ভাইঝির জন্মদিন

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার বন্ধুরা,

আশীষের গৃহপ্রবেশের পুজো শুরু হওয়ার ঘন্টা তিনেক পর আমাকে বেরিয়ে যেতে হল কারণ ওদিকে আবার ভাইঝির জন্মদিনের অনুষ্ঠান আছে। যদিও বেশি দূরে যেতে হতোনা না তবুও একটু আগেই বেরিয়ে পড়লাম, ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা। ঘন্টাখানেকের মধ্যে অনুষ্ঠান বাড়ি পৌঁছে গেলাম বটে তখনও নিমন্ত্রিতরা প্রায় কেউই আসেননি। অনুষ্ঠান বাড়ি ফাঁকা। অনুষ্ঠান লজের ভেতরে ঢুকে দেখি জেঠু সাজানো গোছানোর দিকে তদারকি করছেন। যেহেতু কলকাতায় বেশ গরম তাই ফটাফট ফ্রেশ হয়ে নিয়ে অল্প ফ্যানের তলায় বসলাম।

কিছুক্ষন পর থেকে ধীরে ধীরে নিমন্ত্রিত দের আসা শুরু হলে খাওয়ার কাউন্টার খুলে গেলো। কাউন্টার ফাঁকা দেখেই আমি কোলড্রিংস এবং চিকেন পকোড়া সাবড়ে দিলাম। দেরী করলেই বিপদ।

সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ নিমন্ত্রিদের প্রায় সকলেই চলে আসলে কেক কাটা হলো। জন্মদিনের কেকটা ছিলো বিটিএস থিমের উপরে।

কেক কাটার পর আমার দায়িত্ব পড়লো নিমন্ত্রিতদের ছবি তুলে দেওয়ার। ছবি তুলতে গিয়ে আমি বেশ বেগ পেলাম। কারণ দাদার বন্ধুদের কাউকেই বিশেষ চিনি না। ছবি তুলতে তুলতে কখন যে রাত ৯:৩০ বেজে গেছে বুঝতেই পারিনি। আবার আশীষের বাড়িও যেতে হবে, সেই চিন্তা নিয়ে খেতে বসে পড়লাম। খেতে বসে মেনুটা দেখে খুব মজা পেলাম, মেনুটা একটা খেলনার সাথে লাগানো রয়েছে।

মেনুর দিকে বেশি নজর দিয়ে লাভ নেই তাই খাওয়ার দিকে মন দিলাম। চানা মশলা ও একটা বেবির নান দিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। তারপর আর কিছু মুখে দিইনি। সোজা চলে গেলাম ফ্রাইড রাইস এবং চিকেন কষাতে।

অনেক রাত হয়ে গিয়েছে আর তাছাড়া আশীষের ফ্ল্যাটে গিয়ে প্রসাদ গ্রহণ করতে হবে তাই চিকেন কষা দিয়ে খাওয়ার পর্বটা শেষ করে দিলাম।





Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রথমেই আপনার ভাইঝির জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল। এই দিনটি তার জীবনে বার বার ফিরে আসুক। জন্মদিন উপলক্ষে খুবই সুন্দর আয়োজন করেছেন। সকলের সাথে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত পালন করেছেন। ভালো লাগলো দেখে।

আশিষের বাড়ি থেকে ভাইজির জন্মদিনে যাওয়ার কথা সেদিন বলেছিলেন। খাওয়ার ক্ষেএে দেরী করাই যাবে না। চিকেন পকোড়া এবং কোলডিংঙ্কস দিয়ে শুরু দারুণ।শেষে আবার ফ্রাইড রাইস। চমৎকার ছিল আপনার ভাইজির জন্মদিন উৎযাপনটা।।

দাদা প্রথমে আপনার ভাইজির জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা শুভকামনা রইল তার জন্য। আশা করি তার আগামীর দিনগুলো খুব ভালো কাটবে। খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করলো। আইটেম বেশ ভালো ছিল।আপনাকে ধন্যবাদ দাদা এই পোষ্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ভাইজির জন্মদিনে আপনি অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন ৷ভাইজির জীবন সুখের হোক মধুর হোক এই কামনা করি ৷জন্মদিনের অনুষ্ঠান টি বেশ চমৎকার ছিল

প্রথমেই আপনার ভাইঝিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা দাদা।

কাউন্টার ফাঁকা দেখেই আমি কোলড্রিংস এবং চিকেন পকোড়া সাবড়ে দিলাম। দেরী করলেই বিপদ।

হাহাহা! পরে খেলে কিন্তু পেতেন না 🤭। খাবারের মেনুর সাথে খেলনাটা এটা ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন।

দাদা, ভাইঝির যে জন্মদিন উপলক্ষে বেশ ভাল রকম আয়োজন করেছেন। ভাইঝির জন্মদিনে বেশ আনন্দের সাথে সময় কাটিয়েছেন এবং উপভোগ করেছেন। প্রিয় দাদা, আপনার ভাইঝির জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল। এই দিনটি আপনার ভাইঝির জীবনে বার বার ফিরে আসুক এই কামনাই রইল। আপনাদের সকলের জন্য অনেক অনেক আশীর্বাদ রইল।

হায় রে দাদা, ওই কেক আর ফ্রাইড রাইস চিকেন দেখেই আমার হয়ে গেল। কত দিন ফ্রাইড রাইস খাইনা গো। খেতে হবে। মা কে আজই বলবো।

জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল ভাইঝির জন্মদিনে জন্মদিনের আয়োজনে চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা। বাড়িতে ধরনের অনুষ্ঠান থাকলে অতিথি আপ্যায়নে বেশ মজা লাগে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

দাদা প্রথমে আপনার ভাইজির জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আসলে প্রত্যেকের জীবনে জন্মদিন অন্যতম একটি স্মরণীয় বরণীয় দিন। তাহলে দাদা আপনি ফটোগ্রাফারের দায়িত্ব পালন করলেন। জন্মদিনে দেখলাম ভালই খাওয়া দাওয়া হয়েছে। সবার জীবনে এই দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকুক এই কামনা করছি।

আপনার ভাইঝিকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা রইলো দাদা।তাছাড়া আপনি বেশ জমিয়ে সময় কাটিয়েছেন সেটি লেখা পড়ে বুঝতে পারছি।খেলনাটি খুবই সুন্দর ,মনে হচ্ছে আমাদের লাজুক খ্যাক বসে আছে। হি হি