কবিতা : ‘উৎসব’ - ফ্যান্টম | আবৃত্তিতে : নির্মাল্য

in hive-129948 •  2 years ago 

fireworks-gddf1728a1.jpeg

Copyright & Royalty Free Image : Pixabay

নমস্কার বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় আপনারা সকলেই সুস্থ ও সবল আছেন। আপনাদের আশীর্বাদ ও ভালোবাসায় আমি এখন অনেকটাই ভালো আছি। আজ অনেকদিন পর আপনাদের সামনে আরো একটি কবিতা আবৃত্তি নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম।

আপনাদের সামনে আমি আমাদের সকলের প্রিয় ফ্যান্টম দার একটি কবিতা আবৃত্তি রূপে পরিবেশন করছি। আবৃত্তি সিরিজে এটি আমার ষোলো তম উপস্থাপনা। আমার আজকের পরিবেশনা, উৎসব। উৎসবের মরশুমে কবিতাটি আরো বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে যেখানে আমাদের পাশের মানুষ গুলো কষ্টে আছেন। আমার বিস্তারিত মতামত অভিমত পর্যায়ে গিয়ে আরো আলোচনা করবো। আর দেরি করা ঠিক হবেনা, চলুন শুরু করে দেওয়া যাক।


"উৎসব"

ফ্যান্টম

পুজো মানেই আনন্দ আলোকময় চারিধার;
সুন্দর পোশাক আর উদ্দীপনা নিয়ে
রাস্তায় নামে হরেক রকম মানুষের ঢল ।
পাড়ায় পাড়ায় খুশি, হাসে ছেলে বুড়োর দল;
অনেক দিন পর সেই আনন্দ নিয়ে
ঘরে ফিরেছি সীমান্তের উৎসব রেখে ।
প্রতিদিন অনিশ্চয়তা আর আকস্মিকতা
নিয়ে উৎসব রচিত হয়, ভোর থেকে রাতে;
গুলির এক একটা আওয়াজ আতশবাজি
আর কামানের হুঙ্কার শব্দ বাজি হয়ে;
আমাদের উৎসব পালিত হয় হাসি কান্নায় ভেসে।
আজকে আমাকে পাঠানো হলো ঘরে,
এই দুর্গা পূজার আনন্দকে দু'হাতে জড়িয়ে।

আমি একটু অন্য রকম হয়ে গেছি,
এই উৎসব আমাকে টানে না ।
এই মাটির মূর্তিতে আমি মাতৃত্ব খুঁজি না,
আমার ঘরে সহস্ত্র রাত্রি পেরিয়ে
পথ চেয়ে বসে আছে জগৎ জননী ।
আমার সব উৎসব তাঁকে আবর্তিত করে,
পুজো হয় বিশ্বাসের আলোকে নিভৃতে
হৃদয়ের মাঝে হৃদয়ের আহ্বানে।
তোমার দুর্গা আলোয় ভরা
বিসর্জন যাবে দশমীর ঘন্টা বাজলে,
আমার দুর্গার অশ্রু শুকালেই,
পৃথিবী থেকে অসুররা নিপাত যাবে।

আমার মতামত

সাধারণ মানুষের কাছে পুজোর সাথে আলোর রোশনাই, নতুন জামা কাপড় এবং আনন্দ ঘন মুহূর্তরা জড়িয়ে রয়েছে। তেমনি যে সমস্ত সৈন্যরা অতন্দ্র প্রহরী রূপে সীমান্তে দাড়িয়ে আমাদের ৩৬৫ দিন রক্ষা করে চলেছেন তাদের কাছে আমাদের পুজোর আতশবাজি যেন সীমান্তের কামানের আওয়াজ কিংবা গুলির আওয়াজের মতোই। তাই যখন সৈন্যরা দুর্গাপুজোয় কিংবা অন্য কোন উৎসবে বাড়ি আসেন তখন যেন তাদের কাছে উৎসবের মাহাত্ম্যর থেকে বাড়ি ফেরা বেশি গুরুত্ব পূর্ণ। কারণ সারা বছর সীমান্তে থাকবার পরে তারা বাড়িতে থাকা মায়ের কাছে ফিরে আসে।

কবিতার কথাগুলো তাই আজ খুবই প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। কারণ অজে উৎসবের মরশুম গুলোতে আমরা নিজেদের দিকটাই যেখানে ভাবি সেখানে আমাদের সমাজের যে মানুষ গুলো আলোর রোশনাইতে থেকেও অন্ধকারে ডুবে আছেন। যাদের সন্তানরা এখন ঘরে নেই তাদের কথা আমরা মোটেও ভাবি না।

