১৯অগ্রায়ন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

০৩ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

১৯জমাদিউস আউয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রবিবার।

হেমন্তকাল।

---

---

আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি

---

🦋

আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি সাংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যবাহী কুষ্টিয়া জেলার বিজিবি সেক্টর সদর কুষ্টিয়া ক্যান্টিনে কাটানো কিছু মুহূর্তের ফটোগ্রাফি এবং গল্প নিয়ে। কুষ্টিয়া জেলার সম্পর্কে আপনারা অনেকেই হয়তো অবগত রয়েছেন। এবং আমাদের ব্লগে কুষ্টিয়া জেলা এবং আশপাশ জেলার অনেক ভাই ও বোনেরা রয়েছেন। কুষ্টিয়া রয়েছে অনেক ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতি। এজন্য কুষ্টিয়াকে বলা হয় সাংস্কৃতির রাজধানী। এখন থেকে শুরু করলাম কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করে ফটোগ্রাফি সহ আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। কুষ্টিয়া জেলায় বসবাস করতে পেরে সত্যি আমিও অনেক গর্বিত। পূর্বে এই জেলার নাম ছিল নদীয়া বর্ডার অঞ্চল এরপরে রয়েছে কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ। আমাদের জেলার ভাষা সব থেকে শুদ্ধ এক কথায় বইতে যে ভাষা পোড়ানো হয় সেটা আমাদের মুখের বুলি। যাহোক আর কথা নাই তাহলে চলুন ফটোগ্রাফি এবং বিজিবি ক্যান্টিন সম্পর্কে কিছু কথা জেনে আসি।

---

🦋

কুষ্টিয়া বিজিবি সেক্টর সদর দপ্তর আমার অফিসের খুব কাছাকাছি হয় আমি মাঝে মাঝেই এখানে গিয়ে ভালো সময় পার করি আমার কলিগদের সাথে। বিশেষ করে এই ক্যান্টিনে নামকরা কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো বাহির থেকে অনেক উন্নত এবং সুস্বাদু ও বটে। তাছাড়া এখানে রয়েছে দুইটা ক্যান্টিন একটি নাম স্বাগত কিছুক্ষণ অন্যটির নাম নিরিবিলি ক্যান্টিন। নিরিবিলি ক্যান্টিন থেকে স্বাগত কিছুক্ষণ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এই জায়গাটা সবথেকে বেশি ভালো লাগার কারণ হলো অনেক বড় বড় কয়েক বটের গাছ রয়েছে। যে বট গাছগুলো পুরো ক্যান্টিন এরিয়াকে ছায়া দিয়ে ঠান্ডা রাখে সবসময়। তাছারা ক্যান্টিনের পাশে রয়েছে বড় একটি পুকুর আর পুকুরের মাঝে বিভিন্ন ধরনের টং ঘর স্থাপন করা রয়েছে। যেখানে চাইলে আপনি বসে কিছুটা সময় পার করতে পারবেন একটা কফি খেয়ে। তাছাড়া সরাসরি এই ক্যান্টিন দুইটি বিজেপি সৈনিক দ্বারা পরিচালিত। এখানে কোন ধরনের প্রতারণা বা প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। খাবারের মান উন্নত। কিন্তু এখানে খেতে গেলে প্রথমে নাম লিখে খাবারের অর্ডার করে বিল পে করে তারপরে গিয়ে সিটে বসতে হয়। এটা অবশ্য এক দিক থেকে অনেক ভালো হয়। এখানে সব ধরনের খাবার পাওয়া যায় এর মধ্যে কাবাব এবং কফি আমার কাছে সব থেকে বেশি মজা লাগে।

---

🦋🦋

অনেক নিরিবিলি এবং কোলাহলমুক্ত পরিবেশ হওয়ায় এই জায়গায় কিছু সময় বসে কফি দিয়ে আড্ডা জমে উঠে বেশ ভালো। তাছাড়া অনেকেই এখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে ও ঘুরতে চলে আসে। বট গাছের ছায়া মাছদের সাঁতার কাটা এবং পাখিদের কুহু ডাক শুনতে অবশ্যই এখানে একবার আসা দরকার। এখানকার কাবাব টা খুব নামকরা। সময় পেলে এবং পেটে ক্ষুধা থাকলে না খেয়ে উঠতেই ইচ্ছা করে না। তবে এদিন সাহস করে বিজিবি ক্যাম্পের অনেক ভিতরে গিয়েছিলাম হাঁটতে হাঁটতে যদিও সংরক্ষিত এলাকা। সেখানে গিয়ে কাবাব বানানো ঘর দেখলাম প্রসেস গুলো দেখলাম অনেক যত্নের সহকারে ভালো পরিবেশে তৈরি করা হয়। একজন সৈনিক কে দেখলাম তিনি নিজেই এই কাজগুলো করছেন। যদিও ছবি তোলা নিষেধ ছিল সেই ফাঁকে কখন তুলে ফেলেছি ওরা কেউ টের পায়নি।

---

🦋🦋

একটা কফির সাথে আপনি অনেকটা সময় এখানে আড্ডা জমিয়ে করতে পারবেন। এখানকার কফি খুবই সুস্বাদু একবার খেলে আপনাকে বারবার পিছু ফিরে ডাকবে। আমরা তো সময় পেলেই বিকেলবেলা অথবা সন্ধ্যার পরে ঘুরতে চলে যাই এই জায়গাটাতে। তাছাড়া এখানে ১০০% সেফটিকে বসে যে কোন কথা কাজ বা খাবার দাবার খাওয়া যায়। কফি কাপের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন বিজিবির লোগো এবং ক্যান্টিনের নাম খুব সুন্দর ভাবে লেখা আছে।

---

🦋

ওই যে বললাম ভালো লাগার অন্যতম কারণ হলো পুকুরঘাট। অনেক বড় একটি পুকুর আর বিভিন্ন ধরনের মাছ দিয়ে ভরপুর। পুকুরের মাঝে মাচা পেতে ছোট ছোট ঘরে বসে নিঃসন্দেহে অনেক সুন্দর সময় পার করা যায়। প্রায় তিন চার মাস ধরে এখানে আসা যাওয়া করছি। তাই ভাবলাম এই সুন্দর জায়গার একটা রিভিউ করে দেই। সে থেকেই আজকের এই পোস্টটি আপনাদের সাথে শেয়ার করা। এখানকার আশেপাশে যারা থাকেন তারা হয়তো এর সৌন্দর্য সম্পর্কে আগেই অবগত রয়েছেন। যাহোক এরই মধ্য দিয়ে আজকের মত শেষ করছি আমার পোস্ট ।ভালো থাকবেন সবাই।

---

লোকেশন:

---

ডিভাইসঃ Redmi Note 5

---

---

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