তনুর জন্মদিনে আমার কাটানো কিছু মুহূর্ত || ১০% বেনিফিশিয়ারি shy-fox এর জন্য

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)
" আজ বুধবার-২২শে অগ্রহায়ণ-১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ০৭, ডিসেম্বর - ২০২২ খ্রিস্টাব্দ "

মার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।

Picsart_22-12-06_18-25-23-180.jpg

আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে । আজ আমি আমার এক আত্মীয়ের জন্মদিনে কাটানো কিছু সময় শেয়ার করতে চলেছি। আর এই আত্মীয়টি হচ্ছে খুবই ছোট্ট কিউট বেবি, আর সেই বেবি সম্পর্কে আমার ভাগ্নি হয়। তার নাম হচ্ছে তনু। আর এই তনু হচ্ছে, আমার অর্ধাঙ্গিনীর কলিগের মেয়ে। তারা একই স্কুলে চাকরি করার সুবাদে সম্পর্কটা এতটাই গভীর হয়ে গিয়েছে, যে কেউ দেখলে মনে করবে এরা বুঝি একই পরিবারের সদস্য। আর সেই সূত্রে আমিও তাদের পরিবারের একজন হয়ে উঠেছি। তাই তনুর জন্মদিনে আমাদেরকে দাওয়াত করেছিল। এদের কোন ইচ্ছে ছিল না জন্মদিনটি করার। হুট করে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে কেক কেটে অনুষ্ঠানটি পালন করল। আর সেই অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পেরে আমাদের কাছেও ভীষণ ভালো লেগেছিল। আর সেই ভালো লাগার মুহূর্তটুকু আজ আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।

IMG_20221206_180752.jpg

IMG_20221206_180843.jpg

এই হচ্ছে ক্ষুদে সদস্যবাহিনী, যারা কিনা এই জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি কেক কেটে পালন করার জন্য অধীর আগ্রহে দাঁড়িয়ে আছে। সেই সাথে আমার ছেলে ও মেয়েও তাদের সাথে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠানে সামিল হচ্ছে। ছবিতে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন, এখানে আমার ছেলে কেক কাটার চাইতে, বিস্কিট খাওয়া নিয়ে বেশি ব্যস্ত রয়েছে। বিস্কিটটি ছিল চকলেট বিস্কিট, তাই আমার ছেলেকে অনেক বাধা দিয়েও বিস্কিট খাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারিনি। তাই তাকে বিস্কিট খাওয়া অবস্থাতেই দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে হয়েছে। অবশেষে কেক কাটার মুহূর্তটি এসেই গেল, তবু আমার ছেলে বিস্কিট খাওয়া থামালো না। কি আর করার বিস্কিট খাওয়া অবস্থাতেই, কেক কাটার ছবিটি তুলে ফেললাম।

IMG_20221206_181424.jpg

IMG_20221206_181027.jpg

তনুর জন্মদিনে @mahir4221 কেও দাওয়াত করা হয়েছিল। আর তাই আমরা সকলে মিলে দাওয়াতে সামিল হয়েছিলাম। এখানে আমার মেয়ে, আমার অর্ধাঙ্গিনী ও @mahir4221 দাঁড়িয়ে একটি ছবি তুলেছিল। আর সেই ছবিটি আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি। আর পরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, মাঝখানে যে ভদ্রলোক বসে আছে, ইনিই হচ্ছেন আমি। আমার দুই পাশে আমার মেয়ে ও @mahir4221 আর কোলে বসে আছে আমার দুষ্টু মিষ্টি ছেলে।

IMG_20221206_181126.jpg

IMG_20221206_180710.jpg

জন্মদিনের অনুষ্ঠান মানে আনন্দ ফুর্তি করা। আগত অতিথিদের সাথে বিভিন্ন ধরনের গল্প গুজবে মেতে থাকা। সাউন্ড বক্সে জোরে গান শোনা, আরো কতই না কিছু। এরই মধ্যে চলে ফটোগ্রাফির পালা। আর তাইতো স্মৃতিটা কে মধুর করে তোলার জন্য সকলে মিলে ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

