টিভি সিরিজ : দ্য উইচার - ভোলেথ মিরsteemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলেই সুস্থ। আপনাদের আশীর্বাদ এবং ভালোবাসায় আমি ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে নেটফ্লিক্সের দ্য উইচারের টিভি সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের সপ্তম এপিসোডটির রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম।

দ্য উইচার সিরিজটি পোল্যান্ডের উপন্যাসিক আন্দ্রেজ সাপকোস্কির দ্য উইচার নামক উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে তৈরী হয়েছে। দ্য উইচার মধ্যযুগীয় প্রেক্ষাপটের উপর দ্য কন্টিনেন্ট নামক জায়গায়, যেখানে জেরাল্ট দ্য উইচার অফ রিভিয়া, প্রিন্সেস সিরিলা ও ইয়েনেফার অফ ভেঙ্গাবার্গ হলো মূল চরিত্র।


প্রাপ্তি : YouTube


পর্ব
ভোলেথ মির
পরিচালক
লুইস হুপার
অভিনয়
হেনরি ক্যাভিল, আনয়া চলোত্রা, ফ্রেয়া আ্যলান
চিত্রনাট্য
মাইক অস্ট্রোস্কি
মুক্তি
১৭-শে ডিসেম্বর, ২০২১
দেশ
আমেরিকা
ভাষা
ইংরেজি
সময়
৫৪ মিনিট

পটভূমি

মেলিটেলের মন্দিরের আক্রমণকারীদের হত্যা করার পর জেরাল্ট তাদের দেহে রেডেনিয়ান চিহ্ন খুঁজে পায়। তারপর জেরাল্ট মন্দিরে ঝামেলার জন্য মন্দিরের প্রধান নেনেকের কাছে ক্ষমা চায়। তারপর নেনেকে জেরাল্টকে সাহায্য করতে চায় বললে, জেরাল্ট সিরিকে খুঁজতে যাবে সেটার জন্য একটা পোর্টাল খুলে দিতে বলে।

01.png

Copyright : Netflix


মেলিটেলের মন্দির থেকে সিরি ইয়েনেফারকে নিয়ে জোলার বাড়িতে টেলিপোর্ট করে ফেলে, যারা তাকে সিনট্রা থেকে পালাবার সময়ে আশ্রয় দিয়েছিলো। সিরি মনে করে যে জোলা ও তার পরিবার পালিয়ে গেছে, কিন্তু পরিবর্তে, সে দেখতে পায় যে তারা আগুনে পুড়ে গেছে। তারপর সিরি সেখান থেকে একা চলে যেতে চায়, কিন্তু ইয়েনেফার তার সঙ্গী হয়।


অন্যদিকে জ্যাস্কিয়ার যে কারাগারে বন্দি থাকে, সেখানে জেরাল্ট পোর্টালের মাধ্যমের পৌঁছায়। জেরাল্ট প্রথমে কারাগারের গার্ডকে অজ্ঞান করে জ্যাস্কিয়ারের কারাগার কক্ষে ঢুকে তাকে মুক্ত করে ফেলে তারপর জ্যাস্কিয়ারের বলে সিরি ও ইয়েনেফারকে খুঁজতে তার জ্যাস্কিয়ারের সাহায্যের প্রয়োজন।


আরেতুজাতে জাদুগরদের কাউন্সিল ডিকস্ট্রার কাছ থেকে জানতে পারে যে এক জাদুকরীর সাহায্যে একটি এলভেন শিশুর জন্ম হয়েছে। আর্টোরিয়াস ও স্ট্রেগোবর যেটাকে থ্রেট হিসেবে দেখে, কিন্তু টিসিয়া তাতে বিশ্বাস করে না। ভিলজেফোর্টজও গুজবের উপর কান দিতে নারাজ। ডিকস্ট্রা তখন উত্তর দেয় যে আজকের গুজব আগামী মাসের খবর। উদাহরণস্বরূপ, ডিকস্ট্রা বলে ট্রিস কাউন্সিলের অগোচরে আরেতুজাতে ফিরে এসেছে। টিসিয়া তখন বলে যে ট্রিস অসুস্থ হয়ে পড়ার ফলে আরেতুজাতে ফিরে এসেছে।

