রেসিপি রিভিউ (ডিসেম্বর পর্ব ১) // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

নমস্কার,

ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই আমি মোট ৬ টি রেসিপি পোস্ট করেছিলাম, আজ সেসব রেসিপি নিয়েই আমার রিভিউ পোস্ট। রেসিপি রিভিউ বলতে অবশ্যই নিজের রান্নার কতটা উন্নতি হলো তা নিয়ে একটা রিপোর্ট। তাছাড়া রেসিপি গুলো একসাথে একটা পোস্টে নিয়ে আসার পেছনে আরেকটা কারন রয়েছে তা হলো রেসিপির গুলো নিয়ে একটা আর্কাইভ বানানো।

৬ টি রেসিপির মধ্যে নিরামিষ থেকে আমিষ সব ধরনের পদই বর্তমান ছিলো। যদি আমাকর ব্যক্তিগত পছন্দের কথা জিজ্ঞাসা করা হয় তাহলে আমি অবশ্যই নিরামিষ পদ গুলোকে আগে রাখবো। যেমন থোড়ের পোলাও। নিরামিষ রান্না আমিষ রান্নার থেকে বেশ কঠিন। আর ঠিক ভাবে রান্না করতে পারলে নিরামিষ রান্নার কোনো তুলনা হয় না। ফ্যাসা মাছের ঝাল আমার বেশ লেগেছিলো। ফ্যাসা মাছ আমি শুধু মুখে ভাজা খেয়েই শেষ করে ফেলতে পারবো। মাছটার সাইজ ছোটো হলেও স্বাদে অতুলনীয়।

মাসটা আমি নিরামিষ পদ দিয়েও শুরু করেছিলাম। সহজ পদ্ধতিতে আলু দিয়ে ফুলকপির তরকারি। ফুলকপি আলু দিয়ে বহুবার মাছের ঝোল খেলেও আমি নিরামিষ পদ্ধতিতে চেষ্টা করেছিলাম।

• নিরামিষ ফুলকপি আলুর তরকারি।

পরের যে পদটা রান্না করেছিলাম সেটা প্ৰথমবার রান্না করেই আমার খুব হৃদয়ের খুব কাছের জায়গায় দখল করে নিয়েছিলো। বেশ সময়সাপেক্ষ হলেও খেতে দুর্দান্ত ছিলো। পিসিকে আলাদাভাবে ধন্যবাদ আমাকে এই রেসিপি শেখাবার জন্য।

• থোড়ের পোলাও।

বেগুন দিয়ে যেকোনো ঝোল আমার দারুন লাগে। তাই যখন নতুন এক ধরনের মাছ হাতে এলো আমি বেশি চিন্তা করিনি সহজে যেটা ভালো লাগবে তাই বানিয়েছি। বেগুন আলু দিয়ে দিয়ে হাঙ্গর মাছের ঝোল।

• আলু বেগুন দিয়ে ভাঙ্গর মাছের ঝোল।

এরপর যে দুটো পদ রান্না করেছিলাম সেগুলো ইচ্ছের থেকে প্রয়োজন বেশি ছিলো। হঠাৎই বোন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলো তাই অনেক ধরনের শীতকালীন সবজি দিয়ে স্টু বানালাম।

• শীতকালীন সবজি দিয়ে চিকেন স্টু।

পেঁপে ডেঙ্গুর মহৌষধ। তাই মশলাহীন পেঁপে আলু দিয়ে তেলাপিয়া রান্নাটা শিখে ফেললাম। যদিও আমার সময়েও এই পদ খুব একটা কাজে আসেনি।

• পেঁপে আলু দিয়ে তেলাপিয়া মাছের পাতলা ঝোল ।

আমার আজকের লিস্টের সবচেয়ে শেষ পদটি ছিলো মাছের ঝাল। ফ্যাসা মাছের ঝাল। প্রথমে ছোটো সাইজের ফ্যাসা মাছ নিয়ে আমি বেশ সন্ধিহান ছিলাম তবে রান্নার পরে মনে হলো অমৃত খাচ্ছি। ফ্যাসা মাছের স্বাদ আমার খুবই ভালো লেগেছে।

• ফ্যাসা মাছের ঝাল।

|| JOIN OUR DISCORD SERVER ||