ফরম্যাট ফটোগ্রাফী :- রেনডম ফটোগ্রাফি

in hive-129948 •  14 hours ago 

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। আজকে আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসি কেমন হয়েছে।

IMG-20250223-WA0001.jpg

হ্যাঁ বন্ধুরা রেনডম ফটোগ্রাফির মধ্যে আজ কয়েকটি ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে এলাম। আসলে ফটোগ্রাফি করতে করতে আমার এতটাই নেশা হয়েছে যে, যা কিছুই দেখি যাই ভালো লাগে সবকিছুর ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছা করে। আর এর নেশায় যেন এখন শুধু ঘুরে বেড়াতে মন চায়। মনে হয় কোথাও ঘুরতে যাই। আর সেখানে গিয়ে সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়ে আসি। আর এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে যেমন অনেক অদেখা কিছু দেখতে পাওয়া যায় তেমনি অনেক কিছু চেনা হয়। ও নামও জানা যায়। তবে এবার যশোরে আসার পর অনেক কিছু দেখলাম। মাঝে মাঝে এভাবে গ্রামে আসা দরকার। আমরা যারা শহরে থাকি তারা অনেক ব্যস্ততার জন্য সময় করে উঠতে পারি না।আর আমাদের বেশী যশোরে আসার হয়ে ওঠে না। যাইহোক আজ যশোর থেকে যা ফটোগ্রাফি করেছি তার থেকে কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। আজ আমরা ঢাকায় ফিরে যাচ্ছি।তাই বাসে বসে ফটোগ্রাফি পোস্ট লিখতে বসলাম।

📸 ফঞ্জটোগ্রাফি- ১:

প্রথমে যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে পেঁয়াজ কলি ফুল। পেঁয়াজ কলি আমরা সবাই খেতে অনেক পছন্দ করি। আর এই পেঁয়াজ কলি শীত আসলেই পাওয়া যায়। আর আমরা এই সবজিটির জন্য অপেক্ষা করি কখন এই পেঁয়াজ কলি খেতে পারবো। আমি আমার খালাতো ভাইয়ের মেয়েকে নিয়ে যখন ভাইয়া দের ধানের ক্ষেত দেখতে গিয়েছিলাম তখন পেঁয়াজ কলির মাঝে এই ফুটন্ত পেঁয়াজ ফুল দেখতে পেয়ে ভিশন ভালো লাগলো। আসলে সুন্দর কোন কিছু প্রথম দেখলে তার অনুভূতিই অন্যরকম লাগে। কোন সবজি পছন্দ করলে তার ফুল যদি চোখের সামনে দেখতে পাওয়া যায়। তাহলে নিজের কাছেও অনেক ভালো লাগে।

1000030591.jpg

📸 ফটোগ্রাফি- ২:

দ্বিতীয় যেই ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হলো একটি সবজি ফুলের ফটোগ্রাফি। যশোরে যখন স্কুল মাঠে গিয়েছিলাম তখন দেখতে পেলাম শুকনো লাউ গাছের মধ্যে লাউ ফুলটি ধরে রয়েছে আর ফুলের উপরে সাদা মাকড়সার বাসা বাসার মত সমস্ত ফুল জুড়ে জালি বেধেছে দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো এমন সুন্দর একটি দৃশ্য ফটোগ্রাফি না করে থাকতে পারলাম না। তাই সাথে সাথে নিজের মোবাইলে ক্যাপচার করে একটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে। আসলে এই সৌন্দর্যগুলো দেখতে হলে আমাদের মাঝে মাঝে গ্রামে ঘুরতে যাওয়া প্রয়োজন।

1000030592.jpg

📸 ফটোগ্রাফি- ৩:

