৩১জৈষ্ঠ্য , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।
শুভ রাত্রি❤️ঈদ মেবারক। আশা করছি সবাই ভালো আছেন। এবং ঈদের খুশি সবাই ভালো উপভোগ করেছেন। আজ আবার আপনাদের সাথে চলে আসলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।আজকের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেবো বাংলাদেশের বৃহৎ সেচ প্রকল্প ভ্রমনের কথা। গত শুক্রবার হঠাৎ মনে হলো যে নদীতে গোসল করবো। তাই দুপুর বেলা আমি এবং আমার রুমমেট বাইক নিয়ে চলে গেলান পদ্মানদীর তীরে।নদীতে অনেক পানি আর স্রোত দেখে নদীতে গোসল করা হলো না। তার পর সেচ প্রকল্পতে চলে আসলাম গোসল করার জন্যে। এখানেও স্রোত খুব তবে নদী থেকে কম।আর পানি খুব পরিষ্কার।সকাল থেকে নিয়ে রাত অব্দি দু পাশের মানুষের পানির সব রকমের ব্যবহারের উৎস।আমরা যেখানে গোসল করলান সেখানে অনেক মানুষ গোসল করছিলো।পৌরসভার অর্থআয়নে কি দূরত্ব পর পর শান বাধানো ঘাট রয়েছে। এই সেচ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে এখানে মাঝে মাঝে গড়ে উঠেছে হাঁসের বড় ফার্ম। এবং এই অঞ্চলের মানুষের কৃষিকাজের সেচের একমাত্র ভরসা এই সেচ প্রকল্প। মূলত এই অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণের জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন প্রধানমন্ত্রী হলেন তখন তিনি এই শেষ প্রকল্পটি নির্মাণ করেন। আর নদীকেন্দ্রিক হতে এখানে পানির ও কোন সমস্যা হয় না।
কুষ্টিয়া চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা মেহেরপুর এবং ঝিনাইদা অঞ্চল বৃষ্টির পরিমাণ খুবই কম হয়। এই অঞ্চলে অনেক আবাদের জমি রয়েছে কিন্তু পানির অভাবে কোন ধরনের ফসল ফলানো যেত না। যার কারণে তিনি যখন কুষ্টিয়া ভ্রমণে আসেন তখন সর্বপ্রথম নজরে তার এটি পড়ে যায় এবং এর জন্য তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্পটি কুষ্টিয়াতে নির্মাণ করেন। বিভিন্ন শাখা উপ শাখায় পরিপূর্ণ এই সেচ প্রকল্পটি। তাছাড়া রয়েছে বিভিন্ন জায়গায় গেটের ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে আপনা আপনি স্রোত তৈরি করা হয় এবং খুব দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্যত্রে পানি স্থানান্তর করা হয়। এর মাধ্যমে এই অঞ্চলের কৃষির ব্যাপক উপকৃত হয়েছে এবং উৎপাদন ক্ষমতা ও বেড়েছে ১০০-১০০।
ছোটবেলা থেকেই আমার নদীতে গোসল করার অভ্যাস রয়েছে। যার কারণে নদীতে গোসল করতে আমার কখনোই কোন ভয়-ভীতি কাজ করে না। কিন্তু যখন নদী খুব ভয়াবহ রূপ নিয়ে থাকে তখন নদীতে গোসল করতে আপনা আপনি মনের মধ্যে এক ধরনের ভয় কাজ করে। কেননা মাঝে মাঝে প্রাণের পাক আর সেইসাথে খরস্রোত যার কারণে এক জায়গায় নামলে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করিতে সময় লাগে না। আমরা প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে সাঁতার কাটা সহ অনেক ডুব দিয়েছি। আসলে এমন শস্য পানি দেখলে আর যে পরিমাণ গরম পরছে এমনিতেই মন চাইবে দু-তিন ঘন্টা এখানে গোসল করতে। সেই সাথে অনেক মানুষের ভিড়ে সবাই মিলে একসাথে গোসল করার তো মজা অন্যরকম। বিশেষ করে ছুটির দিন হওয়াতে অনেক মানুষের আনাগোনা থাকে এই প্রকল্পের দুধহার দিয়ে। বিশেষ করে যেখানে সান বাদানো ঘাট রয়েছে সেখানে তো অনেক মানুষ হয়ে যায়। তবে আমার রুমমেট এর আগে কখনো নদীতে গোসল করেনি। আর এত পরিষ্কার পানি তার অপরিচিত ছিল। সে যদিও প্রথম অবস্থায় একটু একটু ভয় পাচ্ছিল কিন্তু পরবর্তী দেশে অনেক বেশি এনজয় করেছে।
সর্বোপরি বলতে হয় অসহায় মানুষদের কৃষি খাতে উন্নয়ন করার জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সব থেকে বেশি অবদান রয়েছে। এবং তিনি যখন কুষ্টিয়া ভ্রমণে এসেছিলেন তখন বিভিন্ন জায়গায় হেঁটে হেঁটে দেখেছেন এবং বিভিন্ন রাস্তাঘাটের ব্যবস্থা করেছিলেন। যার কারণে কুষ্টিয়া মিরপুরে অনেক বড় একটি সড়ক রয়েছে যার নাম জিয়া সড়ক। এখানে শুধু মানুষের গোসল বা কৃষি কাজে পানি ব্যবহার করা হচ্ছে না বরং এই অঞ্চলের প্রতিটা মানুষের পানির যত রকম ব্যবহার রয়েছে সব কাজেই তারা এখান থেকেই পানি পাচ্ছে। আপনারা জানেন যে কুষ্টিয়া চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর আলমডাঙ্গা এই অঞ্চল কর্কটক্রান্তি রেখা এর অন্তর্গত যার কারণে এখানে বৃষ্টিপাত খুবই কম হয়। এবং খরার পরিমাণটা বেশি হয়ে থাকে। যার কারণে একবার ফসল ফলানো সম্ভব হতো শুধু আষাঢ় শ্রাবণ মাসে। অন্যান্য সব সময় এখানকার জমিগুলো অনাবাজি হয়ে পড়ে থাকত। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহায়তায় এখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প স্থাপন করা হয় এবং এই অঞ্চলের মানুষের কৃষিখাতে উন্নয়ন সেই সাথে আর্থিকভাবে সচ্ছলতা ফিরে পায়। যাই হোক প্রকল্পে গোসল করার কথা এবং ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম আশা করছি ভালো লাগবে।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
|| [আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে]
VOTE @bangla.witness as witness OR >>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