নভেম্বরে ভাইফোঁটার নেমতন্ন // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)



নমস্কার,

করোনা জীবন থেকে অনেক কিছুই কেড়ে নিয়েছে। বিশেষ করে মানুষের লৌকিকতা। বিনা লৌকিকতায় চিঁড় ধরেছে মানুষের মধ্যেকার আত্মীয়তায়। অপরদিকে বেড়েছে দূরত্ব। যখন পৃথিবী সুস্থ স্বাভাবিক হওয়ার দিকে গুঁটি গুঁটি পায়ে এগোচ্ছে, মানুষের মধ্যেকার চিঁড় ধরা সম্পর্কে ক্ষত মেরামত করছে সেই কমে যাওয়া লৌকিকতা গুলোই।

করোনায় ভাঁটা পড়েছে সব।ছোটখাটো পুজো পার্বনে। গত দু বছরে বাড়িতে ভাইফোঁটা হয়নি, এ বছরেও ভাইফোঁটা না হওয়ায় পেছনে কারন ছিলো করোনার বাড়াবাড়ি পাশাপাশি পরিবারিক কিছু রীতি। কেউই ভাইফোঁটার নেমতন্ন করতে সাহস করেনি। থাক সেসব কথা।

বর্তমানে পরিস্থিতি যখন একদমই স্বাভাবিক সেই সূত্র ধরেই জ্যাঠাতুতো দাদার পক্ষ থেকে তাদের বোনের (আমার দিদি) কয়েকটা নেমতন্ন বাকি ছিলো। সৌভাগ্যক্রমে দিদিকে নেমন্তন্ন করার সময় সেদিন আমি দিদির পাশে দাঁড়িয়ে থাকায় আমাকেও নেমন্তন্ন করতে হয়েছিলো। একপ্রকার চক্ষু লজ্জায় পড়ে, যদিও আমি সেসব দেখি না, নেমতন্ন হলেই হলো 😁।আমাদের তিন ভাই বোনের নেমন্তন্ন থাকলেও বোনের বোনের হাসপাতালে ডিউটি থাকার জন্য তার আর যাওয়া হয়নি। দিদি আমি মিলে দুপুরের নেমন্তন্ন রক্ষা করতে বেরোলাম। বেরোতেই অল্প দেরী হয়েই গিয়েছিলো। প্রথমে বাসে তারপর ট্রেন সবশেষে গিয়ে অটোতে সবমিলিয়ে মোট তিনবার গাড়ি বদলে যখন জ্যেঠুর বাড়িতে পৌঁছালাম ঘড়িতে দুপুর গড়িয়ে বিকেলের দিকে সূর্যের যাত্রা শুরু করেছে। শীতের বেলা বেলা এতো টাই তাড়াতাড়ি নেমে যায় তা বলাই বাহুল্য।

দেরী করে পৌঁছালেও আমাদের দেখে ভাইঝির আনন্দের অন্ত নেই। আসলে আমাকে দেখে নয়, অনেকদিন পরে ওর পিসিকে পেয়ে বিশাল খুশি। কোনটা আগে খেলবে সেটার ঠাহর করতে পারছিলো না, শেষমেষ উনো খেলাই স্থির হলো।

তারপর কিছু মোবাইল গেমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলো, যদিও আমি বিশেষ মোবাইল গেম খেলি না তাই কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমি হেরে ভূত। দিনকাল খুবই খারাপ চলছে সেদিন ক্রিকেটে হার আজকে মোবাইল গেমে 😭। ২০১০ সালের পরে জন্মানো বাচ্চারা মোবাইল হাতে নিয়েই জন্মেছে তাই ওদের সাথে এইসবে পারা বেশ মুশকিল।


আমরা দেরী করে পৌঁছানোর কারনে দুপুরের খাবার একটু দেরী করেই হলো। আয়োজনটা ছিলো ঘরোয়া। মিক্স ফ্রাইড রাইস, মুরগির মাংস আর চিলি প্রন। সবকিছুই বৌদির নিজের হাতে করেছে। পুরোটাই খুব পরিপাটি ছিল সাথে খুবই সুস্বাদু।

খাওয়া শেষে কিছুটা সময় দাদা বৌদির সাথে অনেকদিন পরে আড্ডা দিলাম। অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হলো, দাদাদের সাথে বেশ কিছুটা কোয়ালিটি সময় কাটালাম।



Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ক্রিকেটে হার,আবার ভাইজির সঙ্গে মোবাইল গেমে হার দারুণ মজার বিষয়।যাইহোক তার মাঝে শীতকালে ভুরিভোজনটি বেশ জমিয়ে করেছেন দেখেই বুঝতে পারছি।দারুণ মুহূর্ত কাটিয়েছেন দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে।

