পৃথিবীর কোন ধর্মই মানুষকে মিথ্যা শেখায় না।

in hive-129948 •  2 years ago 

১৭অগ্রায়ন , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

২ ডিসেম্বর , ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
৭জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৩ হিজরী
শুক্রবার ❤️❤️
হেমন্তকাল ।


আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি


justice-7180964_1280.png

Source

পৃথিবীতে কবিতা পড়ে কেউ সৎ হয় না। উপন্যাস পড়ে কেউ সৎ হয় না ।গল্প পড়ে কেউ সৎ হয় না। পৃথিবীতে আপনি এমন একটা মানুষও হয়তো দেখাতে পারবেন না যে কোন কবিতা গল্প বা উপন্যাস পড়ে নিজের জীবনের জীবন দর্শনের পরিবর্তন আনতে পেরেছে। কিন্তু পৃথিবীতে এমন হাজারো মানুষ আপনি দেখবেন যে ধর্মগ্রন্থ পড়ে, ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে নিজের জীবনের আমল পরিবর্তন এনেছে।


যে ব্যক্তি মসজিদে যায় আর যে ব্যক্তি যায় না সেই ব্যক্তির চেয়ে ভালো। যে ব্যক্তি মন্দিরে যায় আর যে ব্যক্তি যায় না সেই ব্যক্তির চেয়ে ভালো। যে ব্যক্তি গির্জায় যায় আর যে ব্যক্তি গির্জায় যায় না সেই ব্যক্তির চেয়ে ভালো।মনে রাখবেন পৃথিবীর কোন ধর্ম মানুষকে অন্যায় শেখায় না। পৃথিবীর কোন ধর্ম মানুষকে মিথ্যা কথা শেখায় না। পৃথিবীর কোন ধর্ম মানুষকে নগ্নতা শেখায় না। পৃথিবীর কোন ধর্ম মানুষকে অশ্লীলতা শেখায় না উগ্রপন্থী হতে শেখায় না।এজন্য সবার উচিত ধর্মের কাছে ফেরত যাওয়া। একটা ধর্মহীন সমাজ কখনো মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। পাশ্চাত্যের সমাজ আজ মানুষের সমাজ নেই, অমানুষের সমাজ হয়ে গেছে।


একটা জিনিস মনে রাখতে হবে কষ্ট করবা তো তার ফলাফল ভোগ করতে পারবা। পক্ষান্তরে ফাঁকিবাজি করবা তারও ফলাফল পাবা। যেমনটি @shuvo35 ভাই প্রায় হ্যাংআউটে বলে থাকেন প্রত্যেকটা ভাল কাজের যেমন রিওয়ার্ড আছে। তেমন প্রত্যেকটি খারাপ কাজেরও পালিশমেন্ট রয়েছে।


পৃথিবীতে যত ধর্ম আছে প্রত্যেকটা ধর্মগ্রন্থ পড়লে আপনি দেখতে পাবেন প্রত্যেকটা মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যুর পর পর্যন্ত প্রত্যেকটা কাজের নিয়ম-নীতি রয়েছে। মানুষ আসলে ধর্মীয় আইন এবং অনুশাসনে বন্দি। আসলে আজ আমরা ধর্মের কথা ভুলে গেছি শুধু ফাঁকিবাজি আর দুই নাম্বারি কাজকাম দিয়ে আমাদের জীবন পরিপূর্ণ। আমরা শুধু সব সময় চেষ্টা করি মানুষের সাথে ঝামেলা পাকানো। মানুষকে উস্কানি দেওয়া। দাঙ্গা হাঙ্গা ঝগড়া মারামারি ফ্যাসাদ বাধানোর চেষ্টা করি। হোক সেটা ইসলাম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ধর্মের মানুষ।


এজন্য বিভিন্ন লেখক এবং জ্ঞানী মানুষ বলেছেন মানুষের উস্কানি এবং কুবুদ্ধি জ্ঞানী মানুষের জ্ঞানকেও নষ্ট করে দিতে পারে। একটা কথা আমি মাঝে মাঝেই বলি যুদ্ধ চাইনা শান্তি চাই। যেমনটি বেশ কয়েকদিন আগে শুভ দত্ত ঘটিয়েছে আমাদের পরিবারে। সেখানে দাদা কিছু স্ক্রিনশট আমাদের সাথে শেয়ার করেছে সেখানে দেখেছি দাদাকে অনেকভাবে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। হয়তো মুসলমানদের প্রতি তার একটা রাগ রয়েছে ।সেই রাগ থেকে এমনটি সে করেছে। আসলে @rme দাদা অনেক বুদ্ধিমান এবং ধৈর্যশীল। প্রায় দেড় বছর থেকে দেখে আসছি তিনি অযথা কোনো কাজ বা কথা কখনোই বলেন না। আমি এখন পর্যন্ত শুনিনি তিনি ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করে কখনো কোন কথা বলেছেন। কিন্তু শুভ দত্ত হয়তো চেয়েছিল দাদার মুখ থেকে তেমন কিছু বলাতে। কিন্তু সে পুরোপুরি ভাবে ব্যর্থ। অনেক আগে থেকেই মনে হচ্ছে এরকম একটি পরিকল্পনা সে করছিল।। আমরা এখানে আছি সবাই মিলেমিশে একটি পরিবারের মত আর এরকম ভাবেই থাকতে চাই। পৃথিবীর মানুষ স্বাধীন যে যার মত ধর্ম পালন করতে পারে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে আমি মুসলমান আমি হিন্দুদের উপর চড়াও হবো। বা তাদের কটাক্ষ করে কথা বলবো। আমি আজ পর্যন্ত কখনো শুনিনি যে মুসলমান ধর্মে কোথাও লেখা আছে কোন ধর্মের মানুষের সাথে অসৎ আচরণ করার কথা। আমার কয়েকটা হিন্দু বন্ধু আছে ছোটবেলা থেকে তাদের সাথে চলাফেরা করছি। কখনো তাদের কাছ থেকেও শুনিনি যে তাদের ধর্মগ্রন্থে লেখা আছে কোন ধর্মের মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করার কথা। আসলে চোরে না শোনে ধর্মের কথা। সমাজে এমন কিছু মানুষ ছিল আছে এবং থাকবে তারা চাইবে না কোন সম্প্রদায় শান্তিপূর্ণভাবে থাক। শুভ দত্তের মতো এই ধরনের মানুষকে চিরদিনই ঘৃণা করেছি। এবং যতদিন আছি পৃথিবীতে তাদের ঘৃণা করে যাবো।


