১৭ ভাদ্র , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।
শুভ রাত্রি ♥️ আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমি আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে কিছু নসিহা আপনাদের মধ্যে প্রকাশ করতে চাই। যাতে করে ভালো মানুষগুলো আরো বেশি ভালো হতে পারে। এবং উদাসীন মানুষগুলো কুক্রবৃত্তি ছেড়ে ভালো পথে আসতে পারে। মৃত্যুর পরে অথবা মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে এসে নিজেকে নিয়ে আফসোস করার চেয়ে সময় থাকতে নিজেকে বদলিয়ে ফেলি। আমার এই আলোচনার মাঝে এমন কিছু কথা শেয়ার করব আজকে আমি চাইবো সবাই যেন এই কথার মাধ্যমে আলোর পথে ফিরে আসে। প্রিয় ভাই আমাদের আত্মাগুলোকে জাগ্রত করার জন্য এবং উদাসীনতা থেকে ফিরে আসার জন্য মৃত্যুর ভয় খুব কার্যকর ভাবে কাজ করে। এজন্য জ্ঞানী ব্যক্তিরা বলে যারা মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করে তারা কখনো বিপথগামী বা খারাপ রাস্তায় চলতে পারে না। একজন পন্ডিত ব্যক্তি কে একজন সাধারণ মানুষ একদিন জিজ্ঞেস করল আমার জন্য আপনার কাছ থেকে সর্ব উৎকৃষ্ট নসিহা কি হতে পারে। তখন তিনি বলেছিলেন আপনি মৃত্যুর জায়গা গুলোকে দেখুন মৃত্যুকে স্মরণ করুন অসুস্থ মানুষকে দেখুন। যারা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে তাদেরকে একবার দেখে আসুন। মৃত বাড়িতে অবস্থান করুন। দেখবেন আপনার মধ্যে কিছুটা হলেও ভীতি কাজ করবে। এতে আপনি বিপথগামী হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
আপনার জীবন থেকে একটু পিছনে গিয়ে দেখুন তো যারা আপনার সাথে ছিল কাছের মানুষ যারা পৃথিবী থেকে চিরুনিদ্রায় চলে গিয়েছে তাদের কথা একটু ভাবুন তো। কত শক্তিধর মানুষ ছিল এই পৃথিবীতে কত সম্পদশালী ব্যক্তি ছিল এই পৃথিবীতে শক্তি এবং সম্পদ কিছুই কিন্তু মৃত্যুর সময় তাদের কোন কাজে আসেনি । পার্থ জীবনের ভোগ বিলাস কিন্তু ক্ষণস্থায়ী। আর মৃত্যুর পরের জীবন কিন্তু চিরস্থায়ী। অবশ্যই সেখানে আমাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে এবং দুনিয়ার এই অল্প সময়ের হিসাব বুঝিয়ে দিতে হবে। স্মরণ করুন ওই দিনের কথা যেদিন আপনার কাছের মানুষ প্রিয় মানুষ দুনিয়া থেকে চলে গিয়েছে আজ পর্যন্ত কিন্তু আপনি তার কোন খবর পাননি। নিজেকে পরিবর্তন করুন এবং সুন্দর করুন। সার্বক্ষণিক মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিন। আর চিন্তা করুন যে মৃত্যু কখন যেন আমাকে ডাক দেয়। কেননা এই মৃত্যু আমাদের মাথার উপর ঝুলে আছে।
আমাদের জীবনের সময়টা কিন্তু খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে। চলে যাওয়ার সময় কিন্তু আমরা কোন ভাবেই ফেলে আনতে পারব না। আর আমরা মানুষ সময়ের ব্যাপারে সব থেকে বড় উদাসীন। একটু ভাবুন পৃথিবী থেকে প্রতিদিন কত মানুষ বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছে আর কখনো আমার নিজের বিদায় ঘন্টা বাজবে কে জানে। মৃত্যু একমাত্র চিরন্তন সত্য যা আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারবো না। কিন্তু নিজের কাছে একটু প্রশ্ন করে দেখুন আমরা মৃত্যুর জন্য কতটুকু প্রস্তুত থাকি। কি পরিমাণে আমল বুঝিয়ে রেখেছে যেটা মৃত্যুর পরে সৃষ্টিকর্তার কাছে জমা দিয়ে শান্তির পথ খুঁজে নিব। কত আপনজন প্রিয়জন কিন্তু আমাদের সামনের থেকে বিদায় নিচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে মাটি টাকে গ্রাস করে ফেলছে। এটা দেখে কি আমাদের মাঝে একটি হলেও ভয় জাগ্রত হয় না। যে আমরা এখনো নিজেকে পরিবর্তন করে ভালো পথে চলে অন্যায় থেকে ফিরে আসি। ধোঁকাবাজি দুর্নীতি আর মানুষ তো কোন কাছ থেকে ফেরত আসি।
