আমার পোষা প্রাণী (beneficiary 10% @shy-fox)

in hive-129948 •  3 years ago 

আসসালামু আলাইকুম।

আজ ২২ ই ভাদ্র - ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
সোমবার -শরৎকাল।

আশা করি সৃষ্টি কর্তার অসেস কৃপায় আপনারা সবাই ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার ভালোবাসার কিছু পোষা প্রাণী নিয়ে আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।

ছোটবেলা থেকেই পাখি পালন করা আমার খুব শখের একটি বিষয়।আমি আমার পালন করা সব পাখি গুলোকেই ভালোবাসি।বিশেষ করে টিয়া,আর কবুতর। এর জন্য অবশ্য মায়ের কাছে অনেক বকা শুনেছি ছোট বেলায় এখন অবশ্য কিছু বলে না। আবার টাকার জোগার ও মায়ের কাছ থেকে পেতাম। পাখির ঘর,কবুতরের ঘর এগুলো বানাতে আমার ছোট ভাই আমাকে সহযোগিতা করে। সবাই দোয়া করবেন আমার পাখি গুলো যেন ভালো থাকে।

টিয়াপাখি

IMG_20210906_082854.jpg

IMG_20210906_082947.jpg

IMG_20210906_083154.jpg

IMG_20210906_083038.jpg


সবুজ টিয়া সহজেই পোষ মানে এবং মানুষের মতো করে কথা বলতে পারে। এরা সাধারণত বন বৃক্ষবহুল এলাকা প্রশস্ত পাতার বন আর্দ্র পাতাঝরা বন খোলা বন পাহাড়ি বন চা-বাগান বসতবাড়ির বাগান আবাদি জমি পুরোনো বাড়িতে ও নারিকেল গাছ ও তাল গাছের কুটুরে বসবাস ও বিচরণ করে।খাদ্যতালিকায় আছে পত্রগুচ্ছ, ফুল, ফল, লতাপাতা, বীজ ও ফলের মিষ্টি রস ও তেলাকচুর কাচা পাকা ফল।সবুজ টিয়া কলাপাতা-সবুজ রঙের সুদর্শন পাখি। দেহের দৈর্ঘ্য সাধারণত ৪০ সেন্টিমিটার ওজন ১২৫ গ্রাম। সামান্য কিছু পালক ছাড়া পুরো দেহই সবুজ। ঠোঁট লাল, নিচের দিকে বড়শির মতো বাঁকানো। চোখ হলদে-সাদা। ছেলেপাখি ও মেয়েপাখির গলায় ভিন্ন রঙের দাগ আছে। ছেলেপাখির থুতনিতে কালো রেখা, গলা ও ঘাড়ের পেছনে গোলাপি পাটল বর্ণ। মেয়েপাখির ঘাড় পান্না সবুজে ঘেরা গলায় মালার মত দাগ থাকে।সবুজ টিয়া সচরাচর ছোট দলে থাকে, তবে জোড়ায়ও দেখা যায়। অনেক টিয়া একসঙ্গে মিলে রাত কাটায়। সচরাচর পুনঃ পুনঃ উচ্চ স্বরে ডাকে।আনার টিয়া পাখির বয়স ২ বছর দুইটা পুরুষ আর দুইটা মহিলা।


কবুতর

IMG_20210906_083646.jpg

IMG_20210906_083613.jpg

IMG_20210906_083542.jpg

IMG_20210905_164108.jpg

কবুতর বা পায়রা এক প্রকারের জনপ্রিয় গৃহপালিত পাখি। এর মাংস মনুষ্যখাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। প্রাচীন কালে কবুতরের মাধ্যমে চিঠি আদান-প্রদান করা হত। কবুতর ওড়ানোর প্রতিযোগিতা প্রাচীন কাল থেকে অদ্যাবধি প্রচলিত আছে। গৃহপালিত পাখি হিসেবে কবুতরের খুব নাম বাংলাদেশে প্রায় ৩০ প্রকার কবুতর রয়েছে। বাংলাদেশের সর্বত্র এসকল কবুতর রয়েছে। বাংলাদেশের জলবায়ু এবং বিস্তীর্ণ শস্যক্ষেত্র কবুতর পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আমার কবুতর গুলো খুব ভাল আমি হাতের উপর খাবার নিলে তারা আমার গায়ে এসে বসে। পূর্বে কবুতরকে সংবাদবাহক, খেলার পাখি হিসাবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্বারের পুষ্টি সরবরাহ, সমৃদ্ধি, শোভাবর্ধনকারী এবং বিকল্প আয়ের উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হচেছ। এদের সুষ্ঠু পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সঠিকভাবে প্রতিপালন করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা যায়।আমি প্রতি বছর প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা আয় করি। কবুতর প্রতিপালন এখন শুধু শখ ও বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বরং তা এখন একটি লাভজনক ব্যবসা হিসাবে পরিগণিত হয়েছে। কবুতর বাড়ি ও পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা ছাড়াও অল্প খরচে এবং অল্প ঝামেলায় প্রতিপালন করা যায়।বাংলাদেশে কবুতরের জাতের মধ্যে গিরিবাজ খুবই জনপ্রিয়।আমি ২০০৮সাল থেকেই কবুতর পালন করি।এখন আমার ১৯ জোরা কবুতর আছে।


