২৭জৈষ্ঠ্য , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।
শুভরাত্রি ❤️ আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম আজ নতুন আরেকটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট নিয়ে। আমার আজকের জেনারেল রাইটিং পোস্ট এর মধ্যে তুলে ধরব আমাদের সমাজের বাস্তব কিছু চিত্র এবং আমাদের করণীয়। যেহেতু সামনে ঈদুল আযহা আর এই সময় আমরা সবাই আমাদের আশপাশের মানুষকে সহায়তা করে ঈদের খুশিটা ভাগ করে নিতে পারি। বর্তমান মানুষ কিন্তু খুব অভাবের মধ্য দিয়ে দিন পার করছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তদের কষ্টটা সবথেকে বেশি। না পাড়ছে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে চলতে আবার না পারছে কারো কাছে হাত পাততে। এর মানে এই শ্রেণীর মানুষের মধ্যে চাপা কষ্টটা একটু বেশি। তারপরও কিন্তু আমাদের সমাজে যারা নিম্নমানের মানুষ রয়েছে তাদেরকে দেখার দায়িত্ব আমাদের। এখনো কিন্তু এমন মানুষ রয়েছে যারা দুবেলা দুমুঠো পেট পুরে খেতে পারে না। আসছে সামনে ঈদ উল আযহা তাহলে আমরা তাদের জন্য কি করব, না আমাদের কিছু করার নেই। অবশ্যই আমাদের কিছু না কিছু করতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী কিন্তু আপনার সাধ্যের বাইরে কোন কিছু করতে কখনোই বলা হয় না। কিন্তু আপনার যেগুলো করা উচিত নৈতিক এবং সামাজিক মূল্যবোধ থেকে সেগুলো অবশ্যই করবেন। ঈদের খুশিটা যেন সবার মাঝে সমান ভাবে ছড়িয়ে পড়ে এজন্য কিছু করণীয় কাজ আমাদের করতে হবে।
ধনীদের সম্পদের মধ্যে কিন্তু গরিবের হক রয়েছে। আর এটা আল্লাহতালা নির্ধারণ করে দিয়েছে আমাদের উপর। এবং ধনীদের সম্পদ কিভাবে হিসাবের মাধ্যমে গরিব অসহায় মানুষের মধ্যে বন্টন করতে হবে এটাও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম হাদিসের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন। এবং এই যে ধনীদের সম্পদের মধ্যে গরিবের হক রয়েছে এই সম্পদ যদি কোন ধনী ব্যক্তি গরিবের মধ্যে বন্টন না করে তাহলে এর জন্য তার কি কি ধরনের শাস্তি হতে পারে একজন মুসলমান হিসেবে কিন্তু এটা আমরা অবশ্যই জ্ঞান রাখি। এখন কথা হচ্ছে শুধু এই বিষয়গুলো জানা থাকলে হবে না আমাদেরকে কাজের রূপান্তরণ করে দেখাতে হবে। যদি বাংলাদেশের সব ধনী ব্যক্তি তাদের যাকাতের মালামাল হিসাব করে দরিদ্র ব্যক্তিদেরকে সহায়তা করে তাহলে এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ এর দরিদ্র লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়বে। আমি ওই সমস্ত দরিদ্র ব্যক্তিদের কে সহায়তার কথা বলছি না যারা কাজকাম ব্যাতি রেখে অলস ভাবে দিন কাটায়। কিন্তু যারা নিতান্তই অসহায় আর্থিকভাবে তাদেরকে সহায়তা করা উচিত।
