নমস্কার বন্ধুরা,
সীমান্ত শিখা ক্লাবের শোলা এবং ফোমের অসাধারণ কিছু কারুকাজ দেখে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলাম শহরের মধ্যিখানে। পুরো শহর ও রাস্তাঘাট রংবেরঙের আলো ও লাইটিংয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার মাঝ দিয়ে হাটতে হাটতে রাস্তার পাশে তুলনামূলক একটি ছোট ক্লাবের মন্ডপ দেখে চোখ আটকে গেলো। ক্লাবটির নাম যোগ্যতলা। ছোট মাপের মন্ডপ এবং কম বাজেটের পুজো হলেও যোগ্যতলা ক্লাবের মন্ডপটা সত্যিই ছিলো নজরকাড়া। এবারে তাদের ভাবনা রামধনু।
দুর্গাপুজো আসলেই সার্বজনীন। সব ধরনের অর্থনৈতিক অবস্থার মানুষ এতে যোগদান করে। কিছু কিছু পূজো হয় অনেক বড় বাজেট নিয়ে আবার কিছু কিছু পুজো হয় অত্যন্ত অল্প বাজেট নিয়ে। কিন্তু মূল যে বিষয়টা থাকে সেটা পুজোর আধ্যাত্মিকতা। বাজেট যেমনই হোক প্রত্যেক পুজো কমিটি চায় তাদের চিন্তা বেশি ভালো করে ফুটিয়ে তুলতে। আসলে পুজোর কটা দিন আমরা সাধারণ ভক্তরা সবাই মায়ের সাথে আধ্যাত্মিক ভাবে জুড়ে যেতে চাই। যোগ্যতলা ক্লাবের মন্ডপটির ভাবনা আমার কাছে খুব সুন্দর লেগেছিল। কম বাজেটের মধ্যে সুন্দরভাবে মণ্ডপ তৈরি করা পুজো কমিটির বুদ্ধিমত্তা ও এক ধরনের কীর্তিই বটে।
হাঁটতে হাঁটতে মন্ডপের বাইরের সজ্জা দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম। রাতের বলল সজ্জাতে মন্ডপ এত সুন্দর লাগছিল যে সেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। অন্যান্য দর্শনার্থীরা পরবর্তী বড়ো বাজেটের পুজোর দিকে এগিয়ে গেলেও আমি কিন্তু অন্য ধারার দর্শনার্থীদের সাথে পুজো মন্ডপে ঢুকে গেলাম। আর সত্যি কথা বলতে মন্ডপে ঢুকে একফোঁটাও নিরাশ হয়নি। পুজো মন্ডপের বাইরের সজ্জাটা যেমন সুন্দর ছিল অন্দরের সজ্জা তেমনিই সুন্দর।
মণ্ডপের মাঝে বিরাজিত হয়ে আছেন মা দুর্গা। মায়ের দেবী প্রতিমা মণ্ডপের অন্দর সজ্জার সাথে সামঞ্জস্য রেখে হালকা নীল রংয়ের তৈরি করা হয়েছে।
দাদা যোগ্যতলা ক্লাব কম বাজেটের মধ্যেও দূর্গা পূজা উপলক্ষে চমৎকার আয়োজন করেছে। তাদের থিমটাও দারুণ লেগেছে। তাছাড়া আলোকসজ্জা দেখে তো চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit