আমাদের ঈদ আনন্দ।

১৪ আষাঢ় , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।

শুভ রাত্রি ❤️ বর্তমান সময় সাপেক্ষে একতাবদ্ধ হয়ে থাকা বামহাতৃত্বের বন্ধন মজবুত করা খুবই জরুরী। কেননা প্রাকৃতিক পরিবেশ সহ দেশের পরিবেশ বিবেচনা করলে দেখা যায় প্রায় প্রতিটা মানুষই বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিটা পদক্ষেপে। একতাই শক্তি একতাই বল আর একতাই জয়লাভ করে দিন শেষে। বর্তমান সময়ে তো একতাবদ্ধ হয়ে থাকাটা মানুষ অনেক ছেড়ে দিয়েছে। সবাই যার যার মত একা একা ভালো থাকতে চাই। নিজের ভালোটা সবসময় কামনা করে অন্যের কি হলো এটা কখনো বোঝার চেষ্টা করে না বা বুঝে না। কিন্তু সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার মধ্যে যে অন্যরকম একটা ভালোলাগা এবং বিজয় থাকে সেটা আসলে আমরা বোঝার চেষ্টা করি না। যেকোন বিপদ একা একা মোকাবেলা করা এবং সবাই একসাথে হয়ে সেটার মোকাবেলা করা দুইটা কিন্তু দু'রকম হয়ে থাকে। আসলে ভালো থাকতে হলে একতাবদ্ধ হয়ে থাকার বিকল্প কোনো কিছু হতে পারে না। আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধন যদি ঠিক থাকে যে কোন সময় যে কোন বিপদ সামনে এলে সেটা মোকাবেলা করা অনেক সহজ হয়ে যায়। ঈদ পরবর্তী সময়ে আমাদের আনন্দঘন মুহূর্ত নিয়ে বেশ কয়েকদিন আগে একটি পোস্ট করেছিলাম। আজো আর আরেকটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। বছরে দুইবার আমরা সবাই একত্র হই। জীবিকার তাগিদে সবাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আসলে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন টা ঠিক রয়েছে এজন্য আমাদের মধ্যে এত আন্তরিকতা এবং সবাই মিলে এই পরবর্তী সময়ে এত মজা করতে পেরেছি। আসলে খেলাটা ছিল আমাদের জন্য জাস্ট একটা মজা করার উপকরণ। এই খেলাকে উদ্দেশ্য করে সবাই একত্র হতে পেরেছি দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে মতবিনিময় হয়েছে এর মাধ্যমে কিন্তু আমরা একটা দিন খুব ভালোভাবে পার করেছি। আর খেলার মধ্যে যে কত রকম আনন্দ মজা হয়েছে সেটা আর বলে বোঝাতে পারবো না। একটা গোলের শট বা একটা গোল হওয়া এতে যেন পুরো মাঠ জুড়ে কেঁপে উঠছিল সবার আওয়াজে এবং উল্লাসে। আসলে আমরা যে মজারা করেছি যে আনন্দটা উপভোগ করেছি আবার কবে সবাই একত্র হয়ে এরকম মজা করতে পারব জানিনা। আবার কতজনকে এর মধ্যে হারিয়ে ফেলবো বা আমি নিজে হারিয়ে যাবো সেটাও বলা বাহুল্য। এই যে গত বছর ঈদ উল আযহার সময় ও আমাদের সাথে এক বড় ভাই ছিল সে খুব খেলা প্রিয় লোক ছিল। অথচ এই ঈদে আমরা সবাই আছি খেলা হলো আনন্দ হল পিকনিক হল অথচ সেই ভাইটি আমাদের মধ্যে থেকে চিরতরে বিদায় নিয়ে চলে গিয়েছে। আসলে সময় যেমন ধরে রাখা যায় না তেমন মানুষের মৃত্যু কখন চলে আসে সেটাও বোঝা কঠিন। হয়তো সময়ের ফিরে আমরা তাকে হারিয়ে ফেলেছি এবার আর সে ছিল না তবুও কিন্তু বারবার তার কথা আমরা স্মরণ করছিলাম।

