১৮কার্তিক , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
০৩নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
১৮রবিউস সানী ১৪৪৫ হিজরী
শুক্রবার ❤️
হেমন্তকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
🏄♂️
পদ্মা নদীর তীরবর্তী স্থান রূপপুর পাবনা। এই রূপপুরে অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যেটাকে ঘিরে বাংলাদেশের মানুষের হাজারো স্বপ্ন রয়েছে। দেশ উন্নত হচ্ছে এবং এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে উন্নতির শিখরে পৌঁছে গিয়েছে মনে করছি। এটি সম্পূর্ণ রাশিয়া তত্ত্বাবধানে করা হচ্ছে। এজন্যই এত সুনামের সাথে কাজগুলো এগোচ্ছে। যদিও এর ভিতর প্রবেশ করার জন্য সাধারণ মানুষের কোন পারমিশন নেই। অনেকেই এটি দেখতে আসছে তবে বাহির থেকে দেখে ফটোগ্রাফি করে চলে যেতে হচ্ছে। প্রতিনিয়তই ঘুড়তে এবং অজানাকে জানতে অদেখাকে দেখতে নতুন দিগন্তে ছুটে চলি সময় পেলে। কেমনি আজ শুক্রবার গিয়েছিলাম পদ্মা নদীর দক্ষিণ পাশে কুষ্টিয়া অংশে। যেখান থেকে উপভোগ করেছি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বড় বড় চুল্লীর দৃশ্য ।পশ্চিমে হাডিং এবং লালন শাহ সেতু ।পূর্বে অথৈ জলরাশি এবং নদীর পাড় দিয়ে ভালোলাগার পতিক হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছে কাশবন। সেখান থেকে ঘুরে আজ আপনাদের সাথে ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমণের কিছু স্মৃতি কথা শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
🏄♂️
বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম যে পদ্মা নদীর এপার ভ্রমণ করে কাশফুলের সৌন্দর্য অথৈ জলরাশি হাডিং এবং লালন শেষে তো সেই সাথে পারমাণবিক চুল্লির সৌন্দর্য উপভোগ করব আর সেটা হওয়া চাই গোধূলি বিকেলে। সময় সময়ের গতিতে চলছে অফিসিয়াল কাজ কাম নিয়ে মেক্সিমাম সময় ব্যস্ত থাকতে হয় দিনের বেলায়। মোটামুটি ইচ্ছা থাকলেও ঘুরতে যাবার সময়টা বের করতে পারি না। আজ শুক্রবার ছিল অফিস বন্ধ এজন্য আমি আবার আগেই প্লান করে রেখেছিলাম কলিগের সাথে যে ঘুরতে বের হব। তো সময় করে দুজনা জুম্মার নামাজ শেষে বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করে বের হয়ে পড়লাম কাশবন এর উদ্দেশ্যে। যে জায়গাতে দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি গুলো করেছি এবং ভ্রমণ করেছি এটি হচ্ছে কুষ্টিয়া পাবনার পুরাতন ফেরিঘাট। লালনশা সেতু হওয়ার পূর্বে এখান দিয়েই যানবাহন এবং মানুষের পারাপার ছিল। এখনো এই জায়গাটির নাম ফেরিঘাট নামেই পরিচিত। উপরের ফটোগ্রাফি গুলা বিভিন্নভাবে সৌন্দর্য নিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। ফটোগ্রাফি দেখে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন পানির মধ্যে স্পষ্ট ছাপ বোঝা যাচ্ছে। যেখানে আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম নদীটা পার হলেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। নদীর এপার থেকে মনে হচ্ছিল এই বুঝি আমাদের কাছে। কেননা পারমানবিক চুল্লির হাইট গুলো অনেক বেশি বড়।
🏄♂️
অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি এই জায়গাতে গিয়ে কেননা যেদিকে তাকিয়েছি শুধু সৌন্দর্যের মোহনা। ফটোগ্রাফিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন পশ্চিম দিকে দাঁড়িয়ে রয়েছে কালের সাক্ষী হয়ে হার্ডিং ব্রিজ এবং লালনশা সেতু। এবং পূর্ব দিকে অথৈ জলরাশি খরস্রোতা পদ্মা। একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আপনি এখানে অনেকগুলো সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন এর মধ্যে সামনাসামনি পাবেন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নদীর ধার দিয়ে পাবেন কাশবনের সৌন্দর্য এবং পূর্ব পশ্চিমে অথৈ জলরাশি এবং সেতু।
🏄♂️
বিকাল থেকে নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে কাশবনের ভিতর ঘোরাঘুরি করেছি বসে আড্ডা দিয়েছি দুজনে এবং এর সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করেছি। আপনিও যদি কখনো আসেন এই জায়গায় আসলে একাধিক সৌন্দর্য একত্রে দেখে যেমন নয়ন জুড়িয়ে যাবে তেমন মনটা ভরে যাবে ভুলে যাবেন দুঃখ-কষ্ট গুলো। মন মাতানো নদীর কলতান আর দখিনা হাওয়ায় অন্যরকম একটি ভালো লাগা কাজ করবে আপনার মাঝে। সব থেকে বেশি ভালো লাগবে একশ বনে গোধূলি বিকেলটা। এক পাশে নদী নদীর ধার দিয়ে কাশবন গোধূলি আলো যখন কাশফুলের উপর পড়ে তখন অন্যরকম একটি সৌন্দর্য ফুটে ওঠে কাশফুলের মাঝে। যারা পদ্মা নদীর পারে কোনদিন ভ্রমণ করেছেন হয়তো এই সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করেছেন। আজকের মত পোস্ট এখানেই শেষ করছি আশা করছি আমার ভ্রমন পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
লোকেশন:
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাংলাদেশের এক মাত্র পারমানবিক বিদুৎ কেন্দ্র ঠিক বলেছেন এই পারমানবিক কেন্দ্র কে ঘিরে হাজারও সপ্ন,।গোধুলীর লগ্নে কাশবে অসাধারণ অনুভুতি। আমরা ও খুব ইচ্ছে কাঁশবনে যাওয়ার কিন্তুু এখনো হয়ে ওঠেনি। অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি ও মনের অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপনি।খুব ভালো লাগছে পোস্ট টি পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একই সাথে তিনটি সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরেছি পদ্মা নদী কাশবন এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সৌন্দর্য।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশ রোমান্টিক বিষয় কিন্তু ভাইয়া। একধারে কাশফুল, তার মধ্যে আবার গোধূলী বেলা। এর সাথে যদি হয় প্রিয় মানুষটির সাথে নদীর বুকে নৌকায় ভেসে বেড়ানো তাহলে হয়তো মন্দ হয় না। তাই না? আমারও বেশ কয়েকদিন যাবৎ নদীর ধারে কাশফুল দেখতে যেতে মনে চায় কিন্তু সময়ের জন্য আর যেতে পারছি না। বেশ দারুন ছিল আজকের পোস্টটি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এজন্যই নদীর ধার আমার এত পছন্দের জায়গা কাশবন গোধূলি আলো নদীর অথৈ জল এক কথায় অনেক ভালো সময় পার করেছিলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এতো সুন্দর কাশবনে ঘুরে বেড়াতে কার না ভালো লাগে।দুজন মিলে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। গোধূলির আলো কাশবনের উপর পরে এর সৌন্দর্য যেনো আরও বেশি ফুটিয়ে তুলেছে।অনেক ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ফটোগ্রাফি ও সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নদী ভ্রমণ কাশফুল ভ্রমণ এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সৌন্দর্য একই সাথে উপভোগ করেছি পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit