বাড়ির পাশে জমিদার বাড়ি 🐺🐺 ( লাজুক খ্যাকের জন্য ১০% পে আউট এবং ৫% এবিবি স্কুল এর জন্য ) 🐺🐺

in hive-129948 •  2 years ago 

• ১০ কার্তিক
• ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
• বুধবার
• বাড়ির পাশে জমিদার বাড়ির গল্প ও ফটোগ্রাফি।

আসসালামু আলাইকু।কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি। আমি বাংলাদেশী একজন ইউজার। আমি আমার বাংলা ব্লগ এ নতুন ইউজার। আমি @kosto আপনাদের মাঝে শেয়ার করব জমিদার কেদার চন্দ্র লাহিড়ী এর কিছু তথ্য ও ফটোগ্রাফি।

            বাড়ির সামনের চিত্র 

20220903_174841.jpg

        একটু দূরে পাশ থেকে তোলা  

FB_IMG_1666798724795.jpg

আমাদের কুষ্টিয়া জেলা কুমার খালী থানার মধ্যে অনেকগুলা জমিদার বাড়ি রয়েছে এরমধ্যে একটি জমিদার কেদার চন্দ্র লাহিড়ী তার বাড়ি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছি। আমরা সকলেই জানি যারা জমিদার তেরা পরপুরুষ থেকে জমিদার এর দায়িত্ব পালন করে । জমিদার কেদার জন্য লাহিড়ী ছিলেন ব্রিটিশ আমলের জমিদার তারা পূর্বপুরুষ ধরে বণিকদের কাছ থেকে বা সাধারন জনগনের কাছ থেকে খাজনা বা কর আদায় করে থাকেন। জমিদার'দের মূল কাজ ছিল সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কর আদায় করা। আপনারা যে বাড়িটি দেখতে পাচ্ছেন এই বাড়িটি নির্মাণের সময় জমিদার কেদার চন্দ্র লাহিড়ী তিনি নিজে ভাটা তৈরি করে তার নিজের নামে ইট বানিয়ে বাড়িটি নির্মাণ করেন। ইটের উপরে লিখেন k,c,l এটির অর্থ হলো কেদার চন্দ্র লাহিড়ী। জমিদার কেদার চন্দ্র লাহিড়ী বাড়ি তৈরি করার জন্য দার্জিলিং থেকে শাল কাঠ সংগ্রহ করেন।

    জমিদারবাড়ির সাথে একটি সেলফি। 

20220903_175320.jpg

        উত্তর পাশ থেকে বেরোবার গেট। 

20220903_174948.jpg

জমিদার কেদার চন্দ্র লাহিড়ী উনার বিষয়ে আমার একটি দাদার কাছ থেকে জানেছি যদিও তার সম্পর্কে সম্পূর্ণ গল্পটি জানা যায়নি। জমিদার কেদার চন্দ্র লাহিড়ীর বাড়ির সামনে ডানপাশে একটি পারিবারিক মন্দির ঘর ছিল। যদিও মন্দির ঘরটির কোন অস্তিত্ব আর এখন নেই। মন্দির ঘরটি ভেঙে তোলা হয়েছে সরকারি ভূমি অফিস।যখন আপত্তি তোলা হয় তখন সম্পূর্ণ মন্দির ছিল না ভাঙ্গা কিছু ইটের খন্ড কয়েকটি দেয়াল ছিল।এখন শুধু রয়ে গেছে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন জমিদার বাড়ি। দাদার কাছ থেকে শুনেছি উনার একটি পুত্র সন্তান ছিল যার নাম রায়বাহাদুর পূর্ণচন্দ্র লাহিড়ী তিনি বাহাদুর উপাধি পান ভারতীয়-বাঙালি বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু যিনি ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা করেছিলেন।তাকে ধরিয়ে দেওয়ার পর। রায়বাহাদুর পূর্ণচন্দ্র লাহিড়ী ছিলেন নদিয়া ডিসটিক এর এসপি। জমিদার কেদার চন্দ্র লাহিড়ীর বংশের অনেকে এখন ইন্ডিয়াতে বসবাস করে। আজ এ পর্যন্তই পরবর্তী পোস্টে আরো ভালো কিছু পোস্ট করার চেষ্টা করব ধন্যবাদ সবাইকে।

এখানে কেউ আসেনা এটা জমিদার বাড়ির পিছনের সাইট ডান সাইডে আছে ভূমি অফিস ভেতরে যাবার কোনো রাস্তা খোলা নেই সব বন্ধ।

20220903_175050.jpg

20220903_174851.jpg

        আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে 
            আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। 
        🌼🌼 (সবাইকে ধন্যবাদ) 🌼🌼

সমস্ত ছবিরতথ্য
লোকেশনবাংলাদেশ
ক্যামেরাস্যামস্যাং এম ২১
ক্যামেরাম্যান@kosto
w3wordshttps://w3w.co/pulsating.gasped.tomorrow
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কেদার চন্দ্র লাল অরফে ক্ষুদি রাম বসুর মামার বাড়ি আমাদের বাসার পাশেই খুবই পুরাতন একটি নিরমান। দারুন ভাবে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন অনেক ভাল হয়েছে শুভ কামনা রইলো এগিয়ে যান এভাবেই 🥰❤️❤️

ভাই আমরা আগে এটাই জানতাম এটা ক্ষুদিরাম বসুর মামার বাড়ি কিন্তু এই বাড়ির সাথে ক্ষুদিরাম বসুর কোন সম্পর্কই নাই।

ভাই আমরা আগে এটাই জানতাম এটা ক্ষুদিরাম বসুর মামার বাড়ি কিন্তু এই বাড়ির সাথে ক্ষুদিরাম বসুর কোন সম্পর্কই নাই।

একটা সময়ের সেই জাঁকজমক জমিদারবাড়িটি আজ পরিত্যক্ত, আপনি খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন এবং চমৎকারভাবে জমিদার কেদার চন্দ্র এর জমিদারি সম্পর্কে আমাদেরকে জানিয়েছেন পোস্টের মাধ্যমে, পোস্টটি আসলেই খুব চমৎকার হয়েছে জমিদার বাড়িটি আমার খুবই পছন্দ হয়েছে।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

এই পোস্টটাতে বানান ভুলের পরিমাণ আগের থেকে কম হয়েছে। রাই বাহাদুর পূর্ণ চন্দ্র লাহিড়ীর ব্যাপারে আপনি যে তথ্য দিয়েছেন সেটা কতটুকু সঠিক তা জানিনা। তবে যদি ঘটনা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে তিনি খুবই ঘৃণ্য একটি কাজ করেছিলেন। পোস্টটি মোটামুটি ভালই লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

রায়বাহাদুর পূর্ণচন্দ্র লাহিড়ী তার কাজটি আমারও ভাল লাগেনি। ধন্যবাদ ভাইয়া ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার জন্য।

কেদার চন্দ্র লাহিড়ী সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
তার নামের ইটে ছাপ দেওয়া হয়।কিন্তু তার ছেলে যে কাজটি করেছেন সেটি খুবই
জঘন্যতম ও নির্মমতা।ছবিগুলো ভালো ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য