কি যে যাচ্ছে বুনু। সব জায়গাতেই হারছি, হারের যেন শেষ নাই। হ্যাঁ, খাওয়ার লোভেই যাওয়া 😆

পারেনও বটে!
চক্ষু লজ্জার ভয়ে দাওয়াত দিলো আর আপনিও সেই দাওয়াত এ একেবারে হাজির হয়ে গেলেন। আমিতো পড়ে হাসতে হাসতে আমার পেট ব্যথা হয়ে গেলো। তবে শেষের এই ফ্রাইড রাইস আর মুরগির মাংস দেখে একেবারে মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেলো!!আমার পেটে এখন ইঁদুর দৌড়াচ্ছে এই খাবারটি দেখে।

চক্ষুলজ্জা দেখে আমার লাভ নেই তো 😆। পরে আমাকে তিনবার ফোন করেছে, তাই চলেই গেলাম।

ফ্রাইড রাইস টা মারাত্মক ভালো ছিলো।

হা হা, আসলেই ভাই ঠিক কথা বলেছেন এখনকার বাচ্চারা সব মোবাইল হাতে নিয়ে জন্য। এরা জন্মের পর অন্য কিছু পারুক আর না পারুক মোবাইলে ঠিকই এক্সপার্ট হবে। যাক বাসি নেমন্তন্ন খেতে গিয়েও টাটকা খবর খেয়ে এসেছেন এটাই অনেক বেশি😁

নতুন গেমে হাত সেট করতেও এক দুদিন লাগে। আর এরা তো Dowoload করেই এক্সপার্ট। 😆

সৌভাগ্যক্রমে দিদিকে নেমন্তন্ন করার সময় সেদিন আমি দিদির পাশে দাঁড়িয়ে থাকায় আমাকেও নেমন্তন্ন করতে হয়েছিলো। একপ্রকার চক্ষু লজ্জায় পড়ে, যদিও আমি সেসব দেখি না, নেমতন্ন হলেই হলো 😁।

😁🤣
বেস্ট পার্ট অফ দা হিস্টরি

দাদা নেমন্তন্ন ছাড়াই বিয়েবাড়িতে ভুরিভোজ করেছিলাম বন্ধুরা অনেকে একসাথে । 😋🤭

হাঃ হাঃ। আমিও এরম দুবার করেছি 😛। ১৪০০-১৫০০ নিমন্ত্রিত ছিলো তাই কেউ বুঝতেই পারেনি 😆

দাদা একের পর এক হার দিয়েই চলেছেন😁😁😁

যাইহোক আসলেই কোরোনা আমাদের কে আত্বীয় স্বজন সবার কাছ থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছিল। এখন সাভাবিক হওয়ায় আমরা আবারক এক হতে পারছি।

খুব সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছেন।শুভ কামনা দাদা

হারের অন্ত নেই। কবে যে একটু জেতার মুখ দেখবো 😭।

আবার নতুন Wave আসবে তার আগেই দু এক জায়গা ঘুরে নিই 😆

হা ভাই সেটাই😁

হা হা , আসলে সত্যি কথা বলতে আপন মানুষ যেভাবেই কথা বলে না কেন বিষয় গুলা বেশি গায়ে লাগেলা, আপনার ভাতিজির কার্য কলাপ গুলো বেশ ভালো লাগছে আমার কাছে , আর এখনের বাচ্চারা আসলেই অনেক চালু। যাক সব কিছু মিলিয়ে অনেক ভালো লাগলো।

দারুন বুদ্ধিমত্তা। খই ফোটার মতো কথা বলতে থাকে। 😆

ঘোরাফেরা আর খাওয়া দাওয়া সব মিলিয়ে দাদার দিন তো দৌড়চ্ছে পুরো 👌👌। দারুন দারুন। পরিবারের সাথে এভাবে সময় কাটানো আর তার সাথে মজা করা বেশ ভাগ্যের ব্যাপার। সবাই কিন্তু পারে না দাদা। সে দিক দিয়ে তুমি খুব লাকি। খুব ভালো একটা দিন কেটেছে বোঝাই যাচ্ছে।
আর এটা সত্যি এখন কার বাচ্চারা এত বুদ্ধি কই থেকে যে নিয়ে আসছে এটার রহস্য ভেদ করা অসম্ভব। ওদের মা বাবার মাথা তেও এত বুদ্ধি থাকে না 🤪🤪🤪।