কয়েল পাখি

IMG_20210905_164542.jpg

IMG_20210905_164421.jpg

IMG_20210906_083720.jpg

উপরের ছবিতে আপনি দেখাতে পাচ্ছেন কিছু কয়েল পাখি। আজ থেকে ছয় মাস আগে থেকে আমি কয়েল পাখি পালন করা শুরু করি।কয়েল পাখির ডিম ও মাংস খুবই সুস্বাদু। এরা ছয় মাস বয়স পর থেকেই ডিম পাড়া শুরু করে।এরা বছরে প্রায় ৩৪০-৩৫০টা করে ডিম দেয়।এরা শান্তি প্রিয় প্রণী।তবে খাবার না থাকলে খুব চিল্লাপাল্লা করে।বর্তমানে আমার ১৪ টা বড় ও ৮টা চোট কয়েল আছে।


লাভবার্ড

IMG_20210906_093148.jpg

IMG_20210906_083358.jpg

লাভবার্ড খুবই চটপটে একটি পাখি, সারাদিন বিভিন্ন রকম কাজে ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করে। তবে এদের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আচরণটি হল উচ্চস্বরে চিল্লাচিল্লি।বিশেষ করে সকাল বেলায় এরা বেশি ডাকাডাকি করে।এটা অনেকের কাছে বিরক্তিকর মনে হলেও লাভবার্ড প্রেমীদের কাছে খুবই মনোহর।যেমন আমি এছাড়া আরও একটি বিষয় হল লাভবার্ড প্রচন্ড রকমের ভীতু। কোনোরকমের শব্দ পেলেই লুকানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে, খাঁচায় হাড়ি/বক্স দেয়া থাকলে সাথে সাথে তার মধ্যে ঢুকে পড়ে। এছাড়া বসার ডাল, খেলনা ইত্যাদি চাবানো এদের অন্যতম প্রিয় একটি কাজ।এরা সাধারনত কাউন, চিনা, বাজরা, তিসি, সূর্যমুখী ফুলের বিচি, কুসুম ফুলের বিচি, সরিষা, ধান, বিভিন্ন ধরনের ফল, কচি ঘাসের পাতা ও সবজি ও বিভিন্ন ফল খেতে পছন্দ করে।এদের গড় আয়ুঃ ২০ বছর। এরা ৫-৭ ইঞ্ছি বা ১৩ থেকে ১৭ সেন্টিমিটার লম্বা হয়।এরা বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে এদের আদিনিবাস আফ্রিকা এবং মাদাগাস্কার। আমার কছে বর্তমানে দুই জোরা লাভর্বাড আছে


শের খান

IMG_20210905_164235.jpg

IMG_20210905_164234.jpg

আপনি দেখতে পাচ্ছেন একটি দেশি লাল পালক ঝুটি ওয়ালা তরতাজা মোরগ। এই লাল ঝুটি ওয়ালা মোরগটির না শের খান।ও খুব সকালে ডাকে। ওর ডাকে আমার ঘুম ভাঙ্গে। মোরগটি সাধারণত পোকামাকড় সরিষা জাতীয় খাবার ধান চাল ভাত ইত্যাদি খাবার খেয়ে থাকে। মোরগটির দৈঘ্য ৬৫-৭০সেন্টিমিটার হবে ওজন হবে ২-২.৫কেজি।

কথার কবুতর,
শব্দের বাকুম বাঁকে আঁকছ চেনা দ্যোতনা,
বার্তা প্রদানে অসীম দক্ষতা তোমার,
কত চোখের চাওনি করেছ অনুবাদ, শব্দ কবি
যদি বাক্যের ব্যাঞ্জনায় কারো তরল চোখে
প্রেম ছবি আঁকে, কোন পাঁকে ফেলে বল,
অজান তপস্যা মগ্ন সুরালাপে উপমা দিয়ে
বলবে তাকে অলস প্রত্যয় ?
কবিঃরাফসান

W3W link:https://w3w.co/phony.invitingly.remotely

Device:redmi

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে।

ধন্যবাদ ভাই।

Wow আপনি তো দেখছি অনেক ধরনের পোষা পাখি পালন করেন।পাখি পালন করা আমার খুব পছন্দের।আপনার পোষা পাখি গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগলো।

image.png

ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে পাখিদের সাথে আপনার বেশ বন্ধুত্ব হয়েছে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাই।

মোরগ টা দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর। আপনার ফোটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে..!!