নমস্কার বন্ধুরা,
মা দুর্গা মাত্র কদিনের জন্য বাপের বাড়িতে আসেন তবে তার আসা নিয়ে বাঙালি সারা বছরই সময় গুনতে থাকে। তাই মা যখন আসেন তখন বাঙালিরা যে যেখানেই থাকুক চেষ্টা করে দুর্গাপুজোর সময় টুকু বাড়িতে কাটাতে। মাত্র চারদিনের জন্য হলেও ভারত তথা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাড়িতে ছুটে আসে। আসলে সকলেই চায় দুর্গা পুজোর সময়ে বাড়ি ফিরে সবার সাথে পুজো কাটাতে। তার মধ্যে আলাদাই আনন্দ লুকিয়ে আছে। আমিও অন্য দের থেকে ভিন্ন নই। অপেক্ষা করছিলাম কখন পুজোতে বাড়ি যাবো। কিন্তু কলকাতার পুজোও মিস করতে চাইনি তাই চতুর্থী থেকে বেরিয়ে ষষ্ঠী পর্যন্ত যেটুকু সম্ভব হয়েছে কলকাতায় পুজো পরিক্রমা করে নিয়েছি।
সপ্তমীর দিন সকালেই বাড়ির পথে রওনা হলাম। পৌঁছাতে পৌছাতে সন্ধ্যে হয়ে গেল বটে কিন্তু পুজো মাত্র কয়েকটা দিন। সেই জন্য সময় নষ্ট করিনি। বাড়ি ঢুকে কোনরকমে মুখ ধুয়ে জামা কাপড় বদলে মা'কে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটারি টোটো চেপে বেরিয়ে পড়লাম আশপাশের কয়েকটা পুজো মন্ডপ ঘুরে নেওয়ার জন্য। জেলার দুর্গাপুজো কলকাতার পুজো থেকে অনেকটাই আলাদা হয়। কলকাতার পুজো হয় অনেক বাজেট নিয়ে তবে সেখানে ভক্তি ভাব কম, জেলার পুজোয় বাজেট কম হয় কিন্তু পুজো হয় ভক্তি ভরে।
বাড়ি এসেছি বাড়ির কাছেপিঠের পুজো না দেখলেই নয়। সন্ধ্যের শিরশিরে ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগিয়ে সপ্তমীর সন্ধ্যেতে বাড়ির আশেপাশে বেশ কয়েকটা পুজো দেখে নিলাম। গ্রামের দিকের পুজোর বাজেট কম তবে যে জিনিসটা বেশি তা হলো পুজোর আধ্যাত্মিকতা। পুজোর মন্ডপ গুলো সাধারণের উপরে হলেও পুজোর মধ্যে মানুষের অংশগ্রহণটা থাকে অনেক বেশি।
প্রথম পৌঁছে গেলাম গীতাঞ্জলি ক্লাবে। এবারে তারা ভারতের ২০২৩ সালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব চন্দ্রযান ৩'কে উৎসর্গ করে তাদের মণ্ডপ বানিয়েছে।
তারপর টোটো চেপে চলে গেলাম মিতালী সংঘের পুজোতে। মিতালী সংঘের পুজো মন্ডপটা কালী মন্দিরের আদলে বানানো। মা এখানে স্নিগ্ধ রূপে রয়েছেন।
এরপর পৌঁছে অগ্নিশিখা ক্লাবে। যাদের মন্ডপ মূলত পঞ্চরত্ন মন্দিরের স্থাপত্য আকারে বানানো হয়েছে। মণ্ডপের বাইরের আলোক সজ্জা ছিল রঙিন। যেটা ক্ষণে ক্ষণেই বদলে যাচ্ছিল। আমি যখন ছবি তোলা শুরু করলাম তখন ছিলো নীল কিন্তু ছবিতে উঠেছে লাল।
সেখান থেকে চলে গেলাম চৌরঙ্গী মোড়ের পুজোতে।যেটা ছিল সপ্তমীর রাতে আমার দেখা শেষ মণ্ডপ।
জি দাদা পুজো আসলে সবাই চায় যে পুরো পরিবার নিয়ে একটা ভালো সময় কাটুক ৷ আর পুজো মানে আনন্দ ৷ যা হোক খুব ভালো লাগলো আপনি পুজোর দিনে মা কে সঙ্গে করে পুজো মন্ডপ ঘুরে বেড়িয়েছেন ৷
তবে ভালো লাগলো গীতাঞ্জলি ক্লাবে চন্দ্রযান মন্ডপ বানিয়েছে৷ সেই সাথে অগ্নিশিখা ক্লাবে ঠাকুর সবমিলে দারুন ছিল ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শহরের মানুষদের ভক্তি শ্রদ্ধা যেকোনো কিছুর প্রতি তুলনামূলকভাবে কম থাকে, গ্রামের মানুষদের তুলনায়। এটা সবসময়ই দেখে আসছি। যাইহোক বাড়িতে গিয়ে টোটো নিয়ে সপ্তমীর রাতে বেশ কয়েকটি পূজা মন্ডপ দেখেছেন দাদা। কম বাজেটেও তারা বেশ ভালোই আয়োজন করেছে। ফটোগ্রাফিগুলো চমৎকারভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সব মিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শুধু পূজা না দাদা যেকোনো উৎসবে বাড়িতে না গেলে ভালো লাগে না। আপনি বাড়ি যাওয়ার আগে কলকাতার কয়েকটা পূজা তাহলে দেখে এসেছিলেন। ভারতের চন্দ্রযান -৩ এর থিমে তৈরি মন্ডব টা বেশ ছিল। বাড়িতে এসে অবসর কোথায় যেতে হবে ঘুরতে চমৎকার দাদা। সত্যি উৎসবের সময় গুলো যেন খুব দ্রুতই চলে যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা একদমই আমার মনের কথা বলেছ দাদা, কলকাতার যে পুজো হয় অনেক বাজেট নিয়ে তবে সেখানে ভক্তি ভাব খুবই কম। আমার কাছে কলকাতার পুজো থেকে গ্রামাঞ্চলের পুজো গুলো অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে সব থেকে ভালো লাগলো, যে তুমি কলকাতার পুজো দুইদিন দেখে তারপর বাড়িতে গিয়ে মায়ের সাথে পুজো মন্ডপ ঘুরতে বেরিয়েছো। এর থেকে ভালো কি হতে পারে। যাই হোক, তোমার দৌলাতে বেশ কিছু ভালো ভালো পুজো মন্ডপ দেখে নিলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit