রেসিপি পোস্ট- পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার রেসিপি

in hive-129948 •  3 days ago 

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। আজকে আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার রেসিপির পোস্ট দেখে আসি কেমন হয়েছে।

InFrame_1741499980400.jpg

InFrame_1741500554849.jpg

InFrame_1741500024689.jpg

আজও আমার রেসিপি পোস্ট থেকে আরো একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম। আসলে রেসিপি পোস্টগুলো আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। আমরা প্রতিদিন আমাদের খাবার আইটেমের মধ্যে অনেক রকমের রেসিপি রান্না করে থাকি। আর প্রতিদিন ভাবি কি রান্না করবো? কি রান্না করলে ভালো লাগবে। আমরা প্রতিদিন এই এ পরিবারের এই রেসিপি পোস্টে বিভিন্ন মজাদার ও ইউনিক রেসিপি গুলো দেখতে পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় আমরা অনেক রেসিপি করে খেলেও সেগুলো অনেকদিন বাড়িতে রেসিপি করা হয় না। তাই এখানের পোস্টের মাধ্যমে দেখে সেই রেসিপিটা আবার বাসায় রান্না করে খেতে পারি। আর রোজা রমজানের দিন যত মজার মজার রান্না করা হোক না কেন খাওয়ার যেন রুচি থাকে না। আজ ভাবছিলাম ফ্রিজে ছোট মুরগি আছে, তাই মুরগি দিয়ে পেঁপে বিয়ে দিয়ে রান্না করব। সব সময় তো আলু দিয়ে খাওয়া হয়। তবে পেঁপে দিয়ে রান্না করলেও মুরগির গোস্ত খেতে অনেক স্বাদ লাগে। তাহলে চলুন দেখে আসি আজ আমার মুরগির গোস্ত দিয়ে পেঁপে দিয়ে স্বাদের রেসিপিটি

প্রয়োজনীয় উপকরণ


InFrame_1741507035665.jpg

উপকরণপরিমাণ
মুরগি২টা
পেঁপে১ কেজি
পেঁয়াজ কুচিপরিমাণ মতো
শুকনা মরিচ গুড়াপরিমাণ মতো
হলুদের গুঁড়াপরিমাণ মতো
আদা রসুন বাটাপরিমাণ মতো
দারচিনিপরিমাণ মতো
এলাচিপরিমাণ মতো
তেজপাতাপরিমাণ মতো
লবঙ্গপরিমাণ মতো
লবনপরিমাণমতো
তেলপরিমাণমতো

রান্নার বিবরণ :

ধাপ - ১ :

প্রথমে পেঁপে গুলো ধুয়ে সিদ্ধ দিয়ে নিলাম। ছোট মুরগির সাথে কাঁচা পেঁপে সহজে সিদ্ধ হবে না। আর মুরগির গোস্তটাও সিদ্ধ হয়ে গলে যাবে।তাই প্রথমে পেঁপে টাকে সিদ্ধ করে নিলাম।

InFrame_1741439438522.jpg

ধাপ - ২ :

এরপর চুলায় প্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিলাম।

InFrame_1741439520402.jpg

ধাপ ৩ :

এরপর পিয়াজ গুলো যখন একটু লাল হয়ে আসলো তখন তার মধ্যে এক এক করে হলুদ গুঁড়া মরিচ গুঁড়া আদা রসুন বাটা তেজপাতা দারচিনি এলাচ লবঙ্গ গোলমরিচ ও লবণ দিয়ে দিলাম।

InFrame_1741439672279.jpg

ধাপ - ৪ :

এবার মসলাগুলোর মধ্যে একটু পানি দিয়ে মসলাগুলো ভালোমতো কষিয়ে নিলাম।

InFrame_1741439704705.jpg

ধাপ - ৫ :

এবার কষিয়ে নিয়া মসলা গুলোর মধ্যে মুরগির গোস্তগুলো দিয়ে মসলার সাথে মুরগির গোস্তগুলো নেরে দিলাম।

InFrame_1741439754266.jpg

ধাপ - ৬ :

এরপর রেসিপির প্যান্টি ঢেকে দিয়ে মুরগির গোস্ত গুলো কিছুক্ষণ পর পর নেড়ে চেরে গোশতগুলো কষিয়ে নিলাম।

InFrame_1741439805951.jpg

ধাপ - ৭ :

তারপর কষিয়ে নেয়া মুরগির গোস্তগুলো মধ্যে সিদ্ধ করে রাখা পেঁপে গুলো দিয়ে দিলাম।

InFrame_1741439847163.jpg

ধাপ - ৮ :

এরপর পেঁপে ও মুরগির গোস্তের তরকারির মধ্যে পরিমাণমতো পানি দিয়ে আবারো ঢেকে দিলাম।

InFrame_1741439904360.jpg

ধাপ - ৯ :

এভাবে অনেকক্ষণ চুলায় জালে রেখে ঝোল কমে না আসা পর্যন্ত তরকারিটি রান্না করতে থাকলাম।

InFrame_1741439946470.jpg

শেষ - ধাপ

এরপর যখন দেখলাম যে পানিগুলো শুকিয়ে এসেছে এবং তরকারিটা সম্পূর্ণ হয়ে গেছে তখন পরিবেশনের জন্য চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।

InFrame_1741440002510.jpg

ফাইনাল আউটপুট

InFrame_1741500000729.jpg

বন্ধুরা কেমন হলো আমার আজকের রেসিপিটি? আমি কিন্তু বেশ মজা করে খেয়েছি। আশা করি আপনার আমার মত এমন করে রান্না করে বাসা খেয়ে দেখবেন। আজান নয় সবাই ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

আমার পরিচিতি

আমি মাহফুজা আক্তার নীলা । আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অরেনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুনি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।

❤️❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️❤️

1000028235.png

image.png

1000028233.gif

1000028234.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করলে অনেক বেশি টেস্টি হয় সেটা শুনেছি। তবে নিজে কখনো এভাবে মুরগির মাংস রান্না করে ট্রাই করে দেখিনি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। মুরগির মাংস তো আমি অনেক পছন্দ করি। দেখেই লোভ লেগে গেল ভাইয়া। লোভনীয় রান্নাটির সম্পূর্ণ প্রসেস আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

image.png

এ সময় এটা কি যে দেখালেন। দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে আমার। মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলে কে পারে লোভ সামলাতে। বিশেষ করে আমি তো একেবারেই পারি না। আর যদি নিজের পছন্দের রেসিপিটা হয় তাহলে তো আরো লোভ লাগে। রেসিপিটা দেখেই তো বুঝতে পারছি কতটা মজাদার হয়েছে।

ধন্যবাদ ভাইয়া আপানার মন্তব্যের জন্য।

আমার ভীষণ পছন্দের একটা রেসিপি এটা। আমিও প্রায় অনেকবার এই রেসিপিটা তৈরি করেছিলাম। তবে আমি মাংসের সাথে একসাথে পেঁপে কষিয়ে তারপর রান্না করে থাকি। যেহেতু ছোট মুরগি দিয়ে রান্না করেছেন তাই আগে সিদ্ধ করে নিয়েছেন হিসেবে বেশ ভালো হয়েছে। খুব সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। আর এটা ঠিক বলেছেন, রমজান মাসে যত মজার তরকারি হোক না কেন খাওয়ার রুচি থাকে না।

ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য্।

আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। আসলে আপু রমজানে খাবার কোন রুচি থাকে না। আমি ও আজ মাংস রান্না করেছি। তবে বাচ্চারা মাংস ছাড়া খেতে চায় না।তবে কখনো পেঁপে দিয়ে খাওয়া হয় না। আপনার রেসিপি নিশ্চয় অনেক মজার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনার রেসিপিটি দেখে আমারও রান্না করার ইচ্ছা হচ্ছে! মাংসের সাথে পেঁপে কষানোর আইডিয়াটা খুবই ইউনিক। আমি সাধারণত আলু দিয়ে রান্না করি, কিন্তু এবার আপনার মতো পেঁপে দিয়ে ট্রাই করব। ছোট মুরগি সিদ্ধ করে নেওয়ার টিপসটাও দারুণ, এতে মাংস নরম হয় এবং রান্নার সময় কম লাগে। রমজান মাসে সত্যিই রুচি কমে যায়, কিন্তু আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এবার ইফতারে কিছু স্পেশাল বানানো যাবে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য!

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আসলে মুরগির মাংস আমার খুবই প্রিয়। আপনি বেশ দারুন ভাবে রেসিপি টি তৈরি সম্পন্ন করেছেন।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংস আমি নিজেও বেশ কয়েকবার তৈরি করেছিলাম। এভাবে মুরগির মাংস রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার এই রেসিপিটা দেখে আমার তো অনেক লোভ লাগলো। দেখেই বুঝতে পারছি কতটা মজা করে খেয়েছিলেন। মুরগির মাংস খেতে ছোট বড় সবাই অনেক বেশি ভালোবাসে।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

আলু দিয়ে মাংস রান্না করেছি তবে পেঁপে দিয়ে কখনো মাংস রান্না করা হয়নি।শুনেছি বেশ ভালোই হয় খেতে।আপনার রেসিপিটি দেখে তো ভালোই মনে হচ্ছে। লোভনীয় লাগছে রেসিপিটি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী দুর্দান্ত ভাবে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার রেসিপি দারুন হয়েছে। দেখেই মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

লাউ দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করে অনেক খাওয়া হয়েছে,কিন্তু পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি আমার। তবে এই রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগবে। এই রেসিপিটা একবার ট্রাই করতে হবে। এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আজকে আপনি খুব সুন্দর করে পেঁপে এবং মুরগির মাংস দিয়ে মজার রেসিপি করেছেন। তবে মুরগির মাংস খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনি এটি ঠিক বলেছেন রমজানের সময় মজার রেসিপি করলে খেতে মন চায় না। তবে আপনার এই রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। মজার রেসিপিটি সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

ধন্যবাদ আপনার ‍সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখেই মজাদার মনে হচ্ছে, তাই খেতে ইচ্ছা করলে। তবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংসের রেসিপি আমার অনেক পছন্দের আপু। আমিও মাঝেমধ্যে বাসায় রান্না করে ফেলি। আপনার তৈরি পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংসের রেসিপিটি লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপু পেঁপে দিয়ে মুরগির মাংসের মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।

লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপু। রেসিপিটি দেখতে কিন্তু বেশ দারুন লাগছে। আমার মনে হয় বেশ মজা করে খেয়েছেন। ধন্যবাদ এমন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।