিল। আধ ঘন্টা মত বসে থাকার পরে আমাদের কাঙ্খিত অর্ডার করা খাদ্য দ্রব্যাদি চলে এলো। মাশরুম ফ্রায়েড রাইস এবং গার্লিক প্রন।
নিজ হাতেই সার্ভ করে নিলাম। ফ্রাইড রাইস সেই সাথে ডিমের অমলেট এবং প্রন সাথে গ্রেভি। শুরুটা অল্প কিছুটা খাবার দিয়েই করলাম। মুখে দিয়ে বুঝলাম দাম অনুযায়ী খুব তেমন একটা স্বাদ নেই। আসলে প্রন'টার দাম একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছে। ১,২০০ টাকায় অন্তত আড়াই কিলো চিংড়ি মাছ অবশ্যই পেতাম সে যাই হোক। স্বাদ ফেরাতে, খানিক কালো মরিচের গুঁড়া আর লঙ্কা কুচানো চেয়ে নিলাম। তবে ফ্রায়েড রাইসের স্বাদ যথেষ্টই ভালো ছিল। ফ্রাইড রাইস বানানো অনেকটা কায়দার উপরে নির্ভর করে যেটা সবাই পারেনা, ঝুরঝুরে ভাত রাখা কঠিন। ফ্রায়েড রাইস ভালো লাগায় আরো একটা অর্ডার করা হলো।
খাবারের গুণগত মান ও খাবারের পরিমাণ দামের সাথে মোটেই সামঞ্জস্য ছিলো না। জানিনা কেন ইন্দো চাইনিজ খাবার ফুটপাতেই বেশি ভালো লাগে। হয়তো সেটাই হয়েছে কাল হয়েছে। রেস্টুরেন্টের বাতনুকূল হাওয়া খেয়ে ইন্দো চাইনিজের স্বাদ সেভাবে পেলাম না। আমার কাছে ৬/১০।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao #TronMemeSeason $PUSS
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইন্দো চাইনিজ খাবারগুলো খুব একটা খারাপ হয় না৷ তবে টিপিক্যাল চাইনিজ রাইসবোলগুলোর মতো অতো সুস্বাদুও হয় না৷ অনেক তেল দেয়। পুরো আনহেলদি করে ছেড়ে দেয়৷ এই রেস্টুরেন্টে যাইনি কখনো। তবে খাই মাঝে মাঝে। কিন্তু কথা হচ্ছে এখন এসবের লোভ কে দেখায়? কলকাতায় গেলে আমিও লোভ দেখাবো এরম পোস্ট করে করে। 😜😜
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে দাম অনুযায়ী খাবারের মান এবং পরিমাণ ঠিক থাকলে কোনো সমস্যা ই হয় না। কিন্তু দাম বেশি নেওয়ার পরে যদি খাবারের মান খারাপ হয়,তাহলে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। যাইহোক ম্যান্ডারিন রেস্টুরেন্টে দুপুরে লাঞ্চ করার অভিজ্ঞতা তেমন ভালো ছিলো না তাহলে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit