জেনারেল রাইটিং ✍️ হঠাৎ মৃত্যু হলে কি করবেন??

in hive-129948 •  5 months ago 

১৬ আষাঢ় , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।



শুভ রাত্রি ❤️ আমাদের কার মৃত্যু কখন কিভাবে আমাদের সাথে এসে দেখা করবে আমরা কেউ বলতে পারি না। তাই আমাদের সব সময় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকা চাই। এখন হঠাৎ যদি আপনি বুঝতে পারেন আপনার বিদায় ঘন্টা বাঁচতে শুরু করেছে আপনার হায়াত শেষ হয়ে গিয়েছে মৃত্যু নামক সত্যটা আপনার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে তাহলে আপনি কি করবেন?? মৃত্যুর সময় টা অর্থাৎ একজন মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করেন এই সময়টা খুবই ভয়াবহ। মানুষ ভয়ে আতঙ্কে পাগলের মতো আচরণ করতে থাকে এমনকি দিক-বেদিক ছোটাছুটি ও করতে থাকে। এজন্য আমরা যখন বুঝতে পারব যে মৃত্যু আমাদের সন্নিকটে করে সে সময় বেশি বেশি করে সৃষ্টি কর্তাকে স্মরণ করতে হবে। যে ব্যক্তি পৃথিবীতে যত বেশি সওয়াব এর কাজ করে যেতে পারবে। তার মৃত্যুর সময়টা তত বেশি সুখময় হবে। কেননা আমাদের জীবনের ফলাফলটা নির্ভর করে আমাদের কর্মের উপর। যে ব্যক্তি পরীক্ষার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে হলে উপস্থিত হবে অবশ্যই ওই ব্যক্তির পরীক্ষাটাও ভালো হবে। আর কোনরকম প্রস্তুতি ছাড়া যখন কোন ব্যক্তি পরীক্ষা দিতে যাবে অবশ্যই সে ফেল করবে এবং কি হচ্ছে সে নিজেও ঠিকঠাক বুঝতে পারবে না। এজন্য চলাফেরা করতে সব সময় সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ রাখতে হবে। কোন ব্যক্তির হৃদয়ের মধ্যে যদি সৃষ্টিকর্তার শাস্তি সম্পর্কে ভয় থাকে তাহলে ওই ব্যক্তি কখনোই খারাপ কাজ করতে পারবে না। ভালো কাজের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জন করে নিতে পারবে। আর সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির মধ্যে রয়েছে শান্তি। পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করার একটি সিরিয়াল রয়েছে। কিন্তু মৃত্যুবরণ করার কোন সিরিয়াল নেই। কখন কার মৃত্যু হবে এটা আমরা কেউ জানিনা। যদি এই চরম সত্য কথাটা আমাদের জানা থাকতো তাহলে আমরা প্রতিটা সময় সৃষ্টিকর্তার আনুগত্যেই মাথা নুয়ে রাখতাম।


আমরা বিশ্বাস করি আর না করি মেনে নেই আর না নেই মৃত্যু নামক তলোয়ারটি কিন্তু আমাদের উপর সবসময় ঝুলে রয়েছে। আর এই মৃত্যু নামক সত্যটা কিন্তু কখনোই কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। এমন কাউকে কিন্তু আপনি পৃথিবীতে দেখিয়ে দিতে পারবেন না যে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত জীবিত রয়েছে। বা এমন কেউ বলতে পারবে না যে আমি কখনোই মৃত্যুবরণ করবো না। বর্তমান আধুনিক বিশ্ব সব কিছুই আবিষ্কার করেছে কিন্তু একজন মানুষ ঠিক কখন মারা যাবে সেটা কিন্তু একচুয়াল কখনোই বলতে পারছে না। অনেকেই বলে থাকে পৃথিবী আপনা আপনি সৃষ্টি হয়েছে এই মানুষগুলাও ঠিক তেমন। এই কথাগুলো সম্পন্ন বিভ্রান্তিকর। কেননা সুগঠিত এই পৃথিবী এত ভালো নিয়মকানুন এর মধ্য দিয়ে কিভাবে চলছে আর কেইবা এর নিয়ন্ত্রক প্রশ্ন কি কখনোই আসেনা মনের ভিতরে। আপনি বিপদে পড়ছেন আর এই বিপদ থেকে আপনাকে কে উদ্ধার করছে। কার অনুগ্রহে আমরা এই পৃথিবীতে জীবিত রয়েছি। আসলে এই প্রশ্নগুলো আমাদেরকে ভাবায় আর ভাবানোর পরে একটাই উত্তর তিনি হলেন মহান রব যিনি আমাদেরকে অনুগ্রহ করে দয়া করে মায়া করে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার তৌফিক দিয়েছেন।

