বিশ্ব প্রেমিক খালেক চাচার বিয়ের বিশ্ব কাহিনী

in hive-129948 •  last year 

আস্সালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? দোয়া করি যে যেইভাবে আছেন ভালো থাকেন ও সুস্থ থাকেন। আমি কিন্তু মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি। আজ আবারও বসে গেলাম একটি গল্প লিখতে। আজ আমি একটি বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে একটি গল্প লেখা শুরু করলাম। জানিনা গল্পটি আপনাদের সবার কাছে কেমন লাগবে। তবে গল্পটি বেশি দূর নেব না খুব ছোট করেই গল্পটিরি সমাপ্তি করে দেব।গল্পটি হলো বিশ্ব প্রেমিক খালেক চাচার বিয়ের বিশ্বকাহিনী।তাহলে চলুন শুরু করা যাক বিশ্ব প্রেমিক খালেক চাচার বিশ্ব বিয়ের গল্প।

love-4824378_1280.png

source

আমরা ছিলাম সরকারি কোয়াটারে। সেখানে বেশ কয়েকটা পরিবার মিলে বসবাস করতাম।তার মধ্যে খালেক চাচারাও ছিল একটি পরিবার।খালেক চাচা আমার বাবার মত একজন সককারি সার্ভিস হোল্ডার ছিল। আর সেই সুবাদে সেও এই কোয়াটারের বাসিন্দা ছিল। তার বয়স হবে ৬০ বছর। সে ছিল একজন বিশ্ব প্রেমিক চাচা। শুধু বিয়ে করাই ছিল তার নেশা। ছোট ছোট মেয়ে দেখলেই তার ইচ্ছে জাগতো বিয়ে করার।

চাচার পরিবারে ছিল ২ ছেলে ও ৪ মেয়ে। ছেলে-মেয়েরা ছিল বেশ বড়। দু মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। আর ছেলে দুটিও সরকারি চাকুরি করত। কিন্তু সে শুধু বিশ্ব প্রেমিকই ছিল না। সে একজন অত্যাচারিত মানুষও ছিল। কারন তার প্রথম স্ত্রীর প্রতি সে অনেক অত্যাচার করত। তার প্রথম স্ত্রী ছিল একজন সহজ সরল ভালো মানুষ। কিন্তু চাচা যেখানে যেত বা কারো জন্য মেয়ে দেখতে গেলেও ঐখানে তাদের যদি পছন্দ না হতো তাহলে সে বিয়ে করে ফেলত। আর এই ভাবেই একটি করে বিয়ে করে নিয়ে আসতো।

কিন্তু চাচার সেই স্ত্রীরা টিকে থাকতে পারতো না। কিছুদিন যেতে না যেতেই তারা চলে যেত। না তারা চাচার অত্যাচারে যেত না। তারা চলে যেত চাচার ছেলে-মেয়েদের জন্য। কারন খালেক চাচা একে একে বিয়ে করে আনবে এটাতো মেনে নেয়া যায় না। আর তার সন্তানরা মেনেও নিতে চাইতেন না। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ক দিন যেতে না যেতেই খালেক কাকা আবার নতুন করে বিয়ে করে বউ নিয়ে আসতো

এদিকে খালেক চাচা বুঝতে পারে যে তার সন্তানদের জন্য তার নতুন বিয়ে করা বউ গুলো টিকে থাকতে পারে না। তাই খালেক চাচা তার সন্তানদের কে দূর দূরান্তে চাকরি দিয়ে বাড়ির বাহিরে বের করে দেয়্। আর মেয়েদের কে বিয়ে দিয়ে দেয়। তবে খালেক চাচার প্রথম স্ত্রী রয়ে যায় তার সাথেই তার অত্যাচার সহ্য করে। খালেক চাচা এই বয়সেও নতুন বউ নিয়ে বেশ আনন্দে দিন পার করতে থাকে। কিন্তু প্রথম স্ত্রীর দিকে তার কোন আগ্রহ বা খেয়াল নেই। তবে এই নিয়ে প্রথম স্ত্রীর কোন অভিযোগও নেই। (চলবে)

কেমন হলো আমার এই বাস্তব বিশ্ব প্রেমিক খালেক চাচার বিয়ের বিশ্ব কাহিনী। লেখার চেষ্টা করেছি। তবে ভালো মন্দ আশা করি আপনাদের সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে জানতে পারবো।পরের পর্বটি পড়ার জন্য সবাই কে আমন্ত্রন জানিয়ে আজ এখানেই বিদায় নিলাম। আল্লাহ্ হাফেজ।

❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আপনার খালেক চাচা তো বেশ অত্যচারি ও পরলোভী প্রকৃতির লোক।আসলে সমাজে এমন লোক অহরহই আছে।আপনার ওই চাচির জন্য ও তার ছেলে মেয়েদের জন্য খারাপ লাগছে। আসলে এমন মানুষেরা না পারে নিজে ভালো থাকতে না পারে পরিবারের সবাইকে ভালো রাখতে।সমাজের একশ্রেণির কিট এরা।ধন্যবাদ পরবর্তী গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।

ঠিক বলেছেন আপু। এরা হচ্ছে সমাজের একটি ভাইরাস। আমারও তার পরিবারের লোকদের জন্য খুব খারাপ লাগতো। বিশেষ করে আন্টির জন্য বেশী খারাপ লাগতো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

কি ভয়ংকর কথা। পাত্রী দেখতে গিয়ে পাত্রপক্ষের পাত্র পছন্দ না হলে নিজেই বিয়ে করে নিয়ে চলে আসে। মেয়ে পক্ষই বা কেমন এমন বয়স্ক লোকের সঙ্গে তাদের মেয়েকে বিয়ে দেয়। আসলে কিছু কিছু মহিলারা সন্তানদের কথা চিন্তা করে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করে সারা জীবন পার করে দেয়। খালেক চাচার প্রথম স্ত্রীর অবস্থা সেরকম হয়েছে। যাই হোক আপু পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।

হ্যাঁ আপু পরে তো আরো পড়লে অবাক হয়ে যাবেন তার কাহিনী। তবে আন্টির জীবন শেষে অনেক কষ্টের গিয়েছিল। ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দরভাবে মন্তব্যটি করেছেন আমার বেশ ভালো লাগলো। এইভাবে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকবেন আশা করি।

ভেরিফাইড হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনাকে অবশ্যই এবিবি স্কুল কে পাঁচ পারসেন্ট বেনিফিশিয়ারি দিতে হবে। এটা না হলে আমরা সেই পোস্ট গুলো কিউরেশনের জন্য পাঠাই না।

জি ভাইয়া। আর হবে না।