মনে রাখতে হবে এই দুনিয়ার জীবন খুবই সংকীর্ণ এবং সীমাবদ্ধতার মধ্যে দিয়ে চলে। আমার জন্য বরাদ্দ নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে মৃত্যু আমাকে পাকড়াও করবেই। পৃথিবীতে অবস্থানরত ভালো খারাপ প্রত্যেকটা মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ আর সাধন গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু বিচারের দিনটা খুবই কঠিন। অবশ্যই প্রত্যেক মানুষকে তার হিসাব বুঝিয়ে দিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। খারাপ কাজ করার জন্য অবশ্যই শাস্তি আর ভালো কাজ করার জন্য শান্তির ব্যবস্থা করা রয়েছে। যারা দুনিয়ার যুবকরকে বিভিন্নভাবে উপভোগ করছে তারাও মৃত্যুবরণ করবে। আর যারা দুনিয়ার জীবনকে কাজে লাগিয়ে পরপারে জীবনকে সুন্দর করার চেষ্টা করছে তারাও মৃত্যুবরণ করবে। পার্থক্য শুধু এতোটুকু নেই মৃত্যুর পরে কেউ শান্তিতে থাকবে আর কেউ কষ্টে থাকবে অনন্তকালের জন্য।
মৃত্যু এমন এক বাস্তবতা যা আমাদের সবার সাথে সাক্ষাত করবে। এজন্য আসলে সময় থাকতে আমরা সবাই পৃথিবীতে এমন জীবন গঠন করে যেন মৃত্যুর পরে ভালো থাকতে পারে। বর্তমান সময়ে দুর্নীতি মানুষ ঠকানো এবং কালো টাকার বলে সবাই অন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই অন্ধত্ব থেকে বের হয়ে এসে মানুষের মতো মানুষে দুনিয়ার জীবনটা পার করার চেষ্টা করি। যেহেতু আমরা চিরস্থায়ী নয় মৃত্যুবরণ করতে হবে তাহলে কেন এত ভেদাভে। কেন প্রভাবশালী মানুষ হয়ে দুর্বলের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। এমন যদি হতো আপনার ক্ষমতা এবং টাকা আছে এর জন্য আপনি পৃথিবীতে চিরস্থায়ী তাহলে না হয় অন্যরকম হতো। যেহেতু এই মৃত্যু সবাইকে পাকড়াও করবে সেজন্য আমাদেরকে আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বনের মাধ্যমে নিজেকে অন্যভাবে গড়ে তোলার দরকার। আমাদের প্রতিটা নিঃশ্বাস আমাদেরকে মৃত্যুর আরো কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে। এজন্য আসুন আমরা সংশোধন হয়ে এবং নিজের জীবনকে এমনভাবে গড়ে তুলি যেন পৃথিবী থেকে লাঞ্ছনা শিকার না হয় এবং পরপারে গিয়ে সৃষ্টি কর্তার কাছে পূর্ণতা পায়। এখন একটু আশপাশে তাকিয়ে দেখুন কত প্রভাবশালী এবং টাকাওয়ালা লোক কত ভাবে লাঞ্চিত হচ্ছে অপমানিত হচ্ছে মানুষের কাছে মার খাচ্ছে। এবং তাদের সাথে কত খারাপ আচার ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। তাহলে আপনার টাকা প্রভাব এবং শক্তি আপনার কি কাজে আসলো। পৃথিবীতে থাকতে যদি এই টাকা এবং ক্ষমতা আমাকে অপমানিত করে তাহলে কি দরকার ছিল এগুলোর। একজন সাধারণ মানুষ হয়ে যদি সম্মানের সাথে পৃথিবীতে বেঁচে থাকা যায় তাহলে ক্ষমতা এবং টাকার কি দরকার। যাইহোক অনেক কথা আলোচনা করলাম হয়তো একটু হলেও আপনাদের উপকারে আসবে।
ডিভাইসঃ Redmi Note 13 Pro
|| [আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে]
VOTE @bangla.witness as witness OR >>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইতিপূর্বে কয়েক বার ঘোষণা দেয়া হয়েছে কমিউনিটির নেটিভ কয়েন $PUSS কেনার জন্য কিন্তু আপনি সেটা এখনো কিনেন নাই, অথচ দাম অনেক গুন বেড়ে গেছে। এরপর হতে আপনার পোষ্ট কিউরেশনে যাবে না $PUSS টোকেন না কিনলে। ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit