রেসিপি পোস্ট- খাসির ভুরীর মজাদার ভূনা রেসিপি

in hive-129948 •  7 days ago 

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। আজকে আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে।

আমরা কিন্তু সবাই ভোজন বিলাসী। বিশেষ করে আমি। প্রতিদিন রান্নার আইটেমে কত মজার মজার রেসিপি রান্না করে খেতে ইচ্ছে করে। মনে হয় কোন রান্নাটি হলে খেয়ে একটু তৃপ্তি পাবো। যদিও আমার খাওয়া একদম সীমিত। তারপরেও যতটুকু খাব মনে হয় খাওয়ার পর যেন মনটা ভরে যায়। তাই প্রতিদিন কোন না কোন মজার খাবার রেসিপিতে রাখার চেষ্টা করি। বিশেষ করে আমি মাঝে মাঝে খাসির মাথা মগজ ও ভুড়ি কিনে নিয়ে আসি। আর এর মধ্যে খাসির ভুড়ি কিন্তু আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার। শুধু আমার নয় আমার বাসার সবাই এই ভুড়ি খেতে অনেক পছন্দ করে। এই বুড়ি আপনারা যে কিছু দিয়ে খান না কেন খেতে অনেক মজা লাগে। ভাত, গরম গরম খিচুড়ি, চিতল পিঠা অথবা গরম রুটির সাথেও কিন্তু বেশ লাগে। আমি তো সবসময় গরম গরম রুটির🍞 সাথে বেশি খেতে পছন্দ করি। আর রুটির সাথে গরম গরম ভুড়ি খাওয়ার টেস্টি 👌অন্যরকম। তাই আমি প্রায় ভুড়ি নিয়ে রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেই। আর এভাবে প্রতিদিন সকালে গরম গরম রুটির সাথে খাই। আপনারা কে কে আমার মত ভুড়ি খেতে পছন্দ করেন জানাবেন।

1000028454.jpg

1000028455.jpg

1000028457.jpg

1000028458.jpg

ভাবলাম যে এমন একটি রেসিপি রান্না করলাম, তা আপনাদের মাঝে শেয়ার না করলে কি আর হয়? আমার মত করেও যদি আপনারা বাসায় একটু খেয়ে দেখেন তাহলে হয়তো আপনাদের কাছেও বেশ ভালো লাগবে।তাহলে চলুন দেখে আসি,এই এ মজাদার লোভনীয় রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লেগেছে। আর আমি পুরো রেসিপি কিভাবে রান্না করলাম। 👩‍🍳রেসিটির পুরো প্রস্তুতি নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।

খাসির ভুরীর মজাদার ভূনা রেসিপি

প্রয়োজনীয় উপকরণ

image.png

উপকরণপরিমাণ
খাসির ভুঁড়ি২ কেজি
আলু১ কেজি
পেঁয়াজ কুচি১ কাপ
আদা রসুন বাটাপরিমাণ মতো
শুকনা মরিচ গুড়াপরিমাণ মতো
হলুদের গুঁড়াপরিমাণ মতো
দারচিনিপরিমাণ মতো
এলাচিপরিমাণ মতো
গোলমরিচপরিমাণ মতো
লবঙ্গপরিমাণ মতো
তেজপাতাপরিমাণ মতো
লবনপরিমাণমতো
তেলপরিমাণমতো
পানিপরিমাণ মতো

image.png

রান্নার বিবরণ :

ধাপ - ১ :

প্রথমে চুলায় প্যান বসিয়ে তার মধ্যে খাসির ভুড়িগুলো দিয়ে দিলাম এবং সামান্য পরিমাণ হলুদ গুঁড়া ও মরিচ গুঁড়ো দিয়ে দিলাম।

1000028444.jpg

ধাপ - ২ :

এরপর হলুদ ও মরিচের গুলোর সাথে খাসির ভুড়িগুলো কিছুক্ষণ ভেজে নিলাম।

1000028445.jpg

ধাপ ৩ :

এবার ভুঁড়িগুলো ভেজে নেয়ার পরে এর মধ্যে এক এক করে পেঁয়াজ কুচি আদা রসুন বাটা লবণ তেল পরিমাণ মতো আরো হলুদ গুঁড়া মরিচ গুঁড়া এলাচি, দারচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ ও তেজপাতা দিয়ে দিলাম।