আপনারা এবার তৃতীয় যেই ফুলের ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন এই ফটোগ্রাফিটি যশোর থেকে তোলা যশোরে প্রকৃতির মাঝে যখনই হাঁটতে গিয়েছিলাম তখনই যা চোখে পড়েছে তাই ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। এই ফুলটিও কি গাছের মধ্যে ধরেছিল খেয়াল পরছে না। হয়তো লেবু গাছের ফুল হতে পারে এটি। আসলে যখনই যা চোখে পড়েছে যাই ভালো লেগেছে তাই ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। আর যশোরে দেখতে পেলাম চারিদিকে অনেক গাছ গাছড়া লাগানো। আর একই কাজ অনেক গুলো লাগানো রয়েছে। গাছ ফুল আর প্রকৃতির ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাই এতই ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি যে একই গাছ বারবার যেখানে দেখেছি যে রূপে দেখেছি সেই ভাবেই ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি।

1000030594.jpg

📸 ফটোগ্রাফি- ৪:

এবার আপনারা যে ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন এই গাছটি আমাদের সবারই পরিচিত। এটি হলো পুঁইশাকের বীজ। যশোরে এগুলোকে বলে মিচুরি। যেখানে গিয়েছি সেখানেই দেখতে পেয়েছি বৈশাখ গাছ লাগানো আর তার মধ্যে পুঁই এর বীজ অনেক ধরেছিল। আর এই পুঁইশাকের বীজ আমার অনেক পছন্দ। যশোরেও দেখলাম পুঁইশাকের বীজ খেতে অনেক পছন্দ করে। তারা প্রতিদিন দেখলাম এগুলো আলু দিয়ে ভাজি করে খায়। আর গরম ভাতের সাথে তাদের ক্ষেতের চালের গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক মজা লাগে। আসলে আমরা যারা ঢাকা শহরে বাস করি সবাই এগুলোর সৃজন আসলে হয়তো দুই একবার খেতে পারি কিন্তু যশোরে এগুলোর অভাব নেই তারা প্রতিদিন মন ভরে এগুলো খেতে পারছে। আর আমি পছন্দ করি জেনে যশোর থেকে আসার সময় আমাদের কতগুলো তুলে দিয়েছে।

1000030593.jpg

📸 ফটোগ্রাফি- ৫:

আপনারা এবার যে ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন এগুলো হলো রাজহাঁসের ফটোগ্রাফি এটাও যশোর থেকে তোলা আজ আমার প্রতিটি ফটোগ্রাফি যশোর থেকে তুলেছি যশোরে সবার ঘরে ঘরে দেখেছি রাজহাঁস পালে। আমারও এই পশু পাখিগুলো পালতে ভীষণ ইচ্ছে করে কিন্তু আমাদের শহরের ভাষাগুলোতে তো এরকম সেরকম কোনো প্রসেস নেই। তাই মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় কেন গ্রামে জন্ম হলো না। গ্রামে হয়তো প্রকৃত সুখ খুঁজে পেতাম ঢাকা শহরে চার দেয়ালের মাঝে কোন সুখ নেই। আর যারা গ্রামে থাকে তারা কোন মেহমান জন আসলে তাদের পালিত পশু পাখিগুলো জবা করে আপ্যায়ন করতে পারে কিন্তু আমরা যারা শহরে থাকি তাদের যে কোন কিছু কিনে মেহমানদেরকে আপনার করতে হয়।রাজহাঁস আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। রাজহাঁসের গোশত দিয়ে ছিটা পিঠা খেতে দারুন লাগে। আমরাও এবার যশোরে রাজহাঁসের গোস্ত দিয়ে ছিটা পিঠা খেয়েছি।

1000030596.jpg

📸 ফটোগ্রাফি- ৬:

এবার যে ফটোগ্রাফেজ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি, এটি হল আমাদের বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার এক ঐতিহ্য মজার খাবার। সেই ছোটবেলায় খাবারগুলো অনেক দেখেছি আর কিনে খেয়েছি এখন এগুলো বলতে গেলে হারিয়ে গিয়েছে তাই যশোরে যখন এ শন পাপড়ি দেখতে পেলাম। তখন ভীষণ ভালো লাগছিল। সাথে সাথে কিনে নিয়ে এলাম ঢাকায় আনার জন্য আর এত পুরনো ঐতিহ্যগুলো ভালোলাগা জিনিসগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব না তা কি কখনো হয় আমার সবকিছু ভালোলাগা সবার মাঝে শেয়ার করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি তাই তাড়াতাড়ি মোবাইল বের করে একটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম আবার অনেক সময় দেখা গিয়েছে অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করতে আমি ভুলে গিয়েছি যার জন্য এখনো আমার আফসোস হচ্ছে।

1000030602.jpg

📸 ফটোগ্রাফি- ৭:

এখন যে ফটোগ্রাফি তে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এটিও হলো যশোর থেকে তোলা আবার ফটোগ্রাফি আসলে কোনটা রেখে কোনটা ফটোগ্রাফি করব ভাবতে পারছিলাম না মনে হচ্ছিল যেন দশ বারোটা মোবাইল নিয়ে গেলে হয়তো ভালো হতো যেটা দেখছিলাম সেটাই ইচ্ছা হচ্ছিল ফটোগ্রাফি করে নিয়ে আসি। কোন কিছুই বাদ দিতে ইচ্ছে করছিল না বিশেষ করে এখানে যেহেতু কাজ করছি তাই মনে হচ্ছিল যা পারি তাই ফটোগ্রাফি করব। আমরা যখন যশোরে গটখালি বেড়াতে গিয়েছিলাম তখন অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম আর এর মধ্যে এটি হলো একটি যশোর গডখালীতে রাস্তার মধ্যে দেখলাম অনেক কিছু বিক্রি করছে আর চুলের কাঁটা গুলো দেখে আবার ভালো লাগলো তাই আমার খালাতো ভাবিদের কিনে দিলাম আর আমিও একটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

1000030603.jpg

device : vivo y 202s

লোকেশন

আজ তাহলে এ পর্যন্ত আমার ফটোগ্রাফি করে শেষ করলাম। আশা করি আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সকলের কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আগামীতে আবার নতুন করে চলে আসবো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন।

আমার পরিচিতি

আমি মাহফুজা আক্তার নীলা । আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অরেনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুনি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।

❤️❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️❤️

image.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

IMG-20250216-WA0001.jpg

অনেকদিন পর শন পাপড়ি দেখলাম। এটা খেতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। যাই হোক আজকের ফটোগ্রাফি পোস্টটি একেবারে ভিন্ন আঙ্গিকে শেয়ার করেছেন। বর্তমান পেঁয়াজের ফুল অহরহ দেখা যাচ্ছে। সেই সাথে যশোর থেকে সংগ্রহ করা ফুলের ফটো টিও দারুন হয়েছে। আপনার পোষ্টের প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা একেবারেই মনোমুগ্ধকর হয়েছে আপু।

ধন্যবাদ আপনার ‍সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আপু আপনি খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। এরকম ফটোগ্রাফি গুলো আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। এক কথায় কিন্তু চমৎকার ছিল আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি।

সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো সব সময়ই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। পেঁয়াজের ফুলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।

আপনার তোলা ফটোগ্রাফি এককথায় অসাধারণ হয়েছে।ব বিশেষ করে দুইটি রাজহাঁসের ফটোগ্রাফিও পেঁয়াজের ফুলের ফটোগ্রাফিটি যেন প্রকৃতির এক অনন্য সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছে। এমন দৃষ্টিনন্দন ফটোগ্রাফি সত্যিই চোখ ও মন দুটোই প্রশান্তি দেয়। ধন্যবাদ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।

আপনার ফটোগ্রাফি সত্যিই এক কথায় অসাধারণ।বিশেষ করে রাজহাঁসের ছবি এবং পেঁয়াজের ফুলের দৃশ্য প্রকৃতির সৌন্দর্য এক অন্যরকমভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। এই ধরনের ছবি শুধু চোখই নয়, মনকেও প্রশান্তি দেয়। আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ও ক্যাপচার করার ক্ষমতা সত্যিই প্রশংসনীয়। ধন্যবাদ, এত সুন্দর ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

আজ আপনি আমাদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের কতগুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে যে ফটোগ্রাফি গুলোর এডিটিং একটু বেশি ভালো হলে আরো ছবিগুলো দেখতে ভালো লাগতো। অর্থাৎ প্রত্যেকটি ছবি অনেকটা হলদে টাইপের হয়ে গেছে। অবশেষে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।