একজন মুসলমান হিসেবে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে কিন্তু আপনার ওপরে যাকাতের টাকা গরীবকে দেওয়া ফরজ হয়ে যায়। আর এই টাকা নেওয়ার জন্য কিন্তু কোন সময়ই গরিব আপনার কাছে যেতে বাধ্য নই। কেননা আল্লাহতালা বলেছে গরিবের হক তিনি আপনার সম্পদের মধ্যে রেখেছেন এর মানে আপনি আপনার সম্পদ পাই টু পাই হিসাব করে সেটি গরিবের মধ্যে বিলিয়ে দিবেন। দুদিনের পৃথিবী আজ আছি তো কাল নেই মৃত্যুর পরের জীবন নিয়ে চিন্তা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর যদি আপনি গরিবের হক নষ্ট করেন তাহলে কাল কেয়ামতের ময়দানে অবশ্যই আপনাকে সৃষ্টিকর্তার কাঠগড়ায় আসামি রূপে হাজির হতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন এবং সামাজিক মূল্যবোধ ব্যক্তিগত মূল্যবোধ থেকে হলেও আমাদের আশেপাশে যত অসহায় ব্যক্তি রয়েছে তাদেরকে সহায়তা করে নিজের সাধ্য অনুযায়ী। আল্লাহতালা কিন্তু বলেছেন এই যাকাতের টাকা যে সকল ব্যক্তি গরিব কে দেবে না তাদের উপর কিন্তু অনেক ধরনের বিপদ নেমে আসবে আর অবশ্যই তাদের বিচার করা হবে খুব কঠোরভাবে। সেদিন কিন্তু আমার আপনাকে জিজ্ঞেস করা হবে যে আমার বাড়ির পাশে বা আমার এলাকায় এই ব্যক্তিটি কেন না খেয়ে রাত কাটিয়েছে। বা কেন এত সমস্যায় থাকার পরেও আমি তার খোঁজখবর নেইনি। কেননা আমার সম্পদে তো তার হক ছিল। এই খবরগুলো এবং গরিবদেরকে সহায়তা কিন্তু নিজ দায়িত্বেই আমাদের করতে হবে। একটু ভেবে দেখুন আমরা কিন্তু সবাই আমাদের পরিবারের সবার জন্য ঈদে নতুন জামা কাপড় কিনেছি। অথচ আমার বাড়ির পাশেই বা রাস্তার ধারে এমন একজন আছে যে পূরণ কাপড়ের ব্যবস্থা ও করতে পারেনি। আমরা কিন্তু মার্কেটে গেলে সবথেকে দামি এবং ভালো কাপড় খুঁজে কেনার চেষ্টা করি। অথচ এমন ব্যক্তি রয়েছে যে ফুটপাত থেকে একটি নতুন কাপড় কিনতে পারছে না নিজের জন্য অথবা তার পরিবারের কারো জন্য। আমাদের উপর কিন্তু অনেক বড় দায়িত্ব আমাদের উচিত তাদেরকে খুঁজে বের করে অন্তত তাদের মুখে একটু হলেও হাসি ফোটানো।
১৫শ বছর আগে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে কিন্তু যত ধনী ব্যক্তি ছিল তারা সবাই তাদের যাকাতের টাকা হিসাব করে নিজের কাঁধে বহন করে অসহায় হতদরিদ্র মানুষদেরকে খুঁজে খুঁজে সেটি বন্টন করত। এর মানে ইসলাম ধর্মের যে নিয়ম-কানুন রয়েছে ধারাবাহিকভাবে হয়ে আসতেছিল সেটাই কিন্তু আমাদের করতে হবে। কিন্তু কালের বিবর্তনে দেখা যায় যে মানুষ এখন আর যাকাত দিতে চায় না। একজন মানুষের যা সম্পদ রয়েছে সে পুরোটাই তার নিজের ভাবে অত যে সৃষ্টি কর্তা যে তার ওপর দয়া করে মায়া করে রহম করে এই সম্পদের মালিক করেছে সে কখনোই এটা স্বীকার করতে চায় না। বর্তমান সময় মানুষের মধ্যে আত্ম অহংকার খুব বেশি। বেশি টাকার মানুষ হলে বা ধন-সম্পদের মালিক হলে সৃষ্টিকর্তা কেউ ঠিকঠাক মানতে চায় না। এজন্য আসুন ঈদের খুশি যেন আমাদের সবার জন্য হয় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাই। অসহায় হতে দরিদ্র মানুষ কিন্তু আমার আপনার কাছে বেশি আবদার করে না। ২, ৪০০ টাকা একটা ভালো ড্রেস অথবা দুবেলা পেট পুরে