মুখে লেগে থাকার মত সুস্বাদু বড়ই ভর্তা

in hive-129948 •  2 days ago 

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। আজকে আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি যশোরে খালাদের বাড়ির মজাদার বড়ই ভর্তা খাওয়ার অনুভূতি নিয়ে। আসলে যশোর থেকে আসার পর জ্বর ও প্রচুর ঠান্ডা লেগেছে। তাই কোনো কাজ করে শান্তি পাচ্ছি না। তাহলে চলুন আজ আমার লাইফ স্টাইল পোস্ট দেখে আসি কেমন হয়েছে।

image-5d7b5835-8d77-49b2-89bf-2c4e87485de6.jpg

আজ আবারও মজার একটি খাবারের লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। বড়ই ভর্তা পছন্দ করি না এমন কেউ নেই বললেই চলে। বড়ই এর দিন আসলে আমরা সবাই বিভিন্নভাবে এক একজনের মত করে মজা করে বড়ই ভর্তা করে খেয়ে থাকি। আমরা এক একজন এক এক রকম ভাবে বড়ই ভর্তা বানিয়ে খেতে পছন্দ করি। আর এ বড়ই ভর্তা কয়েক স্বাদে খেয়েছি। তবে এবার আরো মজা করে এই লোভনীয় বড়ই ভর্তা যশোরে গিয়ে খেলাম। যশোরে আমার খালা বাড়িতে দুটো বরই গাছ আছে একটি হচ্ছে টক মিষ্টি আরেকটি হচ্ছে বাউকুল । এই বড়ই খেতে যে কি টেস্ট কেউ না খেলে বুঝতে পারবেন না। আমি তো খালার বাড়িতে আসার পর প্রতিদিন বরই গাছ জাকিয়ে বরই ভর্তা করে খাচ্ছি। তবে খালাদের এখানের বড়ই ভর্তা আরো টেস্ট করে বানায় যা খেয়ে সত্যি আমি ভীষণ স্বাদ পেয়েছি।

IMG_20250210_130346.jpg

আমরা যেদিন খালাদের বাসায় গিয়েছি সেদিন সকালে নাস্তা করার পর দেখতে পেলাম ভাবীরা বড়াই গাছ জাকিয়ে অনেকগুলো বড়ই নিল। যখন বড়ই গাছ ঝাকি দিচ্ছিল তখন আমিও সাথে সাথে ঘুরে কুড়ালাম। কারন এই দৃশ্য এর আগে কখনো দেখা হয়নি বলে গাছ থেকে বড়ই বসেন বসেন কুড়িয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। এ প্রথম এভাবে বলে খাওয়া। অন্যরকম অনুভূতি লাগছিল। তারপর ভাবীরা বড়ইগুলোকে সুন্দর করে ভর্তা করল। আমরা যারা ঢাকায় থাকি তাদের কোন খাবার জিনিস তৈরি করতে বা কোন কোন লোভনীয় টক ভর্তা তৈরি করতে অনেক কিছু জোগাড় করতে হয়। কিন্তু গ্রামে সবকিছুই বাড়ির কাছে গাছগুলোতে পাওয়া যায়। খালার বাসায় যেমন বড়ই গাছ থেকে । পেড়ে নিল ঠিক সেইভাবে বাড়ির কাছ থেকে রসুন পাতা লেবু পাতা ও আরেকটি কি পাতা যেন ভাবীরা গাছ থেকে ছিড়ে নিয়ে এলো আর সেই সকল উপকরণ দিয়ে বড় সুন্দর করে ভর্তা করল। আমি কিন্তু বড়ই ভর্তা করার আগেই অনেকগুলো বড়ই খেয়ে নিয়েছি খালাদের গাছের বড়ই খেতে অনেক টেস্ট লাগছিল। খালাদের বাড়ি বরইগুলো একদম টকও না আবার মিষ্টি ও না টক মিষ্টি বরই। আর যখন বড়ইগুলো সকল উপকরণ দিয়ে ভর্তা করেছে তখন অন্য রকমের একটি ঘ্রাণ বেরিয়েছে যেমন ছিল লেবু পাতা তেমনি ছিল রসুন পাতা আর সাথে যেন আরেকটি কি পাতা দিয়েছিল মনে পড়ছে না।

IMG_20250210_130342.jpg

তবে আমি কিন্তু প্রচুর টক খেতে পারি এই ধরনের ভর্তা গুলো আমার অনেক প্রিয়। যেমন ভাল লাগে কদবেল ভর্তা কাঁচা আম ভর্তা আমরা ভর্তা খেতে আবার এই বড়ই দিন আসলে আমি প্রতিদিন বড়ই ভর্তাও করি। আমরা আমাদের বাসায় ধনেপাতা কাসুন্দি কাঁচা মরিচ দিয়ে ভর্তা করে খাই। তবে সব উপকরণ আমাদের বাসায় যদি থাকে। আমাদের তো সকল কিছু কিনে খেতে হয় তাই চাইলেও সকল উপকরণ বাসায় থাকে না। কিন্তু গ্রামে এ জিনিসটি সম্পূর্ণ ভিন্ন সবই তাদের বাড়িতে পাওয়া যায়। তাদের বাড়ির পাশে সকল গাছ লাগানো থাকে।

আর গ্রামের মানুষকে দেখলাম প্রচুর টক খেতে পারে এই করছে বড়ই ভর্তা আবার করছে কামরাঙ্গা ভর্তা। আমার কাছে খালাদের বাড়ির গাছের বড়ই ভর্তা অনেক মজা লেগেছিল। আর রসুন পাতা দেওয়াতে যেন বড়ই ভর্তার মজা আরও বেড়ে গিয়েছিল। আমিও আসার সময় বড়ই নিয়ে এসেছি আর রসুন পাতা আনবো ভেবেছিলাম কিন্তু মনে ছিলনা। আমিও আজ যশোর থেকে আনা বড়ই ভর্তা করেছিল। কিন্তু রসুন পাতার ঘ্রাণ খুব মিস করেছি। তবে ভাবিরা প্রতিদিন আমার জন্য এক বোল করে বড়ই ভর্তা করেছিল। যা খেয়ে আমি খুব তৃপ্তি পেয়েছি।আসলে খালার বাড়িতে গিয়ে খালার বাড়ির গাছের বড়ই ভর্তা খেতে অনেক আনন্দ লেগেছিল। আর এই বড়ই ভর্তার স্বাদ মিস করবো।কেমন হয়েছে আজ আমার লাইফ স্টাইল পোস্টটি।

আশা করছি আপনাদের সবার কাছে আমার পোস্টটি পড়েও অনেক ভালো লেগেছে সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন সে পর্যন্ত আগামীতে আবার নতুন ব্লক নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসবো ইনশাল্লাহ আল্লাহাফেজ।

❤️❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️❤️

1000028235.png

1000028233.gif

image.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার চমৎকার এই রেসিপি তৈরি করতে দেখে। আমাদের বরই গাছে অনেক অনেক ধরেছে কিন্তু সেভাবে রেসিপি করার সুযোগ হচ্ছে না। ভিন্ন স্বাদের এক লোভনীয় টক রেসিপি দেখতে পেরে খুশি হলাম।

image.png

বড়ই ভর্তা আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। কিছুদিন আগে বড়ই ভর্তা তৈরি করে খেয়েছিলাম আমি। আপনার তৈরি করার বড়ই ভর্তা রেসিপি দেখে আবারও জিভে জল চলে এলো। মজাদার ও লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

আপু আপনার মত আমি নিজেও প্রচুর টক খেতে পারি। আসলে বড়ই ভর্তা খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে গ্রামাঞ্চলে বড়ই ভর্তা করে বেশি খাওয়া হয়। তবে এটি ঠিক অনেকে বড়ই ভর্তার সাথে কামরাঙ্গা এবং আচার দিয়ে থাকে। নিশ্চয়ই বড়ই ভর্তা গুলো খুব মজা করে খেয়েছেন ভাবিদের হাতের বানানো।

আপু বরই ভর্তা মাখানো দেখে লোভ লেগে গেলো। আমিও প্রচুর টক আর ঝাল খেতে পারি।মাখানো বরই দেখে আমার জিভে পানি এসে গেলো।এ ধরনের ভর্তা সবাই একসাথে বসে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। খালার গাছের বরই পেয়ে তো সেই মজা করে খেয়েছেন আপু।ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে।

বড়ই ভর্তা খেতে সত্যি খুব ভালো লাগে। আসলে আগে বন্ধুরা সবাই পড়ন্ত বিকেলে এভাবে বড়ই ভর্তা তৈরি করে খেতাম। বড়ই ভর্তা বেশ ভালো লাগতো খেতে। আপনার বড়ই ভর্তা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আসলে এই ধরনের খাবার খুবই লোভনীয় হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।