লাইফ স্টাইল- প্রতিযোগিতার জন্য ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে কিছু খাওয়া দাওয়া

in hive-129948 •  20 hours ago 

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। আজকে আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার লাইফ স্টাইল পোস্ট দেখে আসি কেমন হয়েছে।

আমার প্রিয় সহপাঠি ভাইবোনেরা কিছুদিন আগে আমাদের এই কমিউনিটিতে ফুলের প্রতিযোগিতা হয়েছিল। আর সেজন্য আমরা সবাই এই কমিউনিটিতে যারা কাজ করছি কোথাও না কোথাও গিয়েছি বিভিন্ন রকমের মনমুগ্ধকর শীতের ফুলের ফটোগ্রাফি করে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আমরা আমি ও আমার বোন মাকসুদা কাউসার দৌড়ে চলে গিয়েছিলাম ফুলেরএক নার্সারিতে ফটোগ্রাফি করার জন্য। অবশ্য সেই জায়গাটা আমরা চিনতাম না। আমার বোনের হাসবেন্ড মানে আমার ভাইয়া সে আমাদের ওখানে নিয়ে গেছে। ভাইয়া প্রায় সময় আমাদের নিয়ে কোথাও না কোথাও যায়। বিশেষ করে আমরা বেশিরভাগই প্রায় সময় খাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাই। তবে বেশি যাওয়া হয় আমাদের খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে।

image.png

তো সেদিন ভাইয়া বলল যে চলো আমার একটা জায়গা চেনা আছে। সেখানে অনেক অনেক ফুল তোমরা ফুলের ফটোগ্রাফি করে শেষ করতে পারবা না। তারপরে ভালো ভালো খাবারও পাওয়া যায়। আমরা ফটোগ্রাফির পরে সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করব। আর এই কথা শুনে মনে মনে ভাবছিলাম বাহ্ এক কাজে দুই কাজ। দুটোতেই আমার লাভ আপনাদের মাঝে দারুণ কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি ও শেয়ার করতে পারব। সাথে মজার কিছু খাওয়া-দাওয়াও হবে।আমরা যখনই বাইরে যাই কয়েকজন মিলে যাই। কয়েকজন মিলে কোথাও গেলে যেমন ভালো লাগে। ঠিক সেইভাবে সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করলেও অনেক আনন্দ লাগে। আর মজার খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি সময়টুকু অনেক ভালো কেটে যায়। যেটা মন আর শরীরের জন্য অনেক ভালো।

1000027746.jpg

1000027745.jpg

1000027751.jpg

1000027750.jpg

1000027748.jpg

আমরা ফুলের ফটোগ্রাফি করতে করতে মাগরিবের সময় হয়ে গিয়েছিল। তখন ভাইয়া বলল ভাইয়া নামাজ পড়তে যাচ্ছে। আমাদের ফটোগ্রাফি করা শেষ হলে ওখানে একটা মসজিদ আছে সেখানে যেতে। আর সেখানে নাকি অনেক ভালো ভালো খাবার পাওয়া যায়। অনেক মানুষ সেখানে খাওয়ার পাশাপাশি আড্ডা দিতে চলে আসে। আমাদের ফটোগ্রাফি শেষে গেলাম মসজিদের কাছে। গিয়ে দেখি ভাইয়ার নামাজ শেষ চলে এলো। তার পাশেই দু সাইডে রাস্তাতে অনেক খাবারের দোকান। আর দেখছি মানুষজনের অনেক ভিড়। যার যেটা ভালো লাগছে অর্ডার দিচ্ছে খাওয়ার জন্য। আমাদের ভাইয়াও জিজ্ঞেস করল কি খাবো আমরা । আমি বললাম আপনি খাওয়াবেন যা খাওয়াবেন তাই খাব। কিন্তু ভাইয়া এটা মানতে নারাজ। তার কোন মতামত নেই। ভাইয়া সব সময় বলে আমরা যা খাবো ভাইয়া তাই খাবে। তো এই নিয়ে কিছুক্ষণ আমাদের মধ্যে মতামত বিনিময় চলছে। আসলে কোথাও কিছু খেতে গেলে এই সমস্যাগুলো হওয়াই স্বাভাবিক। তো এ বলছে আমি জানিনা ও বলছে আমি জানিনা। কেউ কোন ডিসিশন দিচ্ছে না। তো আমিই দোকানদার মামাকে ডেকে অর্ডার দিয়ে দিলাম আমার পছন্দের মত।

1000027757.jpg

1000027754.jpg

1000027770.jpg

এরপর আমি খাবারের অর্ডার দিলাম গরম গরম লুচি আর শিক কাবাব। আর মামাকে বললাম আমাদের সবকিছু গরম গরম দেয়ার জন্য। এরপর খাবারে অর্ডার দিয়ে অনেকক্ষণ বসে বসে আমরা গল্প করছিলাম, প্ল্যান রেডি করছিলাম কিভাবে ফটোগ্রাফিটা রেডি করা যায়। আমরা গল্প করতে করতে খাবার চলে এলো। খাবার গুলো দেখে সবার অনেক পছন্দ হলো। আর খেয়েও সবার কাছে ভালো লেগেছে। শীতের সন্ধ্যায় এবং গরম গরম মজাদার খাবারগুলো যেন আমাদের সেদিনের সময়টুকু আরো সুন্দর করে তুলেছে। এরপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে চা খেতে গেলাম।আসলে এমন সুন্দর মুহূর্তগুলো চা ছাড়া একদম জমে ওঠেনা। এরপর খাওয়া দাওয়া করতে করতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। এরপর বাসায় যাওয়ার সময় দেখলাম বড় বড় তেলাপিয়া, কুড়াল ও অন্যান্য মাছ ফ্রাই করে বিক্রি করছে। এগুলা আগে দেখিনি তাহলে এগুলো আগে অর্ডার দিয়ে খেতাম। আর রাত হয়ে গিয়েছিল তাই মাছ ফ্রাই খেতে ইচ্ছে করলেও না খেয়ে বাসার জন্য পার্সেল নিয়ে চলে আসলাম

1000027779.jpg

1000027764.jpg

1000027763.jpg

কেমন হয়েছে আজ আমার লাইফ স্টাইল পোস্টটি? আশা করছি আপনাদের সবার কাছে আমার পোস্টটি পড়েও অনেক ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন। আগামীতে আবার নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসবো ইনশাল্লাহ। আল্লাহাফেজ।

❤️❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️❤️

image.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

InFrame_1738608444187.jpg

কোন কাজে সকলে মিলে একসাথে বেরলে খাওয়াটা ম্যান্ডেটরি । আর আপনারা ত খুবই লোভনীয় খাবার খেয়েছেন। আপনি মামাকে খাবার গরম করে দিয়েছেন। খাবার যাই হক গরম খাবার খেতেই ভাল লাগে। ঠান্ডা হয়ে গেলে কোন খাবারেরই স্বাদ পাওয়া যায় না। খুবই ভালো লাগল আপনার আজকের লাইফস্টাইল পোস্ট পড়ে।

ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে আপনাদের ছোটখাটো একটা ট্যুর হয়ে গেল। ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। সন্ধ্যার দিকে এরকম খাবার গুলো বেশ সুস্বাদু লাগে খেতে। অনেকদিন হলো বাইরে এই খাবারগুলো খাওয়া হয়না। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। মাছের ফ্রাই গুলো রেডি করে রাখা হয়েছে। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

এরকম ভাইয়া থাকলে কত সুবিধা আহা।ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে কি মজার মজার খাবার খেয়েছেন আপু। সত্যিই প্রত্যেকটা খাবার খুবই লোভনীয়। বিশেষ করে মাছগুলো ফ্রাই করলে মনে হয় বেশি ভালো লাগতো খেতে। যদিও খেতে পারেন নি কিন্তু বাসার জন্য নিয়েছেন। যাইহোক ভালো লাগলো আপু আপনাদের খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত পড়ে।

আমার কাছে কিন্তু বেশ দারুন লেগেছিল সেদিন। বেশ সুন্দর সময় পার করেছিলাম সেদিন। একদিকে যেমন প্রতিযোগিতার জন্য ফটোগ্রাফি করা হয়েছে , অন্য দিকে আবার বেশ সুন্দর কিছু সময়ও পার করতে পেরেছি। যাই হোক দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।