আপুর বাসার দাওয়াতে সুন্দর কিছু সময় কাটানো

in hive-129948 •  4 months ago 

আসসালামু আলাইকুম

হ্যালো বন্ধরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আজ আপনাদের মাঝে চলে এলাম একটি লাইফস্টাইল পোস্ট নিয়ে। আজ ভাবছিলাম যে লাইফস্টাইল পোস্ট দিব, কিন্তু কি বিষয় নিয়ে পোস্ট দিব ভাবতে পারছিলাম না।পড়ে ভাবতে ভাবতে সমাধান পেয়ে গেলাম যে গত শুক্রবার @maksuda আপুদের বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম সে বিষয়টি নিয়ে আাজ একটি লাইফস্টাইল পোস্ট দিব। তাই লিখতে বসে গেলাম। আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে।

111.jpg

আপু বেশ কয়েকদিন যাবৎ আপুর শশুর বাড়ির সবাইকে দাওয়াত করে খাওয়াতে চেয়েছিল। তাই গত শুক্রবারের আগে আপুরা তাদের দাওয়াত করে। কিন্তু হঠাৎ দেশের চারিদিকেগন্ডগোল সৃষ্টি হওয়ায় তাদের দাওয়াত ক্যান্সেল করতে হয়েছে। কারন পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল বিধায় ক্যান্সেল করতে হয়েছে। কারন আপুর শশুর বাড়ি নারায়নগঞ্জ। আর গত বুধবারে