নমস্কার বন্ধুরা,
ঠিক কতদিন পরে ল্যাপটপ আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে পেলাম সেটা আর মনে পড়ছে না। নতুন একটা ব্যাটারি লাগানোর কয়েক মাস পরে সেটাও ফুলে গিয়ে ভবলীলা সাঙ্গ হলো। ব্যাটারি ছাড়া ল্যাপটপ খুব প্রয়োজন ছাড়া বের করতাম না। আমার বাংলা ব্লগের কাজ মোটামুটি মোবাইল দিয়ে সেরে ফেলতাম। মাস আড়াই আগে যখন $PUSS এর কাজ শুরু হলো সেই সময় ল্যাপটপ খানি বের করে অন করলাম। তিনদিন ভালোই চললো, কাজ সুন্দর ভাবে করে ফেলতে পারলাম। চতুর্থ দিনে ল্যাপটপ কাজ করতে করতে হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলো। বিষয়টা প্রথমে খুব স্বাভাবিকভাবে নিয়ে ল্যাপটপ থেকে পাওয়ার কর্ড খুলে ফের লাগিয়ে দিলাম। প্রাথমিকভাবে বুট হলো কিন্তু উইন্ডোজ লোগোতে লোডিং হয়ে চললো, প্রায় দুঘন্টা সেভাবেই থাকলো। ভাবলাম সফটওয়ারে সমস্যা, পাওয়ার কর্ড খুলে দিলাম। সেটাই ছিল আমার শেষ ল্যাপটপের স্ক্রিন দেখা।
পরদিন সকালে উঠে বহুবার ল্যাপটপ অন করার চেষ্টা করলাম কিন্তু কিছুতেই চালু হলো না। প্রথমে বিষয়টা বেশি গুরত্ব দিইনি, ভেবেছিলাম পাওয়ার কর্ডের সমস্যা। কদিন পরে আমার এক পরিচিত দাদার কাছে ল্যাপটপটা সারাতে দিয়ে দিই। তাকে সমস্যার কথা বলতে জানতে পারলাম, হয়তো পাওয়ার আইসি টাই উড়ে গেছে। আমি মনে মনে প্রমাদ গুনলাম, ছোটখাটো খরচার উপর দিয়ে গেলে বেঁচে যেতাম। এবারের আর সেটি হচ্ছে না। বড়সড় ধসবে।
সব ঘটেছে পুজোর আগে, ল্যাপটপ ফেরত পেলাম এই সোমবার রাত্তিরে। মূলত পাওয়ার আইসি টাই দেহ রেখেছিল। দেরী হওয়ার কারণ পার্টস খুঁজে না পাওয়া। আসলে আমার ল্যাপটপটা অনেক পুরনো হয়ে গিয়েছে এবং যেহেতু লিমিটেড এডিশন সেজন্য পার্টস খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর। ব্যাটারি কিনতে গেলেও অর্ডার করিয়ে আনতে হয়। সেজন্যই এত দেরি হল। ল্যাপটপে কর্ড লাগিয়ে দিয়ে সুইচ দিতে HP লোগো চলে এলাম। তারপর উইন্ডোজ লোগো গিয়ে লোডিং শুরু হলো। মিনিট পাঁচেক কিছু হচ্ছে না, এদিকে রাত হয়ে গেছিল তাই ল্যাপটপটা নিয়ে ঘরে চলে এলাম। ঘরে এসে ল্যাপটপ অন হতে দিয়ে ফ্রেস হয়ে খেয়ে বসলাম তবুও উইন্ডোজ লোগোতে আটকে থাকলো। উপায় না দেখে সারারাত চালিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি সেই একই অবস্থায়।
