শীতের সবজি দিয়ে অতি প্রিয় একটি মজাদার রেসিপি

কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। আজকে আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার রেসিপির পোস্ট দেখে আসি কেমন হয়েছে।

আবারও চলে এলাম আমার রেসিপির ব্লগ থেকে আপনাদের সবার জন্য শীতের সবজি দিয়ে অতি প্রিয় একটি মজাদার রেসিপি নিয়ে। শীত আসলে বাজারে নানা ধরনের সবজি দেখা যায়। আর বাজারে গেলেই বিভিন্ন সবজি দেখে চিন্তা করি কোন সবজি দিয়ে কি ইউনিক বা মজার রেসিপি তৈরি করা যায়। কারণ পরিবারের সবাই যদি নতুন কোন আইটেম পায় তাহলে তাদের খাওয়ার উৎসাহ আরও বেড়ে যায়। আর অনেক মজা আর উৎসাহ নিয়ে খায়। আর আমাদের বাসায় যদি এই রেসিপিটি তৈরি করি তাহলে ভাত একটু বেশিই রান্না করতে হয়। আর সবাই এই রান্নাটি নিয়েও অনেক কাড়াকাড়ি করে। আশা করছি আপনাদের সবার কাছেও আমার এই রেসিপিটি অনেক ভালো লাগবে। তবে চাল তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে গেলে আমার দোষ নেই ভাই হিহিহি।

তাহলে চলুন দেখে আসি,এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লেগেছে। আর আমি পুরো রেসিপি কিভাবে রান্না করলাম। তার পুরো প্রস্তুতি নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

উপকরণ	পরিমাণ
পালংশাক	১ আটি
আলু	২৫০ গ্রাম
বেগুন	হাফ কেজি
সিম	হাফ কেজি
ডালের বড়া	পরিমাণ মতো
পেঁয়াজ কুচি	১ কাপ
রসুন ছেচা	পরিমাণ মতো
কাঁচামরিচ	পরিমাণ মতো
শুকনা মরিচ	পরিমাণ মতো
হলুদের গুঁড়া	পরিমাণ মতো
কালোজিরা	এক চা চামচ
চিনি	এক চা চামচ
লবন	পরিমাণমতো
সরিষার তেল	পরিমাণমতো

রান্নার বিবরণ :

ধাপ - ১ :

প্রথমে চুলায় প্যান বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে নিলাম এরপরে তেল গরম করে নিলাম।

ধাপ - ২ :

এরপর তেল গরম হয়ে এলে তারমধ্যে ডালের বড়ি গুলো দিয়ে ডাল করে ভেজে নিলাম।

ধাপ ৩ :

এবার আবার সেই তেলের মধ্যে পরিমাণ মতো শুকনো মরিচ ও কালোজিরা ফুরুন দিয়ে নিলাম ।

ধাপ - ৪ :

এরপর যখন কালোজিরা ও শুকনো মরিচটা একটু ভেজে আসবে তার মধ্যে কেটে রাখা পরিমাণ মতো থেতলে নিয়া রসুন গুলো দিয়ে রসুনগুলো কালোজিরা ও শুকনো মরিচের সাথে ভেজে নিলাম।

ধাপ - ৫ :

এবার এরমধ্যে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচিগুলো দিয়ে আবার সব একসাথে লাল করে ভেজে নিলাম।

ধাপ - ৬ :

এবার আলুগুলো পেঁয়াজগুলোর সাথে একটু ভেজে নিয়ে তার মধ্যে কেটে রাখা সিম ও বেগুনগুলো দিয়ে দিলাম ।

ধাপ - ৭ :

এবার সবজিগুলো কে পেঁয়াজ রসুন মরিচ ও কালোজিরা গুলোর সাথে ভেজে নিলাম।

ধাপ - ৮ :

এবার সবজিগুলোর মধ্যে কেটে রাখা কাঁচামরিচ হলুদ গুঁড়া ও পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে আবার সবগুলো একসাথে নাড়া দিয়ে দিলাম।

ধাপ - ৯ :

এবার যখন সবজিগুলো একটু সিদ্ধ হয়ে আসবে তখন তার মধ্যে পালং শাকগুলো দিয়ে সবজিগুলোর সাথে একটু সেদ্ধ করে নিলাম এরপর সবজিগুলোর মধ্যে একটু পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে দিলাম সবজিটা আরেকটু স্বাদ বাড়ানোর জন্য ।

ধাপ - ১০ :

এবার আমি যে ডালের বড়ি গুলো বড়িগুলো তেড়ে ভেজে নিয়েছিলাম সেগুলো একটু ভেঙে গুঁড়ো করে নিয়েছিলাম। এখন আধা ভাঙ্গা ডালের বড়া গুলো সবজিগুলোর মধ্যে দিয়ে দিলাম ।

ধাপ - ১১:

এবার সকল উপকরণ একসাথে চুলায় রেখে জাল দিতে থাকলাম ও কিছুক্ষণ পর পর সবজি সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত নাড়া দিতে থাকলাম। আমি এখানে রান্নাটি ঢেকে দেইনি কারণ শাক দেখে রান্না করলে শাকের কালারটা একটু অন্যরকম লাগে সবুজ থাকে না।

ধাপ -১২

এবার যখন দেখলাম রেসিপির সম্পূর্ণ হয়ে গেছে এবং কালারটা সুন্দর আসছে তখন পরিবেশনের জন্য গরম গরম চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।

শেষ-ধাপ -

এবার কতগুলো শুকনা মরিচ ভাজা প্লেটের চারিকিনারে কিনারে সাজিয়েপরিবেশন করলাম।

ফাইনাল আউটপুট

রেসিপিটি তৈরি করার পর কিন্তু খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। আমরা সবাই বেশ মজা করে সেদিন খেয়েছিলাম। এমন স্বাদের রেসিপি মাঝে মাঝে করে খাওয়া দরকার।

বন্ধুরা কেমন হলো আমার আজকের রেসিপিটি? আমি কিন্তু বেশ মজা করে খেয়েছি। আশা করি আপনার আমার মত এমন করে রান্না করে বাসা খেয়ে দেখবেন। আজান নয় সবাই ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।