নিগমবাদ করুন: নিগমবাদ হলো বর্তমান মুহূর্তে সচেতন থাকা এবং সেটি পুরোপুরি অনুভব করা। এটি আমরা দূর্বলকরণকারী চিন্তাগুলি থেকে মুক্ত হতে এবং বর্তমান অভিজ্ঞতায় পুরোপুরি নিশ্চল হতে একটি সুযোগ। নিগমবাদ অনুশীলনে সচেতনভাবে শ্বাস নেওয়া, আমার আমার চারপাশের বিশদগুলির মধ্যে মনোযোগ দেয়া এবং বর্তমান মুহূর্তকে পরিচিত করা শারীরিক অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিবেদন করে। নিগমবাদ আন্তর্জাগ্রিতা, উন্নত কেন্দ্রবিন্দু এবং জীবনের সত্যিকার মান উপলব্ধির দিকে এনে যেতে পারে।
আভারী হোন: আভারী হওয়া মানে জীবনে যা আছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। আভার হলো এমন মনোভাব যার মাধ্যমে আমরা খুশি হবার ছোট ছোট বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণ করতে পারি এবং তা স্বীকার করতে পারি। প্রতিদিন আভার অনুশীলন করা সক্ষমতা কে সুদৃঢ় করে, তারপরও স্ট্রেস কমায় এবং আমাদের জীবনের পজিটিভ দিকগুলির উপর কেন্দ্রিত হতে সাহায্য করে। আভারী হওয়া আমাদেরকে একটি আনন্দময় এবং পূর্ণতা পূর্ণ জীবনে পরিনত করতে সহায়তা করতে পারে।
সকারাত্মক হোন: সকারাত্মক হওয়া মানে একটি সকারাত্মক মনোভাবে চিন্তা করতে এবং জীবন পরিচালনা করতে। এটি নেতিবাচক অবস্থায় জীবনের সম্মুখভূত পরিস্থিতিতে পজিটিভ ভাবে সামগ্রিক চিন্তা ব্যবহার করা বলতে। একটি সকারাত্মক মনোভাব গ্রহণ করলে আমরা সঙ্কট ও সমস্যাগুলি অতিক্রম করতে সক্ষম হয়ে যাই এবং সকারাত্মক সমাধান খুঁজে পেতে পারি। সকারাত্মক চিন্তা আমাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, উদ্যম বৃদ্ধি এবং সাধারণত জীবনের মান বৃদ্ধি করে। সকারাত্মক হওয়া নেগেটিভিটির সাথে মোকাবেলা করতে সহায়তা করে এবং একটি আনন্দময় জীবনে নেবে।
সত্যিকার হোন: সত্যিকার হওয়া মানে আমাদের আন্তরিক মান সংরক্ষণ করা এবং আমাদের সত্যিকার স্বভাব প্রকাশ করা। নিজের সত্যিকার থাকা আমাদেরকে অন্যের প্রত্যাশাকে পূর্ণ করে যাওয়া ছাড়াই আমাদের বিশ্বাস এবং প্রেমের সাথে জীবনযাপন করতে দেয়। নিজের মান সংরক্ষণ করার মাধ্যমে আমরা আন্তরিক পূর্ণতা এবং অর্থপূর্ণতা অনুভব করি। সত্যিকার হওয়া আমাদেরকে অন্যদের সাথে আসলে পরিচয়বোধ করার সুযোগ দেয় এবং আরও অর্থপূর্ণ জীবন যাপন করতে সক্ষম করে।
দয়ালু হোন: দয়ালু হওয়া মানে অন্যের প্রতি বোধহয় ও সমর্থন করা। অন্যদের সাহায্য করা, তাদেরকে ভালোবাসা দেওয়া এবং সহানুভূতি প্রদর্শন করা একটি সংযুক্ত এবং ভালোবাসাময় পৃথিবী সৃষ্টি করার জন্য অবদান রাখে। ভালমতে পরিচর্যা করা নিঃশেষে অন্যের জীবনের উপর সকারাত্মক প্রভাব রয়েছে এবং আমাদের নিজের অভ্যন্তরীণ শান্তি বৃদ্ধি করে। অন্যের প্রতি দয়ালু হলে, আমরা আনন্দ এবং সুখ ছড়িয়ে দিতে পারি, না কেবল তাদের কেবল বরং আমাদের নিজেদের জন্যও।