কি আর করা অবশেষে আবার গেলাম সেই দাদার কাছে। সেখানে বসে বসে অনেকক্ষণ ধরে বুট এর চেষ্টা করা হলো। কিছুতেই কিছু হলো না যখন, একবার ফরম্যাট করার কথা বললো। কি মনে হলো, আমি ল্যাপটপটা খুলে নতুন ভাবে এসেমবেল করতে বললাম। এসএসডি স্লট খুলতেই কানেক্টর খুলে বেরিয়ে এলো। সেটাকে ভালোভাবে বসিয়ে ল্যাপটপ চালু করতেই ঝট করে অন হয়ে গেলো। খুব শান্তি পেলাম। সব ঠিক ছিল শুধু কানেক্টরটা আলগা হয়ে এই ঝামেলা। কয়েকবার টার্ন অন-অফ করেও দেখে নিলাম। দারুন মজা। অনেক ঝামেলা হলো, এইবার ব্যাটারিটা জলদি অর্ডার করে দিতে হবে। তবে যেহেতু পাওয়ার সকেটের এক মাসের ওয়ারেন্টি পেয়েছি সেই জন্য ব্যাটারি ছাড়াই কদিন ব্যবহার করি তারপর অর্ডার করে দেবো 😁😬।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যাক। অনেকদিন পরে হলেও আপনার ল্যাপটপ যে ঠিক হয়েছে এটাই আনন্দের৷ ল্যাপটপগুলোর কোনো ভরসা নেই আজকাল। এই চলে, আর এই খারাপ হয়ে যায়। তবে আশা রাখব আপনার ল্যাপটপ আর এর মধ্যে আপনার সাথে দুশমনি করবে না। এগুলো আসলে অনেক টাকার ধাক্কা৷ তাই খারাপ হলেই চিন্তা শুরু৷ আমার ল্যাপটপটাও খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে৷ নিয়ে যেতে হবে সার্ভিস সেন্টারে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একটার পর একটা ডিভাইস জনিত খরচ তো লেগেই আছে দাদা আপনার।এর আগে দেখলাম ফোনের সমস্যা।এখন আবার ল্যাপটপ।যাইহোক অবশেষে ল্যাপটপ সমস্যার সমাধান হলো।আর একমাস পর ব্যাটারি কিনে নিলেই হলো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শুধু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে নয় সব ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রেই পুরাতন প্রোডাক্ট গুলোর পার্টস গুলো খুজে পেতে সমস্যা হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পুরাতন ল্যাপটপের পার্টস খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল দাদা। দেরি হলেও অবশেষে যে খুঁজে পেয়েছে,সেটাই তো অনেক। শেষ পর্যন্ত ল্যাপটপ চালু হলো তাহলে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সময় দেখা যায় আমাদের ডিভাইস গুলির খুব ছোট একটি সমস্যা হয়ে থাকে কিন্তু সেটা মেকাররা ধরতে পারেন না। অন্য নানান রকমের কাজ করতে বলেন। ঠিক তেমনটাই আপনার ল্যাপটপের কানেক্টর একটু আলগা হয়ে গিয়েছিল সেটা আপনার ঐ দাদা প্রথমে বুঝতে পারেনি। এজন্যে আপনিও এত বড় বিড়ম্বনা সমুখীন হয়েছিলেন। যাই হোক দাদা অবশেষে পুনরায় ল্যাপটপটিকে সচল অবস্থায় ফিরে পেয়েছেন এটাই অনেক। তবে যত দ্রুত সম্ভব ব্যাটারি চেঞ্জ করে নিবেন এটাই সবথেকে ভালো হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার ল্যাপটপের উপর দিয়ে বেশ একট ঝড় বয়ে গেছে বলতে হয়। আর ল্যাপটপের আর কী ভোগান্তি যা হয়েছে আপনার। আমার ল্যাপটপ টাও ডিস্টার্ব করছে খুব দ্রুতই সমাধান করতে হব।ে এই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস গুলো হঠাৎ এমন নষ্ট হয়ে গেলে বেশ ঝামেলায় পড়ে যেতে হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit