০৬পৌষ , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

২১ডিসেম্বর , ২০২২ খ্রিস্টাব্দ

২৬জমাদিউল আউয়াল, , ১৪৪৪ হিজরী

বুধবার।

শীতকাল।

---

---

আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি

---

🚴

আমার বাংলা মূলক পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করে আমার আজকের ভ্রমন পোস্ট শুরু করছি। বেশ কয়েকদিন আগে আমি এবং আমার দুই বন্ধু ঘুরতে গিয়েছিলাম কুষ্টিয়ার বিখ্যাত একটি জায়গায়। হয়তো আপনারা প্রথমে ফটোটা দেখেই বুঝতে পেরেছেন কোথায়। হ্যাঁ জায়গাটি হচ্ছে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আজকের পর্বে শুধু আমাদের ভ্রমণ কাহিনী সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব আমাদের ফটোগ্রাফি আপনাদেরকে দেখাবো পরবর্তী আরো একটি পর্বতে দেখানোর চেষ্টা করব বাড়িটি ঘুরে। তাহলে চলুন এবার শুরু করি।

---

🚴

বরাবরই আপনারা জানেন যে আমি একজন ভ্রমণ পিপাসু ব্যক্তি ভ্রমণ করতে আমার খুবই ভালো লাগে। বন্ধুবান্ধব অথবা বড় ভাই ছোট ভাই যে সাথে থাকুক না কেন ছুটে চলে যাই দূর দূরান্তে ঘুরে দেখতে অজানাকে জানতে। আমাদের বাড়ি থেকে অবশ্য বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি বেশি দূর না মাত্র ১০ কিলোমিটার। এজন্য মাঝে মাঝেই জমা হয় সেদিন গিয়েছিলাম বিশেষ কোনো কারণ ছিল না। হঠাৎ করেই বাইক নিয়ে বের হয়েছিলাম বিকেলবেলা ঘুরতে ঘুরতে চলে গেলাম বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত জায়গায়। বাইক থামিয়ে গেটে দাঁড়িয়েই দুই বন্ধু একটি সেলফি উঠিয়ে নিলো ততক্ষণে আমি টিকিটটা কেটে নিলাম।

---

🚴

কিছুদিন পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি মেলার আয়োজন হবে। এজন্য রবীন্দ্র বাড়িকে সাজানো হচ্ছে এক অপরূপ সৌন্দর্যে। গেট দিয়ে ঢুকতেই নাক বরাবর আপনার চোখে পড়বে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি। যেখানে বসে তিনি লিখেছেন হাজারো গল্প কবিতা নাট্য যেখানে তিনি কাটিয়েছেন তার জীবনের মধুময় সময়। জায়গায় স্থিতিস্বরূপ রেখে দেওয়ার জন্য বাড়ি ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে আমরাও তুলে নিলাম কয়েকটি ফটো।

---

🚴

পূর্বের কিছু বছরের তুলনায় এখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি অনেক সৌন্দর্যমন্ডিত নতুন কেউ এসে অবাক হয়ে যাবে। পুকুরপাড় উন্মুক্ত মন রবীন্দ্র অডিটরিয়াম সবকিছু নতুনরূপে সাজিয়েছে যেহেতু সামনে মেলার আয়োজন হচ্ছে। মেলার সময় এই জায়গাগুলোতে অনেক লোকজন থাকে বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী শিল্পীরা নাচ গান এবং নাট্য পরিচালনা করে থাকেন।। অনেক সময় বিশেষ বিশেষ কারণে অডিটোরিয়ামে শিল্পকলা থেকে আগত শিল্পীদের নানা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।

---

🚴

যেহেতু আর কয়েকদিন পরে মেলা এজন্য বাড়ির ভিতর এবং বাহিরের সাজানো হচ্ছে সব রকম সাজসজ্জা দিয়ে। ভিতরে বসবে বিভিন্ন দোকানপাটে জন্য দোকানিরা সাজাচ্ছে তাদের দোকান। বিশেষ করে এখানে মৃৎশিল্প এবং বইয়ের দোকান গুলো বেশি দেখা যায়। আমি তো এখানে আসলেই একটা না একটা বই কিনে নিয়ে তারপরে যাই। যেহেতু সামনে মেলা এজন্য বাড়ির ভেতরটা অনেকটাই ফাঁকা সবাই মেলার সময় এসে ভিড় জমাবে। বিশেষ করে এই সময়টাতে মূল বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। এদিনকে আমরা গেছিলাম তখন দেখতে পেলাম বাড়ির ভিতর এবং বাহিরে রং করা হচ্ছে এজন্য বাড়ির ভিতরে ঢুকতে পারিনি।

---

🚴🚴

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ির চারিপাশ সবুজে মোড়ানো আম গাছ জাম গাছ কাঁঠাল গাছ সুপারির গাছ বিশেষ করে বেশ কিছু বড় বড় নারিকেল গাছ আছে। এই নারিকেল গাছগুলো যখন এই কুঠিবাড়ি স্থাপন করা হয় তখনকার। বিশেষ করে পুকুরপাড়ের চারিধার যেন এক সবুজের সমারোহ। তাছারা পুকুরের মধ্যে রয়েছে একটি স্টিমার এবং কয়েকটি নৌকা জনশ্রুতিতে শুনতে পাই এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহারকৃত জান। পদ্মার ঘাটে একটি স্টিমার বাধা আছে জেটি দিয়ে তিনি কলকাতায় আসা যাওয়া করতেন। এখনো স্মৃতি স্বরূপ রেখে দেওয়া হয়েছে কালের সাক্ষী স্বরুপ। বিকেল থেকে নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা এখানে সময় অতিবাহিত করেছি। এখানে গিয়ে খেয়েছি কুষ্টিয়ার বিখ্যাত তিলের খাজা এবং কুলফি মালাই। আসলে ছোটবেলা থেকে এখানে আসা যাওয়া করতে করতে অনেকটা সব জায়গায় পরিচিত হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে দেখি এখানে ইন্ডিয়া এবং বাইরের রাষ্ট্র থেকে অনেক মানুষ ভ্রমন করতে আসে। তাছাড়া বাংলাদেশের দুর্দান্তের লোক এখানে আসে। বিশেষ করে এই সময়টাতে মানুষের আনাগোনা একটু বেশি হয়ে থাকে। যা হোক এই ছিল আমাদের আজকের সংক্ষিপ্ত ভ্রমণ কাহিনী আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

---

---

লোকেশন:

ডিভাইসঃ Redmi Note 5

---

---

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