জেনারেল রাইটিং ✍️ ঈদ যাত্রায় আমরা কতটুকু নিরাপদ??

in hive-129948 •  7 months ago 

২৮জৈষ্ঠ্য , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।



শুভ রাত্রি ❤️ মায়াপুরের গল্প হয়তো আমরা সবাই শুনেছি ছোটবেলায়। যদিও সেই গল্পগুলো ছিল কাল্পনিক। সব জায়গায় জাদু দিয়ে ঘেরা কোন কিছু টাচ করা বা কোথাও এক পা দিলে অন্যরকম এক তারুণ্যের সৃষ্টি হয়ে যেত। ওই যে স্বপ্নপুরী বা মায়াপুরের বর্তমান দৃশ্য কিন্তু আমাদের বর্তমান সমাজে কিছুটা হলেও অন্যভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। হয়তো আপনারা এতক্ষণে পোষ্টের টাইটেলটি দেখে কিছু হলেও বুঝতে পেরেছেন। প্রতারণার জাল বিছানো রয়েছে চারিদিকে। প্রতিটা সময় মানুষ ফেসে যাচ্ছে সামান্য কিছু ভুলের কারণে। আবার কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই সামান্য ভুল হয়ে উঠছে জীবন মরণের কারণ। বর্তমানে কিছু মানুষ প্রতারণা করছে চুরি করছে বা ছিনতাই করছে তার পেট খরচ চালানোর জন্য। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মানুষ প্রতারণা করছে বা চুরি করছে নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য। আর এই নেশা এতটাই ভয়াবহ যে মানুষকে হত্যা করে হলেও টাকা জোগাড় করে নেশা তারা করবেই। আর নেশার প্যারা যদি একবার মাথার মধ্যে কাজ করা শুরু করে তাহলে তারা আপন পর কিছুই বাজবে না যে কাউকে হত্যা করে ফেলতে পারে শুধুমাত্র কিছু টাকার জন্য। ঈদ-উল-আযহা আমাদের সন্নিকটে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ী নিমজ্জিত রয়েছে। বিশেষ করে বর্তমানে পশু করাই বিক্রয়ের ব্যবসাটা রমরমা। যেমন বেচাকেনা হচ্ছে তেমন মানুষের পকেটে টাকা থাকছে লক্ষ লক্ষ। আবার মানুষ প্রতারণা করে সেই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে খুব সহজে।

বর্তমানে যানবাহন এবং পথে-ঘাটে কর্মস্থল ছেড়ে নিজ বাড়িতে বা ঘরমুখো মানুষের স্রোত করেছে। আর এই মানুষগুলো দিয়েই কিছু মানুষ চক্রান্ত করে কিছু টাকা আয় করার চিন্তা করছে অবৈধ পথে। এতে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে মলম পার্টিতে। আগে তো ঘুমের ওষুধ পান সিগারেট বা অন্য কিছু খাইয়ে মানুষকে সেন্সলেস করে দিত। তবে বর্তমান সময়ে অভিনব কায়দা তারা আবির্ভাব করে সেগুলো প্রয়োগ করছে সাধারণ মানুষের উপর। গতকালকে একটা নিউজ দেখলাম পেয়ারা মাখিয়ে তার মধ্যে চেতনা নাশক ওষুধ মিশিয়ে অনেক মানুষকে অজ্ঞান করে তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ লুটিয়ে নিচ্ছে। আর এর জন্য সঙ্গবদ্ধ চক্র কাজ করে যাচ্ছে একযোগে। গাড়ির মধ্যে থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া বা কান থেকে কানের দুল ছিনিয়ে নেওয়া হাত থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়া এগুলো তো অহরোহ ঘটছে। আর এরা এতটাই তীক্ষ্ণ এবং অভিনব কায়দায় এই কাজগুলো করছে যা সাধারণ অবস্থায় দেখলে বোঝা যাবে না যে এরা প্রতারক। আর মানুষের সাথে তারা খুব সহজেই মিশে যায় মানুষকে বড় আপন ভেবে নেয় এবং তাদের কথায় এতটা মায়া যে কেউ তাদের সাথে থাকলে তাদের কথায় মুগ্ধ হয়ে যাবে।

গত পরশু রাতে একজন গরুর ব্যবসায়ীকে পেয়ারার মধ্যে চেতনা নাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়ে তার কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা লুটে নিয়েছে। আসলে মানুষ কতটা নিকৃষ্ট এবং জঘন্য হতে পারলে এ ধরনের কাজ করতে পারে। আমরা সবাই মনে করি ঈদের খুশিটা সবার জন্য। তবে কিছু কিছু মানুষের জন্য কিছু কিছু পরিবারে ঈদের খুশি যেন কান্নায় রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া রয়েছে যানজটের ভোগান্তি। আর বাসে বা কোন যানবাহনে উঠলে তো ডাবল বা তিন ডাবল ভাড়ার ব্যবস্থা তো করাই রয়েছে। এখন মানুষ যেহেতু বাড়ি ফিরবে বাধ্য হয়ে টাকার দিকে না তাকিয়ে দ্রুত বাড়ি আসার জন্য যা ভাড়া যাচ্ছে সেটা দিয়েই রাজি হয়ে যাচ্ছে। এখন রাস্তাঘাটে শুধু দুর্নীতি আর অনিয়ম। কিছু নেতা বা প্রভাবশালী লোকের ছত্রছায়ায় থেকে কিছু লোক এই ধরনের কাজ সংঘটিত করছে। চেলাপেলা গুলো মাঝে মাঝে ধরা পড়লেও ও রাঘব বোয়ালগুলো থেকে যাচ্ছে পর্দার আড়ালে।

দেশ যত এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তি ও তত শক্তিশালী হচ্ছে আর প্রতারক চক্র ও তত অ্যাডভান্স লেভেলের অভিনব কায়দায় মানুষকে তাদের জালে বন্দী করছে। ঘরমুখো মানুষের নানাবিধ বিপদে ফেলে মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তারা তাদের বিপদে ফেলছে। আর বর্তমানে সব থেকে ভয়াবহতা রূপ নিয়েছে শহরাঞ্চলে কিশোর জ্ঞান। কিশোর গানের অত্যাচার ে পথচারী থেকে শুরু করে যানবাহনে চলাচলকারী ব্যক্তি কেউই নিরাপদ নয়। কোন কিছু বললেই এরা আগে গায়ে হাত তুলবে এবং রক্তাক্ত করবে। তারা একটাই জানে শুধু তাদের মিশন কমপ্লিট করতে হবে।। এবং অন্যরা তাদের দেখে ভয় পাবে। আসলে ঈদ যাত্রায় বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কখনোই কমতি দেখিনি। যেহেতু বাড়ি ফিরতে হবে ঈদের খুশি সবার সাথে ভাগ করে নিতে হবে এজন্যই হয়তো চাপা কষ্ট বুকে রেখে সবাই বাড়ির উদ্দেশ্যে তবুও রওনা হচ্ছে। জানি কবে এরকম অপকর্ম অনিয়ম দুর্নীতি থেকে বাংলার মানুষ মুক্তি পাবে। যাইহোক সোশ্যাল মিডিয়ায় সোনা এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে আমার পোস্টে আজকে কিছু কথা লেখার চেষ্টা করলাম। চলার পথে অবশ্যই আমাদেরকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কোথায় বিপদ লুকায়িত আছে সেটা তো আর বলতে পারব না। এজন্য পথে চলার সময় অবশ্যই খোলা কোন খাবার অপরিচিত কোন ব্যক্তির কাছ থেকে কোন কিছু খাওয়া সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করতে হবে। বিশেষ করে বাসের মধ্যে বা ট্রেনের মধ্যে অনেকেই অনেক ধরনের খাবার বিক্রি করছে এখন এগুলা সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ। সেক্ষেত্রে আপনি করতে পারেন যেটা সেটা হলো কোন দোকান থেকে সম্পূর্ণ ইনটেক খাবারগুলো কিনে সাথে রাখতে পারেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী খেতে পারেন। ঈদের খুশি নিজে এবং পরিবারের মধ্যে বজায় রাখতে হলে অবশ্যই অধিক থেকে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করতে হবে। আশা করছি আমার আজকের লিখনি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। শুভ হোক সবার ঈদ যাত্রা।


ডিভাইসঃ Redmi Note 5



break .png

Banner.png

|| [আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে]

standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Witness Banner 2.png


সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আপনি যেভাবে ঈদ যাত্রায় মানুষের নিরাপত্তা এবং প্রতারণার বিষয়ে সচেতন করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার লেখনীতে সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে, যা পাঠকদের চিন্তা-ভাবনা এবং সতর্কতা বাড়াতে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ এমন মূল্যবান পোস্টের জন্য।

কালকে যে নিউজটা দেখেছেন আসলে ঈদ আসলেই এমন বিষয় অনেক লক্ষ করা যায়। তাই আমরা যারা বাইরে যাব বা ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে ফিরবো তারা একটু বাড়তি সতর্ক থাকলেই এই বিষয়টা থেকে সেভ রাখা সম্ভব নিজেকে।