বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর হতে কিছু ফটোগ্রাফি

in hive-129948 •  9 months ago 

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই? আশা করি এই কমিউনিটির সবাই অনেক ভালো আছেন। চারদিকের যা অবস্থা হয়ে পরেছে এতে করে সবার ভালো ও সুস্থ্য থাকাই যেন মুশকিল হয়ে পরেছে। এই রোজায় আলহামদুলিল্লাহ্ অনেক ঠান্ডার মধ্যে সময় পাড় হয়েছে। কিন্তু সবার পরিবারে অসুস্থ্যতার খবরও শোনা গেছে। আমিও কিন্তু এর ব্যতিক্রম নই। আমিও কিছুটা অসুস্থ্য হয়ে পরেছি। কিন্তু অসুুস্থ্য হলে তো আর চলবে না। নিজের কাজ তো নিজেকেই এগিয়ে নিতে হবে। আর তাই তো আজ আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আশা করবো আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আপনারদের কাছে বেশ ভালো লাগবে।

image.png

image.png

image.png

image.png

বেশ কিছুদিন আগে আপু সাথে গিয়েছিলাম বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে। সেখানে যেয়ে বেশ আনন্দও করেছি। কারন এত কাছ হতে বাংলার এত সুন্দর সুন্দর পুরানো স্মৃতি আর ঐতিহ্য দেখে তো আর আনন্দ না করে পারি না। জাদুঘরের প্রতিটি ফ্লোর যেন এক একটি হরেক রকম রঙে সাজানো। কোন টা রেখে কোন টা দেখবো।আর কোনটা রেখে কোনটার ফটোগ্রাফি করবো সেটাই ভেবে পাচিছলাম না। তবে সেদিন বেশ কিছুই ফটোগ্রাফি করেছিলাম।

image.png

সেদিনের ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে ছিল চেনা অচেনা বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য। যে গুলো হয়তো আমরা সচারচর দেখতে পাই না। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাঁকুর হতে শুরু করে বেশ কিছু ভাস্কর্য সেদিন দেখেছিলাম জাদুঘরের গ্যালারীতে। তাই তো ভাবলাম তার কিছুটা আপনাদের জন্য ফটোগ্রাফি করে নিয়ে আসি।

image.png

image.png

সত্যি বলতে জাদুঘরের গ্যালারী রাখা সে সকল ভাস্কর্য দেখে শুধু আমিই ফটোগ্রাফি করিনি। জাদুঘরে ঘুরতে আসা প্রতিটি মানুষই সেদিন ব্যাস্তছিল এমন সুন্দর সুন্দর ভাস্কর্য গুলোর ফটোগ্রাফি করতে। কি দারুন যে লাগছিল। ভাবছিলাম এমন সুন্দর আর নিখুঁত কাজ যে ব্যাক্তি করেছে সে বেশ বড় মাপের শিল্পী তো বটেই। মাটি দিয়ে যে এত সুন্দর করে ভাস্কর্য করা যায় সেটা সেদিন বেশ কাছ হতেই দেখে ছিলাম।

image.png

image.png

বাংলার ঐতিহ্য কে এমন সুন্দর করে ভাস্কর্য আকাঁরে জাদুঘরের গ্যালারী তে যদি না রাকা হতো তা হলে হয়তো হাজার কোটি মানুষের অজানাই থেকে যেত কি করে বাংলার কবি সাহিত্যিক দের কে ভাস্কর্য এর মাধ্যমে প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে তুলা ধরা যায়। কবি গুরু, নজরুল সহ আর ও অনেক কিছুই সঙ্গী করেই এমন ভাস্কর্য তৈরি করে জাতীয় জাদুঘরের গ্যালারী গুলোতে রাখা হয়েছে ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য।।

আর এভাবেই আসতে আসতে শেষ করলাম আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট। চেষ্টা করি আমার পোস্টগুলো আপনাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য। তারপরও আপনাদের মাঝে কোন কিছু পোস্ট করতে পারলেই আমার ভালো লাগে। যদিও সেইরকম আপনাদের মত সুন্দর করে পারি না। তারপরও প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাই ।আগামীতে আরও চেষ্টা করবো। আপনাদের মাঝে সময় দেবার বা ভালো ভালো পোস্ট দেবার । আজ তাহলে এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন। আর সবার জন্য দোয়া করবেন। পাশাপাশি আমার জন্যও।

ফটোগ্রাফির বিবরন
বিষয়ফটোগ্রাফি
ডিভাইসOPP-A16
ফটোগ্রাফার@mahfuzanila
ভৌগলিক অবস্থানঢাকা, বাংলাদেশ

ধন্যবাদ সকলকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

নিশ্চয়ই জাদুঘরে গিয়ে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন আপনি। আর সেখান থেকে অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন আপনি। মূর্তিগুলো জাদুঘরে অনেক সুন্দর ভাবেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আর জাদুঘরে গেলে অনেক কিছুই আমরা দেখতে পাই। আপনি বেশ কয়েক রকমের মূর্তির ফটোগ্রাফি করেছিলেন জাদুঘর থেকে। আর আমাদের মাঝে আজকে সেগুলো শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। জাদুঘর থেকে তোলা সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর এবং সাবলীল মন্তব্যের জন্য।

প্রতিটা ভাস্কর্যের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনি আপনার আপুর সাথে জাতীয় জাদুঘরে দিয়ে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। প্রতিটা ভাস্কর্য খুব সুন্দর ছিল। যদিও আমার জাতীয় জাদুঘরে যাওয়া হয়নি তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে যেয়ে আপনি কিন্তু বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে মাঝে মাঝে একটু এমন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া ভালো। এতে করে বাংলার কৃষ্টি কালচার সম্বন্ধে বেশ কিছু কথা জানা যাবে। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

সব সময় উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর থেকে দারুন দারুন বেশ কিছু মূর্তির ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি আজকে। আর সেগুলো খুব সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করে নিয়েছেন। যেগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। এই ধরনের ফটোগ্রাফি যত দেখি ততই দেখতে ইচ্ছে করে শুধু। বিশেষ করে এরকম ঐতিহ্যবাহী জিনিসগুলো আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। প্রত্যেকটা মূর্তি নিখুঁত হাতের তৈরি, দেখতে অনেক ভালো লাগতেছে মূর্তিগুলোর সব ফটোগ্রাফি।

জাতীয় জাদুঘর থেকে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করে তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে খুব ভালো লেগেছে৷ যখন আপনার একের পর এক ফটোগ্রাফি দেখছিলাম তখন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম এবং সবগুলো ফটোগ্রাফি খুব সুন্দরভাবে এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন এবং খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন৷