একবারে কখনো যেমন গাছের মাথায় ওঠা যায় না লাভ দিয়ে। তেমনি কোন মানুষ চেষ্টা করলে খারাপ অবস্থান একবারে ত্যাগ করতে পারেনা। তবে মানুষ যদি চেষ্টা করে ভালো হওয়ার জন্য এটা সম্ভব। ভালবাসার জন্য প্রথমে ছোট ছোট খারাপ অভ্যাসগুলো আগে ত্যাগ করতে হবে। দেখবেন এই খারাপ অভ্যাসগুলো একে একে সরতে সরতে একজন মানুষ পরিপূর্ণভাবে সঠিক পথে ফিরে এসেছে। আর যখন একজন মানুষের মধ্যে থেকে সব খারাপ অভ্যাসগুলো চলে যাবে তখন এমনিতেই ঐ ব্যক্তিকে ভালো বলা যাবে। আর ঐ ব্যক্তি দেখবেন আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করে নিয়ে ভালো পথে দিন অতিবাহিত করছেন। মৃত্যুর সময় টা বড়ই হতাশার। একমাত্র ওই সময়টাতে সৃষ্টি করতে পারেন আমাদেরকে সম্ভাবে সাহায্য করতে। এজন্য নেক আমলের পাশাপাশি আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোও সৃষ্টিকর্তার প্রতি সার্বক্ষণিক সুধারণা পোষণ করা। এই যে বিশাল পৃথিবীটা এর মাঝে হাজারো মানুষ যে অক্সিজেন নিয়ে জীবন চালনা করছে যদি তিনি কিছু সময়ের জন্যই পৃথিবীতে অক্সিজেন বন্ধ করে দেয় তাহলে কি অবস্থা হতে পারে আমাদের একটু ভাবুন তো? এজন্য সৃষ্টি করতে বলেছেন আমার রহমত থেকে কখনোই তোমরা নিরাশ হয় না। একজন ভিকারির মত তার দরবারে চাইতে হবে। কারণ তিনি তো অসীম দয়ালু তার ভান্ডারে তো কোন কিছুর অভাব নেই।

কোন ব্যক্তি যদি প্রশান্ত হৃদয়ে দয়াময় প্রভুর দিকে তাকিয়ে সাহায্য প্রার্থনা করেন তাহলে কখনোই তুমি সেটা ফেরত দেন না। ভালো হওয়া এবং ভালো থাকার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল সর্ব অবস্থায় আল্লাহকে সবথেকে বেশি ভয় করা। কেননা তিনি পরীক্ষা স্বরূপ আমাদেরকে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আমরা তো এই পৃথিবীর মুসাফির। দীর্ঘ পরীক্ষা শেষে আমরা যখন এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেব তখন যদি খালি হাতে যায় অবশ্যই আমাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য এই পৃথিবীতে এমন কিছু অর্জন করে যেতে হবে যেন পরপারে গিয়ে আমরা ঘুমা পেয়ে শান্তি লাভ করতে পারি। আর যখন আমাদের মৃত্যু আমাদের সঙ্গে করে চলে আসবে তখন সৃষ্টিকর্তার প্রতি সবথেকে বেশি আশা রাখতে হবে। কেননা মৃত্যু যখন মানুষের কাছে অবস্থান করে তখন কেউ আপনাকে কোন ধরনের সাহায্য করতে পারবে না একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত। পৃথিবীতে গচ্ছিত আপনার সম্পদ সন্তান আপনার আধিপত্য কোন কিছুই কিন্তু কোন কাজে আসবে না। এজন্য এমন ভাবে পৃথিবীতে পথ চলতে হবে যেন আমি এক মোসাফির। কখন যেন আমার বিদায় ঘন্টা বেজে যায় আর এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হয়। সব সময় প্রস্তুতি নিতে হবে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

এই পৃথিবী থেকে যদি আমরা একবার বিদায় নিয়ে চলে যাই তাহলে আর কখনো যেমন ফিরে আসতে পারবো না ঠিক কোন মানুষের কাছে যদি ভুল করে যাই অন্যায় অপরাধ করে যাই ক্ষমার জন্য না। এজন্য পৃথিবীতে জীবিত থাকা অবস্থায় নিজের জীবনকে এমনভাবে গঠন করে তুলতে হবে যেন আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রয়েছি। যেখানে যে অপরাধটা করেছি মানুষকে জানিয়ে না জানিয়ে রাতে অন্ধকারে গোপনে সবকিছু থেকে যেমন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে তেমনি যে ব্যক্তির সাথে অন্যায় করেছি তার কাছে গিয়েও গোপনে হলেও ক্ষমা চেয়ে আসতে হবে। কেননা পথিক হয়ে আমি পথে হাটছি কখন পথের শেষ প্রান্তে এসে যাব কখনোই জানিনা। মনে রাখবেন মৃত্যু পরবর্তী সময়ে কিন্তু পৃথিবীর মানুষ আপনাকে ভুলে যাবে কয়েকদিনের মধ্যে। আপনার ক্ষমতা আপনার আদিপত্য আর আপনার সম্পদ সবকিছুই ভাগাভাগি হয়ে যাবে আপনজনদের ভিতরে। দু একজন ব্যতীত বছরে একবার কেউ আপনাকে মনে করবে না আস্তে আস্তে এই পৃথিবীতে কে আপনি একদম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন। এজন্য আমাদেরকে সব সময় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকা উচিত। কেননা পৃথিবীতে এই চিরন্তন সত্য কখনোই কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা। বেশি বেশি করে ভালো কাজ করতে হবে অন্যায় অত্যাচার থেকে দূরে থাকতে হবে। কখনো কারো উপর জুলুম করা যাবে না অন্যের মঙ্গল হয় ভালো হয় এমন কাজ বেশি বেশি করতে হবে। কোথায় আসুন আমরা নিজেরা সঠিক পথে চলে এবং আমাদের আহলে বায়াত আত্মীয় পরিজন পরিবারকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে।


ডিভাইসঃ Redmi Note 5



break .png

Banner.png

|| [আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে]

standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Witness Banner 2.png


সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

কার মৃত্যু কখন কিভাবে হবে সেটা কেউ বলতে পারবে না। তবে মৃত্যুর জন্য সব সময় আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। মৃত্যুর কথা বারবার স্মরণ করতে হবে। মৃত্যুকে ভয় করতে হবে। একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঈমান এবং আমলনামা যদি সঠিক থাকে তাহলে মৃত্যু যন্ত্রণা কম হবে।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মৃত্যু নিয়ে সুন্দর সুন্দর কিছু গঠনমূলক কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

যেহেতু এই মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত সত্য এজন্য অবশ্যই আমাদের সব সময় প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে হবে মৃত্যুর জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

জন্ম,মৃত্যু, বিয়ে আল্লাহর হাতে।তাই কেউ জানি না আমরা আমাদের মৃত্যু কবে হবে।তবে আমি সব সময় চাই আমার যেনো হঠাৎ করে মৃত্যু হয়। আর এই মৃত্যু যেনো সুখের হয় তাই সব সময় ভালো কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করি।আমাদের সবার উচিত মৃত্যুর কথা চিন্তা করা।আর মৃত্যু চিন্তা মনে লালন করলে সে পাপ বা খারাপ কোন কাজ করবে না।আল্লাহ আমাদের সুবুদ্ধি দান করুন,আমিন।

অবশ্যই সব সময় ভালো কাজগুলো করলে সওয়াবের কাজগুলো করলে মৃত্যুর সময়টা অনেক ভালো হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

পৃথিবীতে সবাই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। জন্ম মৃত্যু এবং বিয়ে এগুলো আল্লাহর হাতে। তবে একটি মানুষের মৃত্যু কখন কিভাবে আসবে কেউ জানে না। আর মানুষ মৃত্যুবরণ করলে কিছুদিন বা কিছু মাস সবাই তাকে স্মরণ করে । তারপর আস্তে আস্তে সবাই ভুলে যায়। আর মৃত্যুবরণ করলে আর পৃথিবীতে কেউ আসতে পারে না। খুব সুন্দর একটি টপিক নিয়ে পোস্ট করছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

অবশ্যই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে প্রত্যেকটা প্রাণীর এজন্য আমাদের উচিত মৃত্যুর জন্য সব সময় প্রস্তুতি নিয়ে থাকা।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

আপনার পুরো পোস্ট টি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।আমরা যারা পৃথিবীতে জীবিত রয়েছি তাদের সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এটাই বাস্তব। কারণ কেউ মৃত্যুর হাত থেকে রেহাই পাবে না। তবে আমাদের সবার উচিত মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। একটা মানুষকে ভালো হতে হলে তাকে প্রথমে মিথ্যা কথা বাদ দিতে হবে। তারপর আল্লাহর পথে আস্তে আস্তে আসতে হবে তাকে।আর মানুষের কখন কিভাবে কোথায় মৃত্যু হবে এটা আমরা কেউ জানিনা। তাই দিনে একবার হলেও মৃত্যু স্বরন করা আমাদের উচিত। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

আমরা তো মুসাফির আর মুসাফির হয়ে তো পৃথিবীতে ঘুড়ছি।
কখন চলে যাওয়ার ডাক আসবে কেউ জানিনা।
এজন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকা।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

এই পৃথিবীর সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে৷ কেউ এই পৃথিবীতে টিকে থাকবে না৷ সকলকে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে৷ আসলে কেউ হঠাৎ চলে যায় অথবা কেউ অনেক সময় পৃথিবীতে থাকে ৷ তবে একটা সময় তাকে মৃত্যুবরণ করতেই হয়৷ যাইহোক আমরা প্রতিনিয়ত যদি ভালো কাজ করতে থাকি এবং সবসময় আল্লাহর সবগুলো বিধান মেনে জীবন অতিবাহিত করতে পারি তাহলে হঠাৎ করে মৃত্যু হলেও আমাদের কোনো চিন্তা থাকবে না৷