IMG_20221206_181228.jpg

IMG_20221206_181318.jpg

পুরো অনুষ্ঠান শেষের দিকে খাওয়া দাওয়ার পর্ব চলে এলো। এবার পেট পুরে খাওয়া হবে। খাওয়ার আয়োজন ছিল, পটল ভাজা, ডিম, মুরগির মাংস, সেই সাথে আরো একটি আইটেম ছিল যা আমার বাংলা ব্লগের নিয়মাবলির বাইরে হওয়ার কারণে সেই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করিনি। এই ছিল আমাদের তনুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানমালা। আর এই অনুষ্ঠানে কাটানো সময় টুকু সত্যিই আমাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছিল। আর সেই ভালোলাগার সময় টুকু আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিলাম।

আশা করি তনুর জন্মদিনে আমার কাটানো কিছু মুহূর্তের পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkPKDYqZPTyz3HQnPBAZYA84k8k89ixkhuUsFjZkgWkC1gjU36M1oU8J7FbJUoPMtjB5EHLD1usXZox8d6boJGJdTa7jANjx37k.png
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovfEfMUsxphK2C94MUmPesRzxucV6L5C5WztC1e4L1hqcx2mH3BcV9oEFqiwTsErcMQNvVa4puc9hxr4N1FcnerVs.gif

3q52Dkr5nBe3kDiHrk4F3qdzX6E5VuVcCcF7TDQDco37AUsMDxK7aJ1uasvrAaBSP6D1NgNuBSX2m.gif

3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeSsa63mzHQexuvWRDgxAQmHZjMKhFaYGe2ubQmiC33SnsVy3TGA7BbZJiqfXWxLCKhiShcGVU.png

Picsart_22-12-06_06-32-35-909.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আগে থেকে প্ল্যান না করলেও দেখছি বেশ ভালোই আয়োজন করা হয়েছে। আমার কাছে ছোটদের জন্মদিন উদযাপন করতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনাদের পরিবারের সবাই দেখছি এসেছে। আবার দেখছি মাহির ভাইয়াকেও দাওয়াত দিয়েছে, উনাকেও দেখতে পেলাম। আসলে একটু দূরের সম্পর্ক হলেও চলাফেরা করতে করতে বেশ কাছের মানুষ হয়ে ওঠে। এইজন্য তনুর জন্মদিনে আপনারা ভীষণ ভালই আনন্দ করে কাটিয়েছেন। মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।

মাহির সম্পর্কে আমার ভাগিনা হয়, আর তারাও তাকে ভাগিনা হিসেবে খুবই স্নেহ করে, এজন্যই দাওয়াত করেছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

প্রথমে জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই শুভ জন্মদিন।

সবাইকে নিয়ে খুব সুন্দর জন্মদিনের মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে এই আনন্দঘন মুহূর্ত সত্যি কখনো ভুলার মত নয়। আপনি ঠিকই বলেছেন ছোটরা কেক কাটার জন্য অধিক আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুনতেছে। কেক কাটা সাথে সাথে তাদের আনন্দ উৎসব কয়েক গুণে বেড়ে যায়। জন্মদিনের এত চমৎকার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

ছোটদের বোধ হয় জন্মদিনের খাবারের চেয়ে কেক কাটার আনন্দটাই অনেক বেশি উপভোগ করে। আর তাইতো তারা অধীর আগ্রহ নিয়ে কেক কাটার জন্য অপেক্ষা করে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

জীবন চলার পথে মাঝে মাঝে এমন কিছু মানুষের সঙ্গে দেখা হয় আসলে তাদের সঙ্গে দেখা হয়ে মনে হয় যে এরা যেন খুব আপন। এরা এতটাই কাছে চলে আসে যে এদের ছাড়া কোন কিছু তখন আর ভাবতে মন চায় না কোন কাজ করতে গেলে তাদের সাথে নিয়ে সেই কাজ করতে মন চায়। আপনাদের সঙ্গে তাদের সম্পর্কটা দেখে বোঝা যাচ্ছে এ সম্পর্কটা অনেক বেশি গভীর। যাইহোক ছোট বেবির জন্মদিনে খুবই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।

ঠিক বলেছেন ভাই, সম্পর্কটা এতটাই গভীর হয়েছে, আমাদের বাসায় কিংবা তাদের বাসায় কোন আয়োজন হলেই আমরা সবাই একসাথে আনন্দ উপভোগ করি। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।