হিন্দু ধর্ম থেকে ছোট্ট একটি গল্প বলবো গল্পটি কতটুকু বাস্তবিক সেটা আমি জানি না। তবে এটা আমি একদিন আমার ক্লাস টিচারের মুখ থেকে শুনেছিলাম। গল্পটি এমন কোন এক যুদ্ধে কোন এক ব্যক্তির অনেকগুলো ছেলে সন্তান মারা যায়। তখন তিনি তার প্রভুর কাছে বলেন যে হে প্রভু এক যুদ্ধে তুমি কেন আমার সবগুলো ছেলে সন্তানের মৃত্যু দিলে। তখন ওই ব্যক্তিকে তার প্রভু বলে এটি তোমার পাপের ফল। তখন ঐ ব্যক্তি বলে আমি তো জীবনে এমন কোন পাপ করিনি আমার তো মনে পড়ে না যার জন্য আমি এত বড় শাস্তি পেতে পারি। তখন প্রভু বলে তুমি মনে করে দেখো তুমি যখন খুব ছোট ছিলে তখন তুমি খেলার ছলে একটি প্রজাপতিকে হত্যা করেছিলে। তখন ওই ব্যক্তি বলে আমি তো সেটি অনেক ছোট থাকতে না বুঝে খেলার ছলে করেছিলাম। তখন প্রভু বলে সেই খেলার ছলে করার কারণেই এই শাস্তিটা আজ তোমাকে দেওয়া হল। এর মানে এখন আসি আসল কথায় পাপ যতটুকুই হোক না কেন শাস্তি কিন্তু আমাদের ভোগ করতেই হবে। হয় পৃথিবী থেকে না হয় মৃত্যুর পরে।
আরো একটি কথা মনে হয়ে গেল হযরত মূসা আঃ যখন খিজির আলাই সালাম এর সাথে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করছিলেন। তখন তিনি একটি গ্রামে গেলেন এবং ওই গ্রামের মাঝ দিয়ে একটি দেয়াল তুলে দিলেন। তখন মুসা আঃ তাকে জিজ্ঞেস করলো যে আপনি কেন এই কাজটি করলেন তাদের মাঝে। তিনি বললেন দেয়ালের মাঝে যে সম্পদ ওই সম্পদ হচ্ছে দুটি এতিমের। ওই দেয়ালের ওই পাশে মাটির নিচে অনেক সম্পদ রয়েছে। এটি সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে কেননা তার বাবা একজন সৎ এবং ভালো মানুষ ছিল। পরবর্তীতে যেকোনো ভাবে এই সম্পদ তারা তাদের কাজে লাগাবে। এর মানে আমরা বুঝতে পারলাম বাবার ভালো কাজের ফলাফল হিসেবে ছেলেরা সেই সম্পদ ভোগ করতে পারবে।


এর মানে হলো আমরা ভালো কাজ করলে তার ফলাফল পাবো। এবং খারাপ কাজ করলেও তার ফলাফল ঠিক পাবো। মানুষের জীবন যখন ধর্মের পথ থেকে সরে যাবে। তখনই একমাত্র তার দ্বারা সব ধরনের খারাপ কাজ করা সম্ভব। তখন মানুষের মাঝে কোন নৈতিকতা থাকবে না বিবেক বুদ্ধি থাকবে না ধর্মের অনুশাসন থাকবে না। তখন সেই বেপরোয়া মানুষটি কোন ধর্মের সেটা কিন্তু যায় আসে না। সে শিক্ষিত না অশিক্ষিত সেটাতে যায় আসে না। আমরা তো যুগে যুগে দেখেছি অনেক শিক্ষিত মানুষ সমাজের ক্ষতি করছে ।দেশের টাকা অন্যায় ভাবে পাচার করছে দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে।।


বাংলা একটি প্রবাদ বাক্য আছে সৎসঙ্গ স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গ সর্বনাশ।

যেহেতু প্রত্যেকটা ভাল কাজের ফল এবং খারাপ কাজের ফল পেতে হবে। এজন্য আসুন আমরা সবাই ভালো কাজ করি যে যে ধর্মেরই হই না কেন আমাদের ধর্মের আইন নিয়মকানুন অনুশাসন মেনে চলার চেষ্টা করি। তাহলে আমরা হতে পারব একজন প্রকৃত মানুষ।


ডিভাইসঃ Redmi Note 5



standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই পোষ্টটি। আপনি ঠিক বলেছেন পৃথিবীর কোন ধর্মই মিথ্যা শিখায় না। সকল কাজেরই ফলাফল ভোগ করতে হয়, হোক সেটা ভাল কাজ হোক সেটা খারাপ কাজ। যে যেমন কর্ম করবে তেমন ফল পাবে। যার যার ধর্ম নিজেরা পালন করে সবার সাথে ভালো ব্যবহার করে, সকলের উচিত প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠা।

আসলে মানুষ হিসেবে আমরা অকৃতজ্ঞ আমরা খারাপ এখানে অনেকেই ধর্মকে দোষারোপ করে এখানে আমি সম্পূর্ণ অন্যের থেকে ভিন্নমত পোষণ করি। একজন মানুষের মধ্যে কতটুকু ধর্মীয় জ্ঞান রয়েছে তার উপর নির্ভর করে তার কাজকর্ম।।

