এরপর যেই ফোটোগ্রাফিটি দেখছেন সেটি হলো সাদা পোলাও। আমি একটু সাদা পোলাও খেতে পছন্দ করি এটা আপু জানে। তাই পোলাও আর তার সাথে অন্যান্য মাজাদার আইটেমও রেসিপি করেছে। আপুর হাতের পোলাও আমার অনেক ভালো লাগে । যদিও অতটা খাই না । তারপরও আপু অনেক ভালো রান্না করতে পারে। আর রান্নার সময় এত সুন্দর একটি সুঘ্রান আসছিল মনে করেছি অনেক খেতে পারবো। কিন্তু কি আর করা সবসময় যা হয় তাই হলো। এত সুন্দর খাবার যখন সামনে দিল দেখেই শান্তি । আর রান্নার পর আপু খাবারের ডেকরেশনটা সুন্দর ভাবে পরিবেশন করে নেয়। যা আমি সবসময় পছন্দ করি।

এবার হোল আরও মজাদার আমার পছন্দের একটি রেসিপি। আর সেটি হলো মুরগির রোস্ট ।আমি সব সময় রোস্ট দিয়ে একটু পোলাও খাই। আর আপুর রান্না করা রোস্ট সব সময় অনেক স্বাদ হয়। আপু খুব সুন্দর করে রোস্ট রান্না করে। খাবার সময় অবশ্য রোস্টটি অনেক ভালো লেগেছে ।শুধু খেতে না এর কালারটিও এতটা সুন্দর লাগছিল যে কি আর বলবো। আর ঘ্রান ডেকরেশেনটাও দেখে আমি ফটোগ্রাফি করে নিলাম। ভাবলাম যে আজ এগুলো ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

এবার আরও একটি সবার পছন্দের মজাদার খাবার। আর সেটি হলো ডিমের কোরমা ডিমের কোরমা আমি ছোট বেলায় অনেক পছন্দ করতাম ।এখনও করি। কিন্তু খেতে না দেখতে। আর সবাইকে খাওয়াতে। আমি দেখে ভাবছিলাম যে আপু এত মজার আর সুন্দর রান্না শিখলো কিভাবে? বিশ্বাস করবেন ? যে বিয়ের আগে আমাদের বাসায় এক গ্লাস পানি ঢেলে খেত না। আর আজ সে কি সুন্দর করে রান্না করে আমিতো জাস্ট ওয়াও হয়ে প্রতিটা খাবারের ফটোগ্রাফি করতে লাগলাম।

এরপরও দেখলাম আরও একটি রেসিপি করছে। যেটা আমরা ছোট বড় সবাই অনেক পছন্দ করি। আর সেটি হলো রাইস। প্রায় অনেক গুলোই আইটেম করেছে। আর আমি আবার এত সুন্দর ও ভালো জিনিস দেখলে সাথে সাথে মোবাইলে ক্যাপচার করে রাখতে পছন্দ করি। কখন সেটা ফটোগ্রাফি হিসেবে কাজে আসে বলাতো যায় না। দেখুন আজি আমি এগুলো সব কাজে লাগিয়ে ফেললাম আসা করি আপনাদের সবার কাছে আমার আজকের এই মজাদার খাবারগুলোর ফটোগ্রাফি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে।

আমি এখন যেই রেসিপিটির ফটোগ্রাফি করলাম তা হলো মজাদার ও সু-স্বাদু একটি সালাদ। আপু এই সালাদ টকদই দিয়ে বানায়। খুবই পছন্দ করি আপুর এই সালাদ। কোনটা রেখে কোনটার ফটোগ্রাফি করবো ভাবতে পারছিলাম না। তাই আমি আগে খাওয়া রেখে আমার কাজ করে নিলাম। সবাইতো খাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়েছে। আমাকে ফটোগ্রাফি করতে দেবে না তাদের একটাই দাবি তাদের ঘুষ দিতে হবে। তাই সবাইকে আমি মজো আর স্যাভেন আপ ঘুষ দিলাম। এ যুগে ঘুষ দিলে পেট ঠান্ডা থাকে। তাদেরও মুখ আর পেট ঠান্ডা হয়ে গেল ।আর আমি আস্তে আস্তে ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আরও কিছু আইটেম করেছিল সেগুলো আর ফটোগ্রাফি করিনি।

এবার মজাদার বেগুনের সাথে শুকনা মরিচ ভাজা । এটিতো আমার অসম্ভ পছন্দের।আসলে পছন্দের খাবারের ফটোগ্রাফি করতে আমার সব সময় ভালো লাগে। শুধু খাবারের না যেকোন কিছুর ফটোগ্রাফি কেন যেন আমি অনেক আগে থেকেই মোবাইলে ক্যাপচার করে রাখতাম। এটা আমার একটি সখ বলা যায়। যাই হোক সব মিলিয়ে খাবারগুলোতো অসাধারণ ভালো ছিল। তার চেয়ে ভালো লেগেছে আমি ফটোগ্রাফি করতে পেরেছি। আর আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরেছি।

এখন হলো এই গরমে একটু ভালো ও শরীর পেট ঠান্ডা রাখার একটি খাবার। ভাইয়া আগে থেকে এই খাবারটি এনে রেখেছিল ।ভাইয়া জানে এই দইটি আমি খেতে অনেক পছন্দ করি। আমাদের এখানে মালিবাগে একটি দোকান আছে। এই দোকানের এই দইটি আমার অনেক ভালো লাগে। তাই ভাইয়া সবসময় আমাদের বাসায় এই দইটি আমার জন্য নিয়ে আসে। আর এত মজার মজার খাবার দেখে কেউ ফটোগ্রাফি না করে পারে আপনারাই বলুন?