নমস্কার বন্ধুরা,
ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের শৈল্পিক স্থাপত্যের সম্ভার দেখা শেষ হওয়ার পরে যে জায়গায় ঢুকে গেলাম সেটি হলো ভারতীয় সংগ্রহালয়ের মুদ্রা বিভাগ। সিন্ধু সভ্যতায় বিনিময় প্রথার মাধ্যমে জিনিসের দেওয়া নেওয়া করা হলেও পরবর্তীতে হরপ্পা সভ্যতা থেকে পাওয়া মুদ্রা দেখে অনুমান করা হয় সেই সময়ে এই গুলো ব্যবহার করে ধান, গম, গবাদি পশু, জামাকাপড় সবই আদান প্রদান হতো।
ভারতীয় সংগ্রহালয়ের কাছে বিভিন্ন যুগের প্রায় এক হাজারের বেশি মুদ্রার বিরাট সম্ভার সংরক্ষিত রয়েছে। আনুমানিক খ্রিস্ট পূর্ব পঞ্চম থেকে চতুর্থ শতক এবং বর্তমান আধুনিক যুগ পর্যন্ত প্রচলিত ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন মুদ্রা কলকাতা জাদুঘরে রাখা। যদিও ভারতীয় উপমহাদেশের মুদ্রা সংগ্রহের কাজ প্রথম শুরু করেছিল কলকাতায় অবস্থিত এশিয়াটিক সোসাইটি যা পরবর্তীতে এশিয়াটিক সোসাইটির কাছ থেকেই স্থায়ীরূপে ঋণ হিসেবে ভারতীয় সংগ্রহালয় নেয়।
পানিনির অষ্টাধ্যায়ী থেকে জানা যায় যে খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতক থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশে ধাতুর মুদ্রার প্রচলন। কালক্রমে যা বিভিন্ন সময়ে ভারতীয় মুদ্রায় বিভিন্ন ধরনের ধাতুর ব্যবহার করা হয়েছে। রুপোর সাথে সাথে তামার এবং স্বর্ণের ব্যবহার সব যুগেই দেখা যায়। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে ব্যাকট্রিয় গ্রিক রাজত্বের এবং পরবর্তীতে কুষাণ বংশে রুপো ও সোনার মুদ্রার ব্যবহার লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই সময়ের মুদ্রা গুলোর বিশেষত্ব হলো মুদ্রার উপরে বিভিন্ন রাজার আকৃতি।
পরবর্তী সময়ে গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময়ে স্বর্ণ মুদ্রাতে বিভিন্ন আকৃতি লক্ষ্য করা যায়। ইসলামিক শাসনে মুজাফফর শাহের সময়ের গুজরাট থেকে পাওয়া মুদ্রার মধ্যে পারসিক ভাষায় ছাপ রয়েছে। এবং পরবর্তী সময়ে মুঘল সাম্রাজ্যের স্বর্ণ এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্বে রুপো ও স্বর্ণমুদ্রা দেখা যায়।

আমি যেহুতু টাকা সংগ্রহ করি আজকের এপিসোড টা আমার কাছে বেশ কৌতূহলের ছিল। বেশ দারুণ উপভোগ করলাম করলাম আপনার এই পোস্ট টা। নতুন বেশ অনেক গুলো তথ্য পেলাম দাদা। সিন্ধু সভ্যতায়ও তাহলে বিনিময় প্রথা ছিল কিন্তু হরপ্পা সভ্যতা থেকে মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়। আপনার পরবর্তীত পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit