সমাজ ব্যবস্থা উন্নয়নে আমাদের করণীয় (১ম পর্ব)

in hive-129948 •  last year 

১৩আষাঢ় , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

২৭জুন , ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
০৮জিলহজ ১৪৪৪ হিজরী
মঙ্গলবার।
বর্ষাকাল।


আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি


lotus-1205631_1280.jpg

Source


মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। স্রষ্টা মানব জাতিকে জ্ঞান এবং বিবেক-বুদ্ধি দানের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ করেছেন। আর এই জ্ঞান এবং বিবেক ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্ব জয় করেছে হাজারো মানুষ। অতীব লজ্জা জনক বিষয় , আজ মানুষ সভ্য থেকে অসভ্য হয়ে গেছে। জ্ঞানের অপব্যবহারে মানুষ গবেষণা লব্ধ লাভজনক বিষয়বস্তু গুলো আজ কুরুচিপূর্ণ করে তুলছে। আমাদের যেখানে চিন্তা চেতনাকে কাজে লাগিয়ে জীবন চালনা প্রয়োজন,সেখানে মানুষের স্বভাব হিংস্র হয়ে পড়ছে।একটি নতুন আবিস্কার ও তার সুফল ভোগ করার জন্য অনেক গবেষণা করে তা আবিষ্কার করেন। অথচ আমাদের সমাজের ব্যবহারকারীরা তার অসৎ কাজে ব্যবহারের জন্য মরিয়া। আবিস্কারকের কোন দোষ নেই। এখানে আমরা যারা ব্যবহার করছি আমাদের বিবেক এবং বুদ্ধিতে অনেক সমস্যা রয়েছে।


বর্তমান বিশ্বের অতি প্রয়োজনীয় এবং যন্ত্র মোবাইল ফোন।এখন এই যন্ত্রটিই বর্তমান সমাজে একটি প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।এটি আসলে যে ব্যবহার করছে তার উপরে নির্ভর করে। এই মোবাইলের মাধ্যমে যুব সমাজের সবথেকে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। রাত জেগে এবং দিন ধরে গেম খেলা ভিন্নভাবে বিভিন্ন ভিডিও দেখে প্রভাবিত হওয়া। সবথেকে বড় যে ক্ষতি হচ্ছে সেটা হচ্ছে পর্নোগ্রাফি।


আমাদের দেশের লাখো মানুষ বিদেশে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে এনে দিচ্ছে আর্থিক স্বচ্ছলতা ।যারা বিদেশ থাকে সেখান থেকে পরিবারের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম মোবাইল ফোন। আবার এই মোবাইল ফোন অনেক প্রবাসী ভাইদের জন্য হয়ে উঠছে জীবনের কাল। এমন ঘটনা অনেক ঘটছে বউ রেখে প্রবাসে থাকে অথচ বউ অন্যজনের সাথে ভেগে সমস্ত অর্থ সম্পদ নিয়ে। আবার কেউ মোবাইলের মাধ্যমে প্রবাস থেকে সম্পর্ক করছে বিয়ে করবে বলে। সেখানে জীবনের অর্জিত সম্পদ গুলো দিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে। । তার পর ও পরিবারের সাথে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে মোবাইলের বিকল্প নেই।


মোবাইল ব্যবহারে যেমন সুফল রয়েছে কেমন এর কুফল ও ততটাই। এজন্য প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে মোবাইল ফোন দেওয়া উচিত না। বর্তমানে এন্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে যেকোনো কিছু ইচ্ছা করলেই সম্ভব। বিশেষ করে অবৈধ সম্পর্ক রাত জেগে কথা বলা গেমস খেলা পণ্যগ্রাফিতে আসক্ত হচ্ছে মানুষ বেশি।


যুব সমাজকে ভালো করতে হলে। এদেরকে সঠিক পথে আনতে হলে অবশ্যই আমাদের ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। আমরা যে যে ধর্মই হই না কেন।যখনই ধর্মীয় আইন এবং অনুশাসন থেকে বেরিয়ে যাবো তখন আমাদের দ্বারা যে কোন পাপ কাজ করা সম্ভব। আমাদের মধ্যে যদি ধর্মীয় জ্ঞান থাকে ধর্মীয় আইন বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে যদি জ্ঞান থাকে তাহলে যে কোন একটি পাপ কাজ করতে গেলে অবশ্যই বিবেকে বাধা আসবে।সৃষ্টিকর্তাকে ভয় করুন তার দেখানো পথে চলার চেষ্টা করুন। সমস্ত পাপ কাজ থেকে দূরে থাকুন সমাজকে বদলিয়ে দিন। তোমাদের মানুষকে ভালবাসুন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই মানুষকে ভালোবেসেই সারা বিশ্ব জয় করা সম্ভব।