সেজন্যই এক জন সৈন্যর কাছে দুর্গাপুজোর ছুটিতে আসার থেকে গর্ভধারিনী মায়েরই কাছে আসাটা বেশি মাহাত্ম্য পেয়েছে। কারণ মা দুর্গা দশদিনের জন্য ধরাধামে আসেন কিন্তু আমাদের গর্ভধারিনী মা সব সময় আমাদের পাশে থাকেন। অথচ আমরা আমাদের ঘরের দুর্গা গুলোকেই যেন দূরে সরিয়ে রেখেছি। মা দুর্গা যেমন অসুরকে নিধন করেন তেমনি যদি আমরা গর্ভধারিনী মায়ের অশ্রু থামাতে পারি তাহলে হয়তো আমাদের সমাজের আসুর গুলো ধ্বংস করা যাবে।


আবৃত্তি


Made with VEED.IO

ধন্যবাদ




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness


Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে দাদা বরাবরই চমৎকার চমৎকার কবিতা লেখেন ৷ আর আপনি আবৃত্তি করে তার সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দেন ৷ দাদার লেখা কবিতাটি চমৎকার ভাবে আবৃত্তি করেছেন ৷ সত্যিই অনেক ভালো লাগলো আপনার গলায় দাদার সুন্দর কবিতাটির আবৃত্তি শুনে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷

সৈন্যদের বিষয় নিয়ে যে কথা বলেছেন এই কথার সাথে আমি সহমত। এরা সব সময় নিজের জীবনকে বাজি রেখে, নিজের দেশকে রক্ষা করে। বছরের পূজার ভিতর ছুটি পায়, তখন পুজার গুরুত্ব না দিয়ে বাড়ি ফেরা, বাড়ির পরিবার স্বজন বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।আর মা সে তো জননী। এই পৃথিবীতে সব থেকে আপন হচ্ছে মা। মায়ের কোন কিছুর সাথে তুলনা হয় না। মা তো মা।

অসাধারন এক আবৃত্তি শোনালেন দাদা। আমাদের দাদার লেখা কবিতা খুবই সুন্দর হয় সব সময়। আর সে কবিতা আজ আপনি সাবলিল ভাবে আবৃত্তি করে শুনিয়েছেন। সত্যি এক কথা অসাধারন হয়েছে। আমিও মাঝে মধ্যে একটু আকটু কবিতা আবৃত্তি করি। ভালো লাগে অনেক। শুভেচ্ছা নিয়েন দাদা।

অনেক আগে পড়েছিলাম দাদার এই লেখাটা। আজ আবার আবৃত্তির মাধ্যমে পুরো লেখাটা শুনলাম নতুন করে। সত্যি বেশ ভালো লাগলো দাদা। লেখাটায় একটা অন্যরকম আবেগ জড়িয়ে আছে। আর আমাদের দাদা যে ভাবে ভেবেছে এটা নিয়ে প্রশংসা করলেও হয়তো কম হয়ে যাবে।

আর দাদা আপনি একবার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অ্যাড করবেন তো । আমার মনে হয় আরো সুন্দর লাগবে তখন।

প্রিয় দাদা, আপনি আমাদের অভিভাবক ফ্যান্টম দাদার লেখা উৎসব কবিতাটি অতি চমৎকারভাবে আবৃত্তি করেছেন। আপনার মিষ্টি কন্ঠে কবিতার প্রতিটি শব্দ সুস্পষ্টভাবে উচ্চারিত হয়েছে। আমি বিগত দিনেও আপনার কন্ঠে অনেকগুলো কবিতা আবৃতি শুনেছি। আপনার জাদু মাখা কন্ঠের কবিতা আবৃতি শুনে যেন মন ভরে না। প্রিয় দাদা আপনার মিষ্টি কন্ঠে আগামী দিনেও আরো কবিতা আবৃত্তি শোনার অপেক্ষায় রইলাম।