খাবার। অসহায় মানুষদের সহায়তা করলে যে সৃষ্টিকর্তা কি পরিমাণে খুশি হয় এটা হয়তো আমরা সবাই জানি। এজন্য আসুন আমরা ব্যক্তিগত মূল্যবোধ থেকে আমাদের পাশে যত অসহায় মানুষ রয়েছে আমরা তাদেরকে সহায়তা করি। এবং ঈদের খুশিটা সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেই। যাইহোক দায়িত্ব এবং কর্তব্য নিয়ে লেখা আমার আজকের লেখনী এখানেই শেষ করছি আমরা সবাই চেষ্টা করব অল্প হলেও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
|| [আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে]
VOTE @bangla.witness as witness OR >>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রতিটি মানুষ তার দায়িত্বের ভিতর পড়ে। সেটা পারিবারিক হোক কিংবা সামাজিক হোক। অথবা ধর্মীয় ক্ষেত্রে হোক অনেক কিছুর দায়িত্ব থেকে যায়। যেগুলো আমাদেরকে অবশ্যই পালন করতে হয়। আপনি অনেক সুন্দর করে দায়িত্ব নিয়ে লিখলেন। আপনি অনেক সুন্দর করে উদাহরণের মাধ্যমে আমাদেরকে বুঝিয়ে দিলেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে যাদের নিসাব পরিমাণ সম্পদ আছে তাঁদের যাকাত দিতে বলা হয়েছে। তবে যাদের নিসাব পরিমাণ সম্পদ নেই কিন্তু মানুষকে দেওয়ার সামর্থ্য আছে তাদেরও উচিত গরিবদেরকে হেল্প করা। যাইহোক যাকাত দেওয়া ফরজ মানে আবশ্যক তাই যাদের নিসাব পরিমাণ সম্পদ আছে তাদের অবশ্যই যাকাত দিতে হবে। এতে করে তাঁদের একটা ফরজ কাজ করা হবে আবার গরিব মানুষেরাও অনেক উপকার পাবে। আর হ্যাঁ এটা ঠিক বলেছেন এই টাকা গরীবদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব ধনীদের। কারণ ধনীদের টাকার উপর গরিবদের হক আছে যার কারণে গরিবের হক গরিবেরা নিজেই আদায় করতে যাবে সেটা কখনোই কাম্য নয়। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর কিছু কথা লিখেছেন ভাই, আপনি এই পোষ্টের মাধ্যমে। অসহায় মানুষদের আসলে বেশি আবদার থাকে না, তারা সামান্য একটু পেলেই অনেক খুশি হয়ে যায়। তাছাড়া এই অসহায় মানুষদের সাহায্য করলে সৃষ্টিকর্তাও অনেক সন্তুষ্ট হন। এসব অসহায় দুঃখী মানুষদের সাহায্য করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী যদি অল্প করেও এইসব অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো যায়, তাহলে সেটা সমাজের জন্য অনেক কল্যাণকারী কাজ হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আজকে আপনি খুব মূল্যবান একটি পোস্ট করেছেন। দায়িত্ব নিয়ে পোস্টটি করেছেন পড়ে বেশ ভালই লাগলো। এই সমাজে কয়জন লোক নিজের দায়িত্ব পালন করে। আর বর্তমান সময়ে মধ্যবিত্ত এবং গরিব মানুষ চলতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তবে বড় লোকগুলো চেষ্টা করে আরো বড়লোক হওয়ার জন্য। তারা কখনো পাশের লোকদেরকে হেল্প করার চিন্তাভাবনায় করে না। এরকম বড়লোক আমাদের এদিকে অনেক আছে। যাই হোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit