নমস্কার বন্ধুরা,
৯৩,০০০ পাকিস্তানি সেনার আত্মসমর্পণ দিয়ে যুদ্ধের সমাপ্তি। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধের পরিণতি পেলো। বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবুরের নেতৃত্বে সৃষ্টি হলো নতুন দেশের, বাংলাদেশ। ১৬ ই ডিসেম্বরের আমাদের দুদেশের কাছেই বিজয় দিবস পরিচিত। আজকের দিনটা যেভাবে বাংলাদেশ বিজয় দিবস হিসেবে পালিত করে, তেমনি একইভাবে প্রতি বছর ভারতেও বিজয় দিবস পালিত হয়। আজ সেই বিশেষ দিন, যেদিন ১৯৭১ সালে ভারত-বাংলাদেশের সম্মিলিত মিত্রবাহিনী পাকিস্তানি সেনাকে সমরে পরাস্ত করে একটি ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে।
যুদ্ধের শুরু হয় পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) জনগণের স্বাধীনতা আন্দোলন দিয়ে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) বাংলা ভাষাভাষী সাধারণ জনগণের উপর নামিয়ে আনে অমানবিক অত্যাচার। পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে নিহত হতে থাকেন অগণিত সাধারণ মানুষ, যুদ্ধ শেষে সেই সংখ্যা শেষপর্যন্ত দাঁড়ায় ৩০ লাখে। কোটি কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে ভারত তখন মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়ায়। শুরুর দিনে সরাসরি যুদ্ধে নেমে না পড়লেও ভারতীয় সরকার ও সেনা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করে, তাদের অস্ত্র যোগান করতে থাকে। পাকিস্তানী সেনা সব অত্যাচারের মাপদণ্ড পেরিয়ে গেলে, ভারত সরাসরি যুদ্ধে নামতে বাধ্য হয়। ভারত-বাংলাদেশের যৌথভাবে মিত্রবাহিনী নিয়াজী সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।
৩রা ডিসেম্বর তারিখে ভারতীয় সেনা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সরাসরি পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে নামে, দুই সেনার নাম হয় মিত্রবাহিনী। তারপর যুদ্ধ চলে মাত্র ১৩ দিন। ভারত-বাংলাদেশের মিত্রবাহিনীর অসাধারণ সাহস ও দক্ষতার কাছে পাকিস্তান পরাজিত হয়। ১৬ ডিসেম্বর, ঢাকায় ৯৩,০০০ সেনা নিয়ে পাকিস্তানি সেনাপতি জেনারেল নিয়াজী আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় জেনারেল এবং মিত্রবাহিনীর প্রধান শ্রী জগজিৎ সিং অরোরা'র কাছে আত্মসমর্পণ করে। সেই ঘটনার মধ্য দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ নামে এক নতুন দেশ হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে জায়গা পায়।
বাংলাদেশের আজ যেমন সৃষ্টির দিন, নতুন স্বাধীন ভোরের দিন, সার্বভৌমত্ব পাওয়ার দিন। তেমন ভাবে ভারতের কাছে এই দিনটি আজ সামরিক বিজয়ের দিন। শুধুমাত্র যে সামরিক বিজয় তা নয়, আজ মানবতা ও ন্যায়ের জয়ের দিন। ১৯৭১ সালে বীর গতি পান ২ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা, আর ৩,৮৫০ ভারতীয় সেনা বীরগতি প্রাপ্তি পান। প্রায় ১০,০০০ ভারতীয় সেনা আহত হয়। যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনী-মুক্তিবাহিনী জোট অসীম সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়ে আসে। তাই আজ আমাদের বড়ই গর্বের দিন। বিজয়ের দিন।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দুই দেশের সমান সাপোর্টের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি এক স্বাধীন সার্বভৌম ভূখণ্ড। আমাদের এই দেশ স্বাধীনের পিছনে রয়েছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের অসীম সহযোগিতা, যার ফলে আমরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করতে পারছি। এছাড়াও দুই দেশের লক্ষাধিক মানুষের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই বাংলাদেশ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রত্যেকটা জাতি স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে চাই। স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার মাধ্যমে সে জাতি যেন মুক্ত পাখির মতো উড়ে বেড়ানোর
স্বাদ পায়।তাই স্বাধীনতার পিছনে ভারতের অবদান অপরিসীম। আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন দাদা
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভারত আমাদেরকে তখন সবদিক দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেছিল বলেই,শেষ পর্যন্ত আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলাম। তাই এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। যাইহোক দারুণ লিখেছেন দাদা। সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit