ভ্রমণ পোস্ট- সুবর্ণগ্রাম ভ্রমণের ১১তম পর্ব

in hive-129948 •  22 hours ago 

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। আজকে আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। অতি সপ্তাহের মত আজও আমি একটি ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার ভ্রমণ পোস্ট দেখে আসি কেমন হয়েছে। আজ আমার ভ্রমণ পোস্টের বিষয় হলো সুবর্ণগ্রাম ঘুরতে যাওয়ার ১১ তম পর্ব।

ভ্রমণ পোস্ট_20250302_192542_0000.png

হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আবার চলে এলাম সুবর্ণগ্রামে ঘুরতে যাওয়ার ১১তম পর্ব নিয়ে। আসলে সুবর্ণগ্রাম এত বড় একটি রিসোর্ট এত সুন্দর একটি জায়গা এই জায়গাটি নিয়ে যদি ১০০ পর্ব শেষ করি তারপরে ভ্রমণ পোস্ট লেখা শেষ হবে না তারপরও আমি আমি ভাবছি আমরা যেহেতু প্রতিদিন কোথাও না কোথাও বেড়াতে যাই আর আমাদের যেহেতু এখানে কাজ করতে হয় তাই আমাদের মোবাইলে অনেক ছবি বা ভিডিও আপলোড করে রাখতে হয় আর এত জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার ছবি আমি ভিডিওগুলো মোবাইলে এত জমা হয়ে যায় যে যত দ্রুত সম্ভব আমাদের এই ছবি আর ভিডিওগুলো কাজে লাগিয়ে এগুলো কাজ শেষ করে নিতে হবে আর এই ভাবনা থেকে আমি আস্তে আস্তে সুবর্ণগ্রামের ভুবন পোষ্টের পর্বগুলো শেষ করতে চলেছি। গত পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম সুবর্ণগ্রামে সাফারি পার্কের পরিদর্শনের পর্বটি এরপর যখন আমাদের সাফারি পার্ক ঘোরা শেষ হয়ে গেল তখন আমাদের একটি একটি করে গাড়ি থেকে সকল দর্শনার্থীদের নামিয়ে দিল তখন দেখতে পেলাম চারিদিকে সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে এসেছে। আর এই অন্ধকারে সুবর্ণগ্রামের চারিপাশ এতটাই সুন্দর লাগছিল যে সেই অনুভূতিটা আপনাদের বুঝানোর জন্য মোবাইলে ক্যাপচার করে নিয়েছি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে।

729.jpg

726.jpg

এরপর আমি আর আপু আস্তে আস্তে সামনের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন ভাইয়ারা ফোন দিল যে তারা নামাজ পড়বে আমাদের ওখানে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেছে। আর এই সময়টুকু আমরা সন্ধ্যার চারিদিকে প্রকৃতির সৌন্দর্য অনুভব করছিলাম আর কিছু ফটোগ্রাফি করছিলাম। সুবর্ণগ্রামের চারিদিকে তাকিয়ে দেখতে পেলাম দুর দুরান্ত থেকে ভেসে আসছে সন্ধ্যার আলোকিত ছোট ছোট লাইটের আলো আর তার সাথে প্রকৃতিটা যেন আরো অপূর্ব সুন্দর লাগছে। এমন সুন্দর প্রকৃতির মাঝে থাকতে পেরে আমারও যেন ভীষণ ভালো লাগছে তাই অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম আর এই সন্ধ্যার লেকের অসম্ভব সৌন্দর্যের এই প্রকৃতি অনুভব করছিলাম। আসলে লেকের পানির সাথে সুন্দর আলোটা যেন নিবিড় ভাবে মিশে গেছে যা একেবারে চোখে পরার মত। এরপর আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সন্ধ্যার সুবর্ণ গ্রামের প্রকৃতি দেখছি আর কিছু ফটোগ্রাফি করে নিচ্ছি।

