আলিপুর চিড়িয়াখানা : পর্ব ৩

in hive-129948 •  2 years ago 

নমস্কার বন্ধুরা,

বক দেখে খানিকটা দূর হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম হাতিদের খাঁচার কাছে। যদিও হাতিদের খাচাটা ঠিক খাচা নয় তার থেকে বরং কিছু তারজালি দেওয়া ঘেরা মাঠ বললেই চলে। যেখানের তারজালি গুলো গজরাজরা চাইলেই আরামসে উপরে দিয়ে কলকাতা ঘুরতে যেতে পারবেন। সেসব ভাবতে ভাবতে খাঁচার বাইরে সুন্দর পোস্টটা সাঁটানো ছিল সেটার দিকে নজর গেলো যেখানে এশিয়াটিক হাতি এবং আফ্রিকান হাতির পার্থক্য গুলো খুব সহজে বোঝানো ছিলো। পোস্টার দেখে আরো উৎসুক হয়ে কাছে গেলাম হাতি দেখতে পাবো আশা নিজে। আমার থেকে বেশি উৎসুক ছিল আমার মামাতো ভাইটি। সেই সারাটা পথ ধরে হাতি দেখবো, হাতি দেখবো বলে চেল্লা মেল্লি করলো। কিন্তু যখন খাঁচার দিকে অনেক ইতিউতি তাকালাম কিছুই নেই।

PXL_20230301_120004864_copy_1209x907.jpg

PXL_20230301_120032957_copy_1209x907.jpg

বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর যখন হাতি দেখতে পেলাম না তখন বুঝলাম যে রোদের তাপে তারাও হয়তো কোনো না কোনো ছায়ায় ঢুকে রয়েছে। সেই চিন্তা নিয়ে ধীরে ধীরে হাতি দেখতে না পাওয়ার শোক সামলে এগোতে থাকলাম, কারণ থেমে থাকলে তো আর হবে না বেলা বাড়ার সাথে তাপমাত্রা বাড়ছে আমাদেরকে চিড়িয়াখানাটা ঘুরেও নিতে হবে। এই ভেবে হাতির খাঁচা ছেড়ে কিছুটা দূর এগিয়ে গেছি তখনই আবার চিৎকার চেঁচামেচিতে ফিরে এলাম।

IMG_20230301_063023_copy_936x624.jpg

বাকি অনেকেই চিৎকারে ছুটে ছুটে হাতির খাঁচার দিকে এগিয়ে এসেছে। সবাইকে দেখে আমরাও খাঁচার কাছাকাছি চলে এসে দেখলাম দূরে গজরাজরা আস্তে আস্তে করে নিজেদের একটা ছায়ার তলা থেকে বেরিয়ে এসেছে। যদিও দূরত্ব অনেকটাই ছিলো তবে তাদের স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিলো। গজরাজদের দেখে বুঝলাম যে পরিমানে খাবার দাবার পাওয়া তাদের উচিত তার তুলনায় হয়তো চিড়িয়াখানায় অনেকটাই কম মেলে তবুও বিশালতা যেন থেমে যায়নি।

PXL_20230301_120140740_copy_1209x907.jpg

IMG_20230301_090952_copy_936x624.jpg

হাতি দেখে মামারা যারপরনাই খুশি। আশেপাশের জনগণ যারা এসেছিলেন চিড়িয়াখানায় তারা দেখি বেশ মজা পেয়েছে, বিশেষ করে বাচ্চাকাচ্চারা। যদিও তাদের বাবা মা চেল্লামেল্লি থামিয়ে দেওয়া প্রচন্ড চেষ্টাও করছিলো কিন্তু হাতি দেখে কে কার কথা শোনে। বাচ্চারা নিজেদের মনে খুশি ছিল আমিও বেশ মজা পেলাম। আসলে রোদের তাপ মাত্রা দেখে আমিও প্রথমে চিন্তা করিনি যে গজরাজরা নজরে আসবে। শোক নিশেষেই উবে গেলো, ভালো লাগা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে পড়লাম।




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness


Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ছোটবেলায় যখন দেখতাম গ্রামের মেলায় অথবা গ্রামের মধ্য দিয়ে হাতি যেত তখন খুব মজা পেতাম এবং ছোটাছুটি করে দেখতাম।। আমাদের গ্রাম ছেড়ে দু-তিন গ্রাম পার হয়ে যেতাম তবুও বাড়ি ফিরতাম না।। আসলে সেই সময় হাতে দেখার প্রতি অন্যরকম একটি আগ্রহ ছিল।।
চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করে এ পর্বে আপনি হাতি সম্পর্কে অনেক তথ্য এবং ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগলো।।

বাপরে বাপ যে রোদ আর গরম। হাতিদের মনে হয় একটু ছায়া পেতে মনে হয় না। গরমের তাপের জন্যই তো হাতিরা ছায়ায় লুকিয়ে ছিল। যাক তবুও শেষে মেষ আপনারা হাতির দেখা পেলেন। আর বেশ মজাও করলেন।

কিছু লোক মনে করে হাতিরা ভয় দেখায়, কিন্তু আমি মনে করি তারা ভদ্র এবং চতুর। আপনার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ.

আলিপুর চিড়িয়াখানা ভ্রমণের আপনার তৃতীয় পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে বক দেখার পরে হাতি দেখার বিষয়টি নিঃসন্দেহে সকলের জন্যই আনন্দের ছিল। হাতির এরকম দৃশ্য দেখে বিশেষ করে বাচ্চারা সব চাইতে বেশি আনন্দ হয়। আর আলিপুরের চিড়িয়াখানার পরিবেশটা বেশ নিরিবিলি মনে হচ্ছে। যাহোক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

প্রথম থেকে যখন তোমার ব্লগটি পড়ছিলাম ভেবেছিলাম হয়তো হাতির দেখা পাওনি কিন্তু শেষমেষ হাতির দেখা পেয়েছো সেটা তো বেশ দারুন ব্যাপার দাদা! আমি যতবার এই আলিপুর চিড়িয়াখানায় গেছি হাতি না দেখে বাড়ি আসিনি।এবার গরমের তীব্রতা যা দেখা যাচ্ছে তাতে হাতিকেও ছায়ায় আশ্রয় নিতে হচ্ছে তাই ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই টিকে থাকার।