পুজো পরিক্রমা ২০২৩ : নিউটাউন ক্লাব

in hive-129948 •  9 months ago 

নমস্কার বন্ধুরা,

উত্তমাশা ক্লাবের ভাবনাতে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও শৈশবে ফিরে গেলাম। সেই রেশ নিয়ে একটা নস্টালজিক অনুভূতি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম পরের গন্তব্যের দিকে। যদিও উত্তমাশা ক্লাবের মন্ডপ থেকে বেরিয়েই ফাঁকা জায়গা দেখে বসে পড়লাম। সেটা নস্টালজিক হওয়ার জন্য হোক কিংবা এতটা পথ হেঁটেই হোক 😁। কারণ যাই হোক বেশ কিছুটা সময় বসে পা দুটোকে জুড়িয়ে ফের শুরু করলাম আমার পুজো পরিক্রমা, পরের গন্তব্য নিউটাউন ক্লাব। পুজো পরিক্রমায় আসার আগে থেকেই নিউটাউন ক্লাবের পুজোর অনেকের মুখে শুনছিলাম। এবং উত্তমাশা ক্লাবের মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে নিউটাউন ক্লাবের দিকে যে পরিমাণে দর্শনার্থীদের হাঁটতে দেখলাম বুঝতে বাকি রইল না যে সবাই নিউটন ক্লাবের দিকেই এগোচ্ছেন। আসলে নিউটাউন ক্লাব শ্রী শ্রী রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার আগেই জেলা বাসীকে মন্দিরের এক আগাম ঝলক দেখাতে তাদের মন্ডপের ভাবনাতে শ্রী রাম মন্দিরকে ফুটিয়ে তুলেছে। সেই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে মানুষের ঢল নেমেছে।

PXL_20231022_233841129_copy_1209x907.jpg

PXL_20231022_233824726_copy_1209x907.jpg

মণ্ডপে যে ভীড় হবে সেইটা আগে থেকেই মোটামুটি একটা ধারণা ছিলো। হাঁটতে হাঁটতে যখন মন্ডপের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম তখন সেটা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারলাম। আসলে ভিড়টা কতটা প্রায় এক কিলোমিটার পথ হাঁটার পরে মন্ডপে ঢোকার মূল লাইনে ঢুকে বুঝলাম। উত্তমাশা ক্লাব থেকে নিউটাউন ক্লাবের দূরত্ব দেড় কিমি সেখানে এক কিমি হেঁটে মণ্ডপের লাইনে পৌঁছে গেলাম। ঘড়িতে তখন বারোটা ছুঁই ছুঁই তবুও ভীড় দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। মানুষের মাথা গুনে শেষ করা সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে ভিড়ের সাথে মন্ডপের একদম সামনে পৌঁছে গেলাম। তখন বুঝতে বাকি রইল না কেন এখানে এতটা ভিড় হচ্ছে। আসলে মন্দিরের আদলে মণ্ডপটি যে কতো সুন্দর দেখতে হয়েছে সেটা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা সম্ভব নয়। বেশ কিছু সময় লাইনে থাকার পর অবশেষে মন্ডপের একদম কাছাকাছি যাওয়ার পরে মণ্ডপের সূক্ষ্ম কাজ গুলো নজরে এলো।

PXL_20231022_234000493_copy_1209x907.jpg

PXL_20231022_234338412_copy_907x1209.jpg

মণ্ডপের আলোর কাজ ছিলো নজরকাড়া। যেটা মন্ডপের শোভা কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। মন্ডপে বাইরের কাজ হয়েছে কাঠের ও ফোমের উপরে। তবে দূর থেকে দেখে মনে হতেই পারে মন্ডপটি পাথর দিয়ে তৈরি করা। মন্ডপের কাজ এতটাই সূক্ষ্ম। মন্ডপের ভিতরে ঢুকে আরো মুগ্ধ হলাম। মন্ডপের বাইরের মত অন্দরের কাজ অসাধারণ। শুধুই অভিভূত হতে হয়। যেন শ্রী রাম মন্দিরের অন্দরে ঢুকে পড়েছি। শিল্পীদের হাতের কাজ প্রশংসনীয়। মন্ডপের দেওয়ালে রামায়ণের বিভিন্ন পর্বের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।

PXL_20231022_234416609_copy_1209x907.jpg

PXL_20231022_234435700_copy_1209x907.jpg

PXL_20231022_234428868_copy_1209x907.jpg

জগৎ জননী মা দুর্গা মণ্ডপের ঠিক মাঝে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। মণ্ডপের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই দেবী প্রতিমা।

PXL_20231022_234447566_copy_1209x907.jpg




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness

Or

Set @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা, তোমাদের ওখানকার নিউটাউন ক্লাব এর মত আমাদের কলকাতাতেও কিন্তু সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার রাম মন্দিরের থিম করেছিল। তাছাড়া তোমাদের ওখানে এই মন্দিরে ভিড় হওয়ার কারণও কিন্তু ওটাই। তবে এটা সত্যি কথা যে, মন্দিরের লাইটিং গুলো অত্যন্ত সুন্দর লাগছে এবং ভেতরে মায়ের মূর্তিটাও অনেক সুন্দর এবং বেশ খানিকটা ইউনিক মনে হল আমার কাছে। যাইহোক, তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা, এত সুন্দর একটা মন্দির এবং মায়ের মুখ দর্শন করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

দাদা দূর্গা পূজা উপলক্ষে নিউটাউন ক্লাব এককথায় দুর্দান্ত আয়োজন করেছে। তাদের আয়োজন দেখে তো চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। এতো চমৎকার আয়োজন দেখতে তো মানুষের ভিড় হবেই। কতো নিখুঁতভাবে সবকিছু করেছে। কাজগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে শিল্পীরা কতোটা দক্ষ। অবশ্যই তারা প্রশংসার দাবিদার। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।