735.jpg

736.jpg

এভাবে আস্তে আস্তে করে দেখতে পেলাম সন্ধ্যার অন্ধকার বাড়ছে আর তার সাথে সাথে সুবর্ণগ্রামের চারিপাশের লাইট গুলো এক এক করে জ্বলে উঠছে। সাথে সাথে আপনারা হাঁটছিলাম সেখানে সম্পূর্ণ রাস্তা জুড়ে খুব সুন্দর করে লাইট জ্বালানোর সিস্টেম করেছে যা দেখে সত্যিই ভালো লেগেছিল এই ধরনের লাইটের আলো গুলো যেন একটি সুন্দর জায়গার চারিপাশের প্রকৃতিকে আরো সৌন্দর্য করে চলে। রাতের অন্ধকারের মাঝে এই লাইট গুলো সৌন্দর্য সবার নজর কেড়েছে কি সুন্দর করে সম্পূর্ণ রাস্তার দুসাইটে ইটের ছোট্ট ছোট্ট ক্ষোপের মাঝে লাইটের আলো যেন সন্ধ্যার আলোর মাঝে ফুটে উঠেছে।

738.jpg

742.jpg

আসলে কোথাও ঘুরতে গেলে যত তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে চাই হয়ে ওঠে না এই যে দেখেন এখানে সুবর্ণ গ্রামের সন্ধ্যার এত সুন্দর প্রকৃতি রেখে কারো মন চাইবে না চলে যেতে। তাই শুধু আমরা না আমাদের সাথে যারা ছিল তারা অনেকেই এ সন্ধ্যার সৌন্দর্যগুলো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অনুভব করছিল বিশেষ করে লেকের সাইটে সবাই দাঁড়িয়ে রাতের সৌন্দর্য অনুভব করছিল। কিন্তু আমরা অপেক্ষা করেছিলাম কখন ভাইয়েরা আসবে আর আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিব। এরপর অপেক্ষা করতে করতে চলে আসলো আমাদের ভাইয়েরা। তারপর আমরা সুবর্ণগ্রাম থেকে বের হতে চাইলেও থেকে গেলাম আরো কিছুক্ষণ সুবর্ণগ্রামের রাতের প্রকৃতির মাঝে। যদিও দেখছিলাম যে, সুবর্ণগ্রাম বন্ধ করে দেয়ার জন্য কোন কোন স্টাফরা সব গুছিয়ে নিচ্ছিল। আবার কোন কোন জায়গায় দেখে ধারে চা বা কফি বিক্রি করছিল। আর দেখতে পেলাম সুবর্ণ গ্রামের লেকের পাশে এত এত মানুষ কেউ কফি খাচ্ছে কেউ বা চা খাচ্ছে আর সবাই যেন রাতের মাঝে লেকের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বসে আছে।

741.jpg

তবে শুনতে পেলাম সেখানে স্টেপরা বলছিল সুবর্ণগ্রামে নাকি রাতে থাকারও ব্যবস্থা রয়েছে দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক মানুষজন কয়েকদিনের ট্যুরে এই রিসটে ঘুরতে আসে। আর তারা রাতের বেলা বসে বসে এই লেকের সৌন্দর্য দেখে আমরাও বসে বসে সবাই মিলে রাতে সুবর্ণ গ্রামের লেকের সৌন্দর্য দেখছিলাম। এরপর সন্ধ্যা গড়িয়ে যখন একটু রাত হয়ে যাচ্ছিল তখন দেখতে পেলাম বাকি কয়েকটি স্টোল যেগুলো খোলা ছিল সেগুলো যখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তখন বাকি অন্যান্য দর্শনার্থীরা সবাই তাদের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে আর যারা এসব অন্য গ্রামে কয়েকদিনের জন্য ঘুরতে এসেছে তারা সেখানে রয়ে গেছে আর আমরাও রাতে সৌন্দর্যের জোছনার আলো আর সুবর্ণগ্রামের চারিপাশের লাইটের ঝলমল আলো দেখতে দেখতে বাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটতে থাকলাম।

কেমন হয়েছে আজ আমার সুবর্ণ গ্রামের ভবন পোস্টটি আশা করছি আপনাদের সবার কাছে আমার আজকের এই পর্বটিও অনেক ভালো লেগেছে আপনাদের ভাল লাগলেই আমার মনের সার্থকতা বাড়ে। আজ আপনাদের সবার সুস্থতা কামনা করে এখানে বিদায় নিচ্ছি। আবারও যে কোন সময় নতুন কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসব। এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

আমার পরিচিতি

আমি মাহফুজা আক্তার নীলা । আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অরেনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুনি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।

❤️❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️❤️

1000028235.png

1000028233.gif

image.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!