02.png

Copyright : Netflix


অপরদিকে রিয়েন্স তার ব্যর্থতার কথা লিডিয়ার কাছে স্বীকার করে। রিয়েন্স লিডিয়াকে তার নিয়োগকর্তার সাথে দেখা করতে রাজি করানোর আশায় সিরির মিউটাজেন রক্তের শিশি পরীক্ষা চালানোর জন্য দিয়ে দেয়। লিডিয়া রক্তের পরীক্ষা চালানোর জন্য অল্প রক্ত হাতে নিয়ে সেটার ঘ্রাণ নিতেই তার মুখ পুড়তে শুরু করে।


পথে জেরাল্ট আর জাস্কিয়ার একটা জলাশয়ের কাছে যায় সেখানে জাস্কিয়ার বলে যে ইয়েনেফার নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাকে বাঁচিয়েছে। তারপর, যখন ইয়েনেফার বন্দী হয়, তখন সে কিছু মন্ত্র বিড়বিড় করার পর অদৃশ্য হয়ে যায়। একথা শুনেই জেরাল্ট বুঝতে পারে যে ইয়েনেফারের সাথে ডেথলেস মাদারের যোগাযোগ আছে তাই জেরাল্ট এখন সিন্ট্রাতে যেতে চায়।

জলাশয়ের কিছু দূরে, জেরাল্ট ও জাস্কিয়ারের সাথে ইয়ারপেন জিগ্রিন এবং তার দলের সাথে পুনরায় দেখা হয়। জেরাল্ট তারপর ইয়ারপেনের কাছে একটি ঘোড়া চায় যার জন্য সে ইয়ার্পেনকে দ্বিগুণ অর্থ দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেয়। তারপর ইয়ারপেন ও তার দলবল জেরাল্টের সাথে সিনট্রার পথে বেরিয়ে যায়।

03.png

Copyright : Netflix


সিনট্রা যাওয়ার পথে সিরি এবং ইয়েনেফারের একটি ভাঙ্গা সেতুর কাছে পৌঁছায়। ইয়েনেফার তখন সিরিকে সেতুটি মেরামত করার জন্য তার জাদুর ব্যবহার করতে বলে, কিন্তু তাতে সে ব্যর্থ হয়। সিরি রাগে তখন খুব জোরে চিৎকার করে যার ফলে ইয়েনেফারের সাথে সাথে ঘোড়াগুলিকে নিয়ে সিরি নদীর অন্য পাড়ে টেলিপোর্ট করে আসে। আর সিনট্রার উদ্দেশ্যে আবার রওনা দেয়।

04.png

Copyright : Netflix

সিরি ও ইয়েনেফার সিনট্রার বাইরে মনোলিথের কাছে পৌঁছায়। সেই সময় সিরি ইয়েনেফারকে স্পর্শ করলে বুঝতে পারে যে ইয়েনেফার তার কার্যসিদ্ধির জন্য সিরিকে ব্যবহার করছে। ইয়েনেফার বিশ্বাসঘাতকতায় বিপর্যস্ত হয়ে সিরি চিৎকার করে ওঠে ফলে মাটিতে ফাটল ধরে যা নিলফগারডিয়ান সেনার অধীনে থাকা সিনট্রার দুর্গে চিড় ধরিয়ে দেয়।

06.png

07.png

Copyright : Netflix

ফাটলের উৎপত্তি অনুসরণ কিছু নিলফগার্ড সেনারা সিরি ও ইয়েনেফারের দিকে আসে ও সিরিদের বন্দি বানানোর চেষ্টা করে। সৌভাগ্যবশত সে সময়ে জেরাল্ট ও ইয়ারপেনের দলবল সেখানে উপস্থিত হয়ে নিলফগার্ড সেনাদের হত্যা করে সিরিকে উদ্ধার করে।

08.png

Copyright : Netflix

সিরিকে তারপর জাস্কিয়ারের হাতে তুলে দিয়ে কের মরহেনে রওনা দিয়ে বলে। ইয়েনেফার তারপর জেরাল্টের কাছে তার বিশ্বাসঘাতকতার জন্য ক্ষমা চায়।


কের মরহেনের পথে অজান্তেই আলোর কনা হিসেবে ডেথলস মাদার সিরির দেহে প্রবেশ করে ফেলে।

09.png

Copyright : Netflix


আমার অভিমত

রোমাঞ্চ আমার বরাবরই খুব পছন্দের। "দ্য উইচার" সিরিজের প্রথম সিজন দেখার পর থেকেই আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম দ্বিতীয় সিজনের জন্য। আর দ্বিতীয় সিজন আমাকে মোটেই নিরাশ করেনি। চরিত্র নির্বাচন, সিনেমাটোগ্রাফি, গল্প সব গুলো অসাধারণ হয়েছে।

মেলিটেলের মন্দিরে আক্রমণের পর জেরাল্ট সিরিকে খোঁজার উদ্দেশ্য নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। যদিও সে আগে জ্যাস্কিয়েরকে কারাগার থেকে মুক্ত করে।

অন্যদিকে ফিলভান্দ্রালের সন্তান খুনের পর এলভসদের সাথে নিলফগার্ডের সম্পর্কের তিক্ততা আসে। যার কারনে এলভসরা
নিলফগার্ড ছেড়ে চলে যায়।

সিনট্রার কাছে পৌঁছে সিরি বুঝতে পারে ইয়েনেফার তাকে নিজের সুবিধার জন্য ব্যবহাকার করছে তাতে সিরি রেগে গিয়ে চিৎকার করে ওঠে ফলে মাটিতে ফাটল হয়ে যায়।

নিলফগার্ড সেনার তখন সিরিকে ধরতে আসে ঠিক সে সময়
জেরাল্ট এসে তাদের উদ্ধার করে আর সিরিকে কের মরহেনে পাঠিয়ে দেয়। কের মরহেনের পথে সিরি দেহে ডেথলেস মাদার প্রবেশ করে যায়।

সিরির কি হবে? এলভসদেরই বা পরিকল্পনা কি? পরের এপিসোডের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি।


রেটিং

পরিচালনা
কাহিনী
অভিনয়৮.৫


Support @heroism Delegating your SP

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| JOIN DISCORD ||

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মনে পড়ে গেলো এই সিন এর কথা। তবে তুমি যত সুন্দর করে বর্ণনা দিয়েছো আমি এত মনোযোগ দিয়েও দেখিনি। আসলে এই ক্যারেক্টার গুলোর নাম এতটাই প্যাঁচানো গোছানো যে আমি ভুলেই যেতাম কোনটা কে।

বর্ণনা লিখতে লিখতে অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে 🥲। লিখেও শেষ হয়না

আমি নেটফ্লিক্স এ প্রচুর ওয়েব সিরিজ দেখি কিন্তু লেখার ভয়ে রিভিউ দিতে ইচ্ছে করেনা। তার উপর দিয়ে আবার শরীর খারাপ।

যদিও আমি এই সিরিজ দেখি নি। তবে বিবরণ পড়ে দেখার ইচ্ছে জাগছে মনে।ভাবছি শুরু করব। আসলে হলিউডের কোন সিরিজ আমি কেন জানি না নিজে থেকে দেখএ ইন্টারেস্টি গ্রো করতে পারি না। বরং কেউ যদি এঅটু শুনিয়ে দেয় তাহলে ইন্টারেস্ট গ্রো করে। আপনার এই রিভিউ টা সেই কাজই করলো।🙂

দেখাটা আবশ্যিক। দারুন সিরিজ