ডিভাইসঃ Redmi Note 5



standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Witness Banner 2.png


সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

আসলে আমাদের জ্ঞান বুদ্ধির জন্যই এখন এই সমাজটা এরকম। আমরা যদি ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারি তবেই আমাদের সমাজটাকে আমরা উন্নত করতে পারব এবং এসব কাজগুলো দূর করতে পারব। এটা কিন্তু সত্যি যে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে মোবাইল ফোন দেওয়া একেবারেই উচিত না, যদিও এখনকার ছেলেমেয়েরা ছোট থেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেছে। অনেক সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন পড়ে বেশ ভালোই লেগেছে।

একদম ঠিক বলেছেন আসলে আমাদের কারণেই সমস্ত আজ এত অধঃপতন। আমরা সোচ্চার নই আমরা কখনো প্রতিবাদ করতে জানিনা।

সব কিছুরই ভালো খারাপ দিক রয়েছে। এখন পরিবার থেকে প্রাথমিক শিক্ষাটা যদি ভালোভাবে না পায় তাহলে তো খারাপের পথে বাচ্চারা যাবেই। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন ভাইয়া যেসব বাচ্চাদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষাটা অনেক জোরালোভাবে রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে খারাপ পথে যাওয়াটা কষ্টকর হয়। তাছাড়া বর্তমান সময়ে এমন হাজার হাজার উদাহরণ পাওয়া যায় যে স্বামী বিদেশে থেকে কষ্ট করছে আর বউ দেশে সেই টাকা দিয়ে অন্য একজনের সঙ্গে আনন্দ করছে। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার লেখা গুলো পড়ে।

ছোটবেলা থেকে একজন শিশুর বেড়ে ওঠা তার পরিবার থেকে। আর পারিবারিক শিক্ষাটা যদি সঠিকভাবে না পায় তাহলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

আপনি বেশ বাস্তবিক একটা বিষয় তুলে ধরেছেন এই কবিতাটির মাধ্যমে। আসলে একেবারে সত্য কিছু কথা এবং সত্য কিছু বিষয় সম্পূর্ণ পোস্টটিতে লিখেছেন। সমাজ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য আমাদের এই কাজগুলো অনেক বেশি করণীয় বলে আমি মনে করি। আমাদের জন্য সুফল যেমন মোবাইল ফোন তেমনি কুফল ও একেবারে ততটা। আসলে প্রত্যেকটা মানুষের ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া দরকার তবেই সমাজ উন্নত হবে এবং যুব সমাজ ভালো হবে।

সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন আনার জন্য আমাদেরকে সোচ্চার হতে হবে সঠিক পন্থায় কাজ করতে হবে।

চোখের সামনে অনেক কিছুই ঘটতে দেখলেও আমাদের কিছু করার থাকে না। আসলে মোবাইল ফোন কিংবা ইন্টারনেটের প্রযুক্তির উন্নতির ফলে যেমন জীবনযাত্রার মান ভালো হয়েছে তেমনি অনেকটা ক্ষতিও হয়েছে। আসলে এসব বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকা উচিত। হয়তো ধীরে ধীরে সবার মাঝে সচেতনতা বেড়ে যাবে।

বিজ্ঞানের কল্যাণে মানুষের জীবনযাত্রার মান যেমন উন্নত হয়েছে। তেমন কিন্তু ক্ষতিও কম হচ্ছে না। আসলে ঠিকই বলেছেন এটা নির্ভর করে যে ব্যবহার করছে তার ওপর।

পৃথিবীতে অনেক কিছুই আবিষ্কার হয়েছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার হলো পরিবেশ। যেখানকার পরিবেশটা যত উন্নত সেই পরিবেশের মানুষগুলো সামনের দিকে ততটাই এগিয়ে যাবে। সে জন্য জনসচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । জনসচেতনতাই পারে আমাদের সাফল্য নিয়ে আসতে।

একদম ঠিক বলেছেন আপনি পরিবেশটা যত ভালো হবে সেখানকার মানুষের চলন বলন এবং আচার-আচরণ ততটাই ভালো হবে।

আসলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা যদি উন্নয়ন করা হয় তাহলে নিঃসন্দেহে সেটা আমাদেরই উন্নয়ন করা হবে। সমাজ ব্যবস্থা উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের যুব সমাজকে যথার্থ ভূমিকা রাখতে হবে একই সাথে আমাদের যুব সমাজকে সঠিক ধর্মীয় শিক্ষার আলোতে আলোকিত করতে হবে। তাহলে নিঃসন্দেহে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা উন্নয়নের শিখরে আরোহন করতে পারবে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

সমাজ পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে যুব সমাজের অবদান সব থেকে বেশি রাখতে হবে।
কারণ যুবকদের উপর নির্ভর করেই আমাদের পরিবেশ এবং চারপাশ গড়ে ওঠে।