ঘরে বসেই আরসালানের মাটন বিরিয়ানির স্বাদ

in hive-129948 •  8 months ago 

GridArt_20240220_001841081.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,

ভারতবর্ষে মূলত তিন ধরনের বিরিয়ানি পাওয়া যায়। কলকাতার দম বিরিয়ানি, শ্রী রামের ভ্রাতা শ্রী লক্ষণের শহর লখনৌয়ের লক্ষ্ণৌ বিরিয়ানি এবং হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি। এই তিন প্রকার বিরিয়ানির মধ্যে কলকাতা বিরিয়ানিতেই একমাত্র আলু পাওয়া যায়। আর এই আলুটাই বিরিয়ানির থেকে বেশি আবেগ ধরে রাখে। কলকাতায় পাশাপাশি ব্যারাকপুর শহরের আলাদা এক বিরিয়ানি ঘরানার উৎপত্তি হয়েছে। যদিও সেটা অনেকটা কলকাতা বিরিয়ানির মতোই কিন্তু তারা কলকাতার তুলনায় মশলার ব্যবহার অনেক কম করে। যারা খাদ্যরসিক তাদের পার্থক্যটা বুঝতে অসুবিধা হয় না।

কলকাতা বিরিয়ানির পথিকৃৎ মূলত যে দোকান গুলি তার মধ্যে একটি নাম হলো আরসালান। কলকাতা স্টাইলের বিরিয়ানির এরাই প্রথম পরিচিত এনে দেয়। আজ সেই দোকান থেকেই অর্ডার করেছিলাম আমার দুপুরের লাঞ্চ, আরসালানের বিখ্যাত মাটন বিরিয়ানি। আমার মনে হয় তাদের বিরিয়ানি খেতে হলে আরসালান রেস্টুরেন্টে গিয়েই খাওয়া উচিত কারণ সেখানেই আপনি পাবেন তাদের সবচেয়ে সেরা প্লেট। তবে গিয়ে খাওয়ার সময় নেই এদিকে আবার খেতেও ইচ্ছে করেছে। সেই জন্যই অর্ডার করেছিলাম। রেস্টুরেন্টে না গিয়েও ঘরে বসে তো বিরিয়ানি স্বাদ নিতে আপত্তি নেই।

PXL_20240217_150450429_copy_1209x907.jpg

আমি অর্ডার করেছিলাম তাদের মূল পার্ক সার্কাস শাখা থেকে মাটন বিরিয়ানি। মিনিট ত্রিশের অপেক্ষা করতে হলো তারপর বিরিয়ানি এসে হাজির। প্যাকেট খুলে মস্ত বড় বক্স থেকে বের করে ফেললাম, ওজন ৭৫০ গ্রাম তো হবেই। বক্সের মুখটা খোলার মাত্রই গন্ধে চারপাশটা মম করতে থাকলো। তর সইতে না পেরে আমি একটা প্লেটে বিরিয়ানিটা বেড়ে ফেললাম। বক্সের ভেতরে একটা বড় মাপের আলু, একটা মাটনের টুকরো আর অনেকটা বাসমতি চালের রঙিন ভাত।

PXL_20240217_150506771_copy_1209x907.jpg

PXL_20240217_150717167_copy_1172x881.jpg

আলু দিয়েই শুরু করলাম। অতুলনীয় স্বাদ। মাটনের সাইজ দেখে অল্প দমে গেলাম। আসলে বিরিয়ানির দাম অনুযায়ী মাংসের আয়তনটা খুবই কম মনে হলো। জানিনা আমার ভাগ্যেই হয়তো ছোট সাইজের মাটন পড়েছে। যাই হোক অল্প বিরিয়ানি, অল্প আলু আর অল্প মাংসের টুকরো মুখে দিলাম। স্বাদ মোটামুটি ভালই লাগলো তবে মশলার পরিমাণটা অনেকটাই বেশি লাগলো। কিছুটা বিরিয়ানি খেয়েই আর খেতে ইচ্ছে করলো না। গন্ধের তীব্রতা জন্যই হয়তো। তবে আরেকটা জিনিসটা দেখতে পেলাম সেটা হল প্রচুর পরিমাণে তেল। যেটার জন্য বিরিয়ানির স্বাদ প্রাথমিকভাবে ভালো লাগলেও শেষের দিকে মুখ মেরে দিলো।

PXL_20240217_150705826_copy_1209x907.jpg

যতটা আশা করে বিরিয়ানি অর্ডার করলাম ঠিক ততটা ভালো লাগলো না। বাড়িতে বসে অর্ডার করেছি বলেই কি? বুঝতে পারলাম না। আসলে ভালো না লাগার কারণ দুটো ছিলো। এক বিরিয়ানিতে তেলের পরিমাণ অনেক বেশি দুই মাটনের সাইজটা দাম অনুযায়ী খুবই ছোটো। ৩৬০ টাকা যখন বিরিয়ানির দাম তখন হয়তো ১৫০ গ্রামের মাটনের পিস দেওয়া যেতেই পারতো। আমার কাছে ৬/১০।




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মাটন বিরিয়ানির খেতে ভীষণ মজা লাগে। তবে দাদা আপনাদের ওখানের আরসালানের মাটন বিরিয়ানির নাম আজকে শুনলাম। আসলে যে কোন খাবার সরাসরি দোকানে গিয়ে খাওয়াই বেটার বলে আমি মনে করি। না হয় একদিন দোকানে গিয়ে স্বাদ নিবেন। আর কেমন লাগে অবশ্যই জানাবেন দাদা পোস্ট এর মাধ্যমে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।

আরসালানের মাটন বিরিয়ানির নাম অনেক শুনেছি, তবে কখনো খাওয়া হয়নি। কিন্তু আপনার রিভিউ দেখে হতাশ হলাম দাদা। আসলেই বিরিয়ানিতে তেল এবং মসলা বেশি হলে,ততোটা খাওয়া যায় না। মাটনের পিসটা আসলেই ছোট হয়ে গিয়েছে দাদা। তবে মাটন বিরিয়ানিতে আলু দিলে খেতে দারুণ লাগে। বাসায় পার্সেল আনিয়ে খাওয়ার মধ্যে, আর রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

আরসালানের বিরিয়ানি আমার কাছে অতটা ভালো লাগে না কারণ তারা অতিরিক্ত মসলা ব্যবহার করে। আর মাংসের সাইজ শুধু তোমাকেই ছোট দেয়নি দাদা, সবাইকেই ছোট ছোট মাংসের সাইজ দেয়। তবে তুমি অতিরিক্ত তেল এবং মসলার কারণে যে খেতে পারোনি, এটা কিন্তু স্বাভাবিক। আমি আরসালান বিরিয়ানি শুনেই বুঝতে পেরেছিলাম যে রিভিউ কেমন হতে চলেছে। তবে ওখানে বসে খেলে কিছুটা ভিন্নতা পাওয়া যায় আর কি।