করোনাভাইরাস এর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ

in hive-129948 •  3 years ago 

received_277817790746995.jpeg

received_257212353018927.jpeg

received_1708555949339515.jpeg

সেই ২০২০ সালের মার্চ মাসের ১৮ তারিখ থেকে এদেশে করোনা ভাইরাসের জন্য লকডাউন দিয়ে দিয়েছিল। তার কিছুদিন পরে বাংলাদেশের প্রথম করোনাভাইরাস এর রোগী ধরা পড়ে।এরপর থেকে দেশে করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এরপর এ ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার এর জন্য চলল অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে বিজ্ঞানীরা করা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করল।

প্রথমে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ করল উন্নত দেশের লোকজনরা। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে বিশ্বের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত দেশ সহ বাংলাদেশেও আসলো এ রোগের ভ্যাকসিন। শুরুর দিকে সবাই ভ্যাকসিন নিতে শুরু করলো আমি বিলম্ব করছিলাম। বিলম্ব করার ও অনেক কারণ রয়েছে। লোকমুখে বিভিন্ন ধরনের গুজবের ছড়াছড়ি। প্রথমদিকে লোকজন এসব গুজবে কান দিলেও পরবর্তীতে ধীরে ধীরে লোকজন ভয় কাটিয়ে ভ্যাকসিন নেয়া শুরু করলো। আমিও রেজিস্টার করলাম। এরপর ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করলাম। প্রথম ডোজ গ্রহণের পর সে অভিজ্ঞতা আপনাদের সঙ্গে আগেই শেয়ার করা হয়েছে। পরবর্তীতে আজকে এই ভাইরাস প্রতিরোধের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করলাম। প্রথম ডোজ গ্রহণের সময় লোকজনের যেরকম লম্বা লাইন ছিল এবার ততটা ভিড় ছিল না।যার ফলে দ্বিতীয় ডোজ বেশ শান্তিপূর্ণভাবেই গ্রহণ করতে পেরেছিলাম।লম্বা লাইনেও তেমন একটা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পর বোধহয় সর্বোচ্চ ৫ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এরপরই আমার সিরিয়াল আসলো।

ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করার করার পর প্রথমে খুব একটা সমস্যা হয়নি। তবে ঘুমের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল । সারাদিন প্রায় ঘুমের মধ্যেই পার করেছি। এখন অবশ্য যে হাত এ টিকা নিয়েছিলাম ওই হাত ব্যথা করছে। খুব দ্রুত সকলকে টিকা গ্রহণ করা উচিত। আর রাস্তায় চলাচলের সময় মাস্ক পরিধান করা উচিত। যদিও আমি মাস্ক পরিধান করে চলাচল করি না। মাস্ক ব্যবহার করলে চশমা ঘেমে যাওয়ায় স্পষ্টভাবে কিছু দেখা যায় না।

received_566561294650540.jpeg

received_354542013131264.jpeg

received_469173571012989.jpeg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অভিনন্দন করোনা ভ্যাক্সিন দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য।

আমি নিজেও শুধু প্রথম ডোজ নিয়ে বসে আছি দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায়।আপনার এই মুহুর্তটি ভাগাভাগির জন্য ধন্যবাদ।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

বাংলাদেশে প্রথম করোনা রুগী ধরা পড়ে ৮ ই মার্চ ২০২০। এবং আপনি করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন এটা খুবই ভালো। আমি নভেম্বরের ২ আশাকরি দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করব। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

অনেক ভালো একটি কাজ করেছেন। কারণ শরীরকে সুস্থ রাখতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভ্যাসিনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমি প্রথম গ্রহণ করেছি দ্বিতীয়ত এখনো গ্রহণ করা হয়নি।

ধন্যবাদ আপনাকে।

বাহ আপনি তো দুটো ডোজ ই নিয়ে নিলেন। আমি প্রথম ডোজ নিয়েছি। প্রথম ডোজ গ্রহনের তারিখ থেকে দ্বিতীয় ডোজ আসতে এখন অনেক দিন বাকি তাই এখন নেওয়া হয় নি। তবে খুব শীঘ্রই নিবো।

কোভিট-১৯ এর দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহন করায় আপনাকে অভিনন্দন ভাই

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।

জেনে খুব খুশি হলাম যে আপনার করোনা ভাইরাসের টিকা দ্বিতীয় ডোজও কমপ্লিট সৃষ্টিকর্তা যেন এই টিকার মাধ্যমে আপনাকে এবং আমাদের সবাইকে ভালো রাখে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

খুব ভালো করেছেন ভাইয়া টিকাটা নিয়ে। এখন একটু নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন। আমিও দুটি ডোজ নিয়ে ফেলেছি ।টিকা নেয়ার পর নিজের কাছে একটু ভালো লাগে নিজেকে একটু সেফ মনে হয় ।তার পরেও যতটুকু পারা যায় সেভ থাকার চেষ্টা করি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আমার মতে, এ ভাইরাসের টিকার সবার নেয়া উচিত। টিকা নিলে কিছুটা শঙ্কামুক্ত থাকা যায়। করোনাভাইরাস এর দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার বিষয়টি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাই।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।