দাদা আপনার লেখা কবিতাটি অসাধারণ হয়েছে সেই সাথে আবৃত্তিও ছিল অসাধারণ। উৎস যেমন সবার জন্য আনন্দ বয়ে আনে আবার তেমনি কিছু কিছু মানুষের কষ্টেরও কারন হয়ে যায়। সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর পেশায় যারা নিয়োজিত আছে তারা হয়তো সবাই একসাথে পুজোর বাড়ি ফিরতে পারেনা যারা আসে তারা তো নিজের পরিবারের সাথে খুব ভালো একটি উৎসব উপভোগ করতে পারে তাদের আনন্দের সীমা থাকেনা। কিন্তু যে মানুষ গুলো দিন রাত এক করে উৎসব ভুলে সীমান্ত কে রক্ষা করে যাচ্ছেন তাদের কে জানাই স্যালুট।🙏 দাদা আমিও আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি দেবি মা তো আসে মাত্র দশদিনের জন্য এই আনন্দ ক্ষনিকের জন্য, আর আমাদের গর্ভধারিণী মাত থাকে সবসময় তাই তাদেরকে ভালো রাখা সুখে রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। মা দূর্গা সকলের ভিতরের অসুর গুলো কে নিধন করুক এই প্রার্থনা করি সবসময় মায়ের কাছে।🙏🙏 ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আপনি বড় দাদার কবিতাগুলো আবৃত্তি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেন। আসলে আপনার আবৃত্তি শুনতে খুবই ভালো লাগে।বড় দাদার কবিতাগুলো আপনারা বৃত্তের মাধ্যমে যেন প্রাণ ফিরে পায়। আসলে কবিতা আবৃত্তি করলে সেই কবিতাটি আরো বেশি ভালো লাগে। যাইহোক আপনার কবিতা আবৃত্তি আজকে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

আশা করি ভাইয়া, ভালো আছেন? শ্রদ্ধেয় বড় দাদা লেখা কবিতা আবৃত্তি করেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। আসলে আপনার কবিতা আবৃতি খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আসলে দাদার কবিতা গুলো খুবই সুন্দর হয়। তার মাঝে আপনার কন্ঠে দাদার কবিতা আবৃত্তি শুনে সত্যিই অনেক অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর ভাবে কবিতা আবৃত্তি পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি । ভালো থাকবেন ভাইয়া।

বড় দাদার কবিতা সৃষ্টি বেশ দারুন ছিল, দাদা আপনি এই কবিতাটি খুব সুন্দর ভাবে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় সম্পূর্ণরূপে আবৃত্তি করে কবিতার জীবন দিয়েছেন। দাদা এই কবিতাতে আপনার সম্পূর্ণ মতামত যুক্তিসঙ্গত। প্রথমে আমাদের নিজের মাকে পূজা করতে হবে। গর্ভধারিণী মাকে পূজা করলেই সে পূজা জগত জননী মাতা দুর্গা পেয়ে যায়।

দাদা, বড় দাদার লেখা কবিতা উৎসব আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আবৃত্তি করেছেন।আমি আপনার আরেকটা কবিতা আবৃত্তি শুনেছি বড় দাদার লেখা। আপনি খুবই খুবই সুন্দরভাবে আবৃত্তি করেন যা শুনলে সত্যি ভালো লাগে।

তাই যখন সৈন্যরা দুর্গাপুজোয় কিংবা অন্য কোন উৎসবে বাড়ি আসেন তখন যেন তাদের কাছে উৎসবের মাহাত্ম্যর থেকে বাড়ি ফেরা বেশি গুরুত্ব পূর্ণ।

একজন সৈনিক এমনি হয়,যখন দুর্গাপূজা বা উৎসবে বাড়ি ফিরেন তখন ঐ উৎসবের থেকেও বাড়ি ফেরার উৎসব টা অনেক বেশি হয়ে থাকে।কারণ ৩৬৫ দিন তারা আমাদের পাহারা দিয়ে রাখেন কোন উৎসবে তারা একত্রিত হতে পারেন না পরিবারের সাথে।যখন একটু ছুটি পান কোন উৎসবের মাঝে তখন উৎসব টাকে খুব ছোট মনে হয় পরিবারের আপন মানুষদের কাছে পেয়ে।ধন্যবাদ দাদা 💐💐

  ·  2 years ago (edited)

দাদা ,অনেক সুন্দর কবিতা আবৃত্তি করেছেন সঙ্গে উপস্থাপনা করেছেন।আসলে উৎসব মানেই ঘরে ফেরার আনন্দ।কিন্তু যে সমস্ত সৈন্যরা অতন্দ্র প্রহরী রূপে সীমান্তে দাড়িয়ে আমাদের সর্বদা রক্ষা করে চলেছেন তাদের কথা ভেবে যেমন গর্ব হয় তেমনি খারাপ লাগে।কেননা পূজার সময় ও কিছু সৈন্য ঘরে ফিরলেও অনেকেই মায়ের কাছে দায়িত্বের কারনে আসতে পারে না।আপনি ঠিকই বলেছেন দাদা,মায়ের জন্য আসাটা বেশি মাহাত্ম্যপূর্ণ।