মেসের বাজার করার অভিজ্ঞতা ||10% beneficiary for shy-fox||

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

IMG_20211127_235618.jpg

received_4537417849646084.jpeg

হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি ভালো আছি। আশা করি আপনারাও সবাই বেশ ভালই আছেন। বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ভাষাভাষী লোকজনদের সকলের প্রিয় প্ল্যাটফর্ম "আমার বাংলা ব্লগ" এ নিয়মিত লেখালেখি করার মাধ্যমে আমরা আমাদের মেধার বিকাশ ঘটাতে পারছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমার লেখালেখির আলোচ্য বিষয় "মেসের বাজার করার অভিজ্ঞতা"।এখন আমি আমার বাজার করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।

received_321596022845306.jpeg

received_459948389085500.jpeg

সাধারণত বাসায় থাকলে বাজারে তেমন একটা যাওয়া হয় না। বাড়ির সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সমূহের কেনাকাটা আমার বাবা সম্পন্ন করেন। বাসায় থাকা কালীন সময়ে বাজারে তেমন একটা না করা হলেও,মেস লাইফ এ এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে প্রতি মাসেই। আমাদের মেসের মোট সদস্য সংখ্যা ৩০ জন। প্রতিমাসে মেসের জন্য ১৫ টা করে বাজার করা হয়ে থাকে।প্রতি বাজারে দুজন করে সদস্যের ওপর বাজারের দায়িত্ব দেয়া থাকে। সেই হিসেবে মেসের প্রত্যেক সদস্যকে মাসে অন্তত একবার হলেও বাজার করতেই হয়। প্রতি মাসে একবার করে বাজারে যাওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সম্পর্কে মোটামুটি একটা ভালো আইডিয়া এসেছে। এ মাসের আজকের দিনে আমার বাজার করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

received_464875038307227.jpeg

received_442581754106005.jpeg

মেসের বাজার সাধারণত খুব সকালেই করতে হয়। সকালে বাজার করার লক্ষ্যে গতকাল রাতে ছক্কা পাঞ্জা চ্যানেলে লুডু খেলার পরও ৯ টায় ঘড়ির এলার্ম দিতে হয়েছিল। সকালে ওঠার পর অটোরিকশা গুলোতে চড়ে বাজারের ব্যাগ নিয়ে আমি এবং আমার ম্যাচের এক ছোট ভাই মিলে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। বগুড়ার মধ্যে ফতেহ আলি বাজারই সবচেয়ে জনপ্রিয়। বগুড়া শহরের বেশিরভাগ লোকজন এখান থেকে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্যাদি কিনে থাকেন। সকালে বাজারে গিয়ে দেখি লোকজনের ভালোই ভিড় জমে গেছে। বাজারে গিয়ে প্রথমে মসলার দোকান থেকে থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করলাম। এরপর কাঁচা বাজার থেকে লিস্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিলাম। কাঁচাবাজারে বিভিন্ন লোকজনের ভিড় জমে গেছে। বিভিন্ন ম্যাচের এবং বাসাবাড়ির সদস্যরা বাজার করতে এসেছেন। বেশি ভিড় থাকার কারণে কাঁচাবাজার ক্রয় করতে ভালই সময় লাগলো। কাঁচা বাজার ক্রয় করার পর আমরা গেলাম মাছ কিনতে। কাঁচা বাজারের তুলনায় মাছের আরত এ লোকজনের ভিড় একটু বেশি। মাছের বাজারে ভিড় হবেই না বা কেন? উত্তরবঙ্গের মধ্যে মাছের বাজারের জন্য এই ফাতেহ আলি বাজারই সবথেকে বিখ্যাত। সামুদ্রিক কিছু মা ছাড়া এমন কোন মাছ নেই যা এই বাজারে পাওয়া যায় না। মাছ কেন শেষে মুরগি এবং ডিম কিনে নিয়ে মেসে চলে আসলাম।

received_332448914894814.jpeg

received_980053949518655.jpeg

বাজার করা ভালোই বিরক্তের কাজ হলেও মাঝে মাঝে আমাদের বাজারে যাওয়া উচিত। এতে করে কোন জিনিসটা ভালো এবং কোন জিনিসটা খারাপ তা বেশ ভালই উপলব্ধি করা যায়। সংসার জীবনে এই বিষয়গুলো খুব কাজে দেবে। আপাতত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং কাছের মানুষদের খেয়াল রাখবেন। আবারো পরবর্তীতে নতুন কোন লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব।

ধন্যবাদ সবাইকে।

@mahamuddipu

Photography@mahamuddipu
DeviceVivo Y19
LocationLink

আমি মাহমুদ দিপু। আমি বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় অবস্থান করছি।আমি পেশায় একজন ছাত্র। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হলেও লেখালেখি করতে আমার খুব ভালো লাগে। বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানো এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া আমার সখ। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে অনেক ভালোবাসি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এখানে আমাদের সাথে বাজার ফটোগ্রাফি ভাগ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ.

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

আসলে সত্যি বলতে গেলে এখন দেখা যায় বাজারে অধিকাংশই মহিলারা বাজার করে থাকেন। উচিত ছিল আমাদের ছেলেদের বাজারে গিয়ে বাজার করা। ছাত্র জীবনে কখনো আমার সাথে এমন টাই হয়নি তবে আমার বন্ধু কাছে যখন গিয়েছিলাম তখন এমন বিষয় এর সম্মুখীন আমি হই। সত্যি বলতে গেলে খারাপ না ভালই লাগে কারণ অনেক কিছুতেই অভিজ্ঞতা হয়ে যায়।

খুব সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

মেসের বাজার করার অভিজ্ঞতা আমার অনেক আছে। আপনার আজকের মেসের বাজার করার অভিজ্ঞতা এবং মেসের বাজার করার গল্পটা পড়ে আমার সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। কারন আপনার এই ম্যাচে বাজার করার অনুভূতি গুলো আমার অনুভূতির সাথে একদম মিলে গেছে। সত্যিই মেসের থাকা ছাত্রদের এটি সুন্দর অভিজ্ঞতা।

গঠনমূলক মন্তব্য করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।

দিপু ভাই খুব সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা তাই না আমরা মাঝে মাঝে এরকম বাজার করে হল লাইফে রান্নাবান্না করি। আপনার সাথে মিলে গেল কিছু অংশ। যাইহোক ভাইয়া খুব সুন্দর করে রান্না করবেন মাছ এবং ডিম। আসলে ভাইযয়া ম্যাচ লাইফে এবং হল লাইফের ডিম খুব খাওয়া হয়। পেটের ৭০% ডিম হাহাহাহাহা।

ভাইয়া দারুন একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। পোস্ট অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে। আপনার পোস্টের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ সুন্দর হয়েছে বিশেষ করে লেবু গুলোর ফটোগ্রাফি দারুন লাগছে দেখতে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।