এবার আসি খেলার ফলাফল নিয়ে। আসলে যে মজাটা হয়েছে হারবা জিত এটা বড় কথা নয় সবাই মিলে একত্রে যে এত মজা করতে পেরেছি এটাই সবথেকে বড় পাওয়া। যদিও খেলার ফলাফল ছিল শেষ পর্যন্ত সিনিয়রদের হার এবং জুনিয়রদের বিজয়। সিনিয়র টিম যদি জিতে যেত তাহলে একরকম মজা হত আর জুনিয়র টিম জেতার পরে ওরা যে কত মজা করেছে কখনোই আমরা ওদের মত এত মজা করতে পারতাম না। ওদের নাচ গান ছবি তোলা এবং কাপ নিয়ে নাচানাচি সত্যি দেখার মত ছিল। যদিও আমরা যখন খেলতে নেমে ছিলাম তখন কিন্তু যে তার জন্যই নেমেছিলাম। কিন্তু পরে মনে হল আমরা যে তার চেয়ে ছোটরা জিতেছে এটাই সবথেকে বেশি ভালো হয়েছে। কারণ ওরা এত এত খুশি ছিল এবং এতো এতো উল্লাস করেছে যে ওদের বিষয় উল্লেখ দেখে আমরাও হেসেছি এবং উল্লাস করেছি একসাথে। পুরো দিনটাতে খেলা শেষে ওদের উল্লাসটা ছিল সব থেকে চোখে পড়ার মতো। কেননা সিনিয়র জুনিয়র খেলা আমাদের এখানে প্রতি বছরই হয়ে থাকে কিন্তু জুনিয়র টিম এর পূর্বে কখনো জিততে পারেনি। প্রথমবারের মতো ওরা জিতেছে এজন্য হয়তো এত মজা করেছে। আর মজাটা হবে না কেন এত মানুষের ভিড়ে তারা খুব ভালো খেলে গোল দিয়ে বড়দের কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে এটা তাদের জন্য অনেক পাওয়া ছিল। উপরের ছবিগুলোতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে ওরা কত সুন্দরভাবে ছবিগুলো তুলেছে এবং কত মজা করেছে।

যদিও খেলাতেছিল ছোট্ট একটি কাপ পুরস্কার। তবে এই ছোট্ট একটি কাপকে কেন্দ্র করেছিল অনেক আনন্দ এবং উল্লাস। সেই সাথে সবাই মিলে গ্রামের এক মাঠে একত্র হতে পেরে অনেক মজা হচ্ছিল। এক বছর পরে সবাই একত্র হয়ে এরকম একটি দিন উপভোগ করতে পেরে সত্যিই অনেক ভালো লাগছিল। যদিও সময়টা বিগত হয়ে গেছে এখন পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি। তবে ফটোগুলো দেখে সেই বিজয় উল্লাস সেই হাসিখুশি দিনটা সেই মুহূর্তগুলো বারবার ফিরে পেতে মন চাইছে। ইচ্ছে করছে কাপটা হাতে নিয়ে আবার ছোটদের সাথে হেসে উঠে গান মজার চলে। ঐদিনটা মুহূর্তটা এবং সময়টা স্মরণীয় রাখার জন্য মূলত আমার পোষ্টের মাধ্যমে কিছু ফটোগ্রাফি এবং লেখনীগুলো লিখে রাখলাম। যাইহোক ঈদ পরবর্তী সময়ে সবাই মিলে অনেক মজা করলাম আনন্দ করলাম পোষ্টের মাধ্যমে স্মরণ হয়ে থাকবে। আবার যদি নসিবে থাকে তাহলে এক বছর পরে সবাই একত্র হয়ে হয়তো এর থেকেও বেশি মজা করতে পারব। যাই হোক ঈদ পরবর্তী সময়ে এই ছিল আমাদের আনন্দঘন মুহূর্তগুলো। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।