1000028446.jpg

ধাপ - ৪ :

এবার সকল মসলার সাথে ভুড়িগুলো নেরে চেড়ে ঢেকে দিলাম।

1000028447.jpg

ধাপ - ৫ :

এবার কিছুক্ষণ পর পর ভুড়িগুলো নেরে দিলাম আর ঢেকে দিলাম।

1000028448.jpg

ধাপ - ৬ :

এবার যখন ভুড়িগুলো একদম ভেজে ভুনা ভুন হয়ে আসলো তখন তার মধ্যে কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে সবগুলো একসাথে নেড়ে মিক্স করে দিলাম।

1000028449.jpg

ধাপ - ৭ :

এবার ভুড়ি র সাথে আলুগুলো অনেকক্ষণ কষিয়ে এর মধ্যে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম।

1000028450.jpg

ধাপ - ৮ :

এবার ভুড়ি আর 🥔 আলু একসাথে চুলায় জাল দিয়ে ভাজা ভাজা হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম।

1000028451.jpg

ধাপ - ৯

এবার দেখলাম ভুড়িগুলো একদম ভাজা ভাজা হয়ে গেছে এবং রেসিপিটি সম্পূর্ণ হয়ে গেছে।

1000028452.jpg

শেষ ধাপ

এবার যখন দেখলাম ভুড়িগুলো একদম ভাজা ভাজা হয়ে গেছে এবং রেসিপিটি সম্পূর্ণ হয়ে গেছে তখন গরম গরম রুটি অথবা ভাতের সাথে পরিবেশনের জন্য নামিয়ে নিলাম।

1000028453.jpg

ফাইনাল আউটপুট

1000028454.jpg

1000028453.jpg

অবশেষে আমার আজকের এই মজাদার ও লোভনীয় খাসির ভুড়ির রেসিপিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। আমি জানি আমার রেসিপিটা দেখার পরে আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা আজ তাহলে এ পর্য্যন্ত্যই। পরবর্তীতে যে কোন একটা পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হবো। সবার ও সবার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।

আমার পরিচিতি

আমি মাহফুজা আক্তার নীলা । আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অরেনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুনি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।

❤️❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️❤️

1000028235.png

image.png

1000028233.gif

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

1000028234.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভুরী ভাজা বাবুনা খেতে আমি খুব পছন্দ করি। আমার প্রিয় খাবারের গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।ছোটবেলা থেকেই ভুরী ভাজা আমার অনেক প্রিয়।আজকে আপনার তৈরি ভুরী ভুনার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছে।মজাদার এই রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

আমারও সবচেয়ে প্রিয় খাবার। আর আপনারও প্রিয় জেনে ভালো লাগলো।

Polish_20250202_220251558.jpg

মজার মজার রেসিপি কার না পছন্দের। আমি রেসিপিগুলো এত পছন্দ করি যে কি বলবো আর। দেখলেই ইচ্ছে করে সাথে সাথে খেয়ে ফেলি। মাঝেমধ্যে কিন্তু এই ধরনের খাবারগুলো খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। মনে তো হচ্ছে, খাসির ভুরীর মজাদার ভূনা রেসিপিটা বেশ জমিয়ে খেয়েছিলেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত লোভনীয় খাসির ভুরীর মজাদার ভূনা রেসিপি সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আসলেই ভাইয়া খাসির ভুরীর ভুনা রেসিপিটি অনেক জমিয়ে খেয়েছি।

খাসির ভুড়ির মজাদার ভুনা রেসিপি দেখেইতো খাওয়ার লোভ লেগে গেল। অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন যেটা অনেক লোভনীয় ।আমার কাছে অনেক ভালো লাগে এই ধরনের রেসিপি। আমাদের সাথে সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

হ্যাঁ ভাইয়া। সত্যিই অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি আমারও অনেক প্রিয়।

খাসির ভুরীর মজাদার ভূনা রেসিপি শেয়ার করেছেন। খাসির মাংস এবং খাসির বট খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। আপনি আজকে চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভ সামলাতে পারছি না আপু। অনেক লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ ভাইয়া খেতেও খাসির ভুরী দারুন হয়েছিল।

ছাগলের ভুঁড়ি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আলুর সাথে এগুলো রেসিপি করে খেতে দারুন লাগে। কিছুদিন আগে আমাদের বাসায় এনেছিল আমি রান্না করেছিলাম। আপনি আজকে অনেক সুন্দর ভাবে ছাগলের ভোরের রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো। মনে হলো অতিশয় সুস্বাদু হয়েছে।

খাসির ভুরী আপনার কাছেও ভালো লাগে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।

খাসির ভুরীর যদিও আমি খায় না। তবে আপনার পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে আপু। খাসির ভুরীর মজাদার ভূনা রেসিপি খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু ‌ রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন। আর না খেলে মিস করবেন।

আসলে বট আমার খুবই প্রিয় একটি রেসিপি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে খাসির ভুরীর মজাদার ভূনা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।

আপনারও খাসির বট প্রিয় জেনে ভালো লাগলো।

খাসির ভুড়ি ও মোগজ কিনে এনে খান জেনে ভালো লাগলো।আপনার পরিবারের সকলেই পছন্দ করে জন্য মাঝে মাঝে এনে খেয়ে থাকেন।রেসিপি টি অনেক লোভনীয় হয়েছে খেতে নিশ্চিত সুস্বাদু হয়েছে। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী দুর্দান্ত ভাবে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ আপু সত্যি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

খাসির ভুরীর মজাদার ভুনা রেসিপি টা দেখে তো আমার জিভে জল চলে আসলো। এই রেসিপিটা কিন্তু আমার অনেক বেশি পছন্দের। তাই তো লোভ সামলাতে পারছি না আপনার তৈরি করা রেসিপিটা দেখে। তাও আবার দেখলাম এই দুপুর বেলায়। দুপুরবেলায় কিভাবে পারি এরকম মজাদার রেসিপি দেখে লোভ সামলাতে।

আপনাদের সবাইকে লোভ লাগানোর জন্যই তো দুপুরে দিয়েছি হিহিহি।

খাসির ভুঁড়ি আমার কখনো খাওয়া হয়নি। তবে গরুর ভুড়ি ভুনা আমার বেশ পছন্দের। এটাও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু খেতে। ঠিক বলেছেন আপু, এ ধরনের রেসিপি গুলো রুটির সাথে অথবা গরম ভাত এবং খিচুড়ির সাথে খেতে দারুন লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখে তো জিভে জল চলে এসেছে। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। আপনাকে ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

খাসির ভুরী খেয়ে দেখবেন অনেক মজা। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

আপু আমিও এই রেসিপিটি গরম রুটির সাথে খেতে পছন্দ করি। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে খাসির ভুরীর মজার রেসিপি করেছেন। তবে এ ধরনের রেসিপির মধ্যে একটু ঝাল বেশি দিলে খেতে বেশ মজাই লাগে। মজার খাসির ভুরীর রেসিপি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

ঠিক বলেছেন এই ধরনের রেসিপি গুলোর মধ্যে ঝাল বেশি দিলে খেতে অনেক মজা লাগে।

সত্যি কথা বলতে আমিও খেতে ভীষণ ভালবাসি আপু। আর ভুড়ি আমার খুবই পছন্দের তবে এভাবে একেবারে ভুড়ি রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। অনেকদিন ধরে জ্বাল করে রেখে রেখে তারপর রান্না করা হয় আমাদের বাসায়। যাইহোক দেখতে কিন্তু খুবই লোভনীয় লাগছে রেসিপিটি। ধন্যবাদ আলু দিয়ে খাসির ভুড়ির রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আমরাও অনেকদিন জ্বাল করে খাই আবার এভাবেও খাই। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।

আমিও খেয়েছিলাম সেদিনকার এই রেসিপিটি। আপনি বেশ সুন্দর করে রেসিপিটি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যে কেউ দেখলে রেসিপিটি খুব সহজেই তৈরি করতে পারবে। এমন একটি রেসিপি বেশ দারুন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

হ্যাঁ সবাইকে তৈরি করার জন্য সহজ ভাবে দেখিয়েছি। ধন্যবাদ আপু।

খাসির ভুরীর মজাদার ভূনা রেসিপি শেয়ার করে লোভ লাগিয়ে দিলেন। গরু এবং খাসির ভুড়ির ভুনা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার অন্যতম একটি প্রিয় খাবার। রেসিপিটা অনেক সুন্দর হয়েছে।