আসলে ঠিকই বলেছেন উপন্যাস কিংবা বই পড়ে কেউ কখনোই নিজেকে পরিবর্তন করতে পারে না। আমি মনে করি এসব কিছু হচ্ছে নিজের মাঝে। আর ধর্ম তো কখনোই কাউকে খারাপ শেখায় না। শুভ ভাইয়া সত্যি কথাই বলে। যে কথাটা আপনি আজকে উদাহরণ দিয়েছেন। আর আমাদের দাদার কথা আর কি বলব। উনি নিজেদের ধর্মকে যেইভাবে সম্মান করে আসছে আমাদের ধর্ম কেউ ঠিক সেই রকম ভাবেই সম্মান করে আসছে। আসলে কেউ যদি দাদাকে খারাপ প্রমাণ করার চেষ্টা করে তাহলে তো আর আমরা সেটা মেনে নিব না। খারাপ মানুষটাকে যত তাড়াতাড়ি ভুলে যেতে পারবো সেটাই ভালো। আপনার প্রত্যেকটা লেখা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।

আসলে কোন ধর্মই কখনো কাউকে খারাপ হতে বলে না এটা আমাদেরই দোষ আমরা অকৃতজ্ঞ আমরাই কখনো কারোর উপকারের সঠিক প্রতিদান না দিয়ে অপকারটাই করার চেষ্টা করি।

image.png

চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জেনেছি সেই সাথে এতটা বেশি ভালো লেগেছে যে বলে আপনাকে বোঝাতে পারবো না। মানুষ খারাপ বা ভালো এটা নির্ভর করে তার ব্যক্তিত্বের উপর অনেকটা তার পরিবারের উপরও নির্ভর করে। কোন ধর্মগ্রন্থ এই বলা হয়নি খারাপ কাজ করো বা মিথ্যা কথা বলো সব সময় সেখানে বলা হয়েছে ভালো কিছু করতে হবে নইলে শাস্তি ভোগ করতেই হবে। এত এত কিছু জানার পরেও হয়তো মানুষ পরিবর্তন হয় না কারণ মানুষ ভালোর থেকে খারাপের দিকে বেশি আগ্রহী যেটা আমরা কিছুদিন আগে কমিউনিটিতে দেখলাম। যাইহোক এরকম সুন্দর কিছু পোস্ট আপনার থেকে প্রতিনিয়ত আশা করব।

আসলে ঠিকই বলেছেন আপনি মানুষ ভালো বা খারাপ এটা নির্ভর করে সম্পূর্ণই তার ব্যক্তিত্বের উপরে ধর্ম কখনো কাউকে খারাপ পথ দেখায় না বা খারাপ কাজ করতে বলে না ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে সাথে থাকার জন্য

ভাইয়া খুব সুন্দর এবং তথ্যবহুল আলোচনা করেছেন। প্রত্যেকটা কথায় যুক্তি আছে। কোন ধর্মই মানুষে যেমন মিথ্যা কথা বলা শিখায় না ঠিক তেমনি ভাবে কোন ধর্মই মানুষের অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। সব ধর্মই শান্তির কথা বলে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

ঠিকই বলেছেন কোন ধর্মই মানুষকে অন্যায় সেখানে বা অন্যায় কাজ করতে বলে না প্রত্যেক ধর্মই শান্তির কথা বলে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে বলে চারিধারে

আপনার ব্লগটি পড়ে খুব ভাল লাগলো।সত্যি ই কোন ধর্মেই মিথ্যা শেখায় না।ভাল কাজের পরিনাম যেমন মানুষ পায়, তেমনি খারাপটাও পায়। সেটা যে ধর্মেই হোক না কেন। অনেক ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।

বাংলা একটি কথা আছে যেমন কর্ম তেমন ফল। সব সময় ভালো কাজ করলে ভালো পথে চললে মানুষ ভালো বলবে পৃথিবীতেও ভালো থাকা যাবে পরকালেও শান্তি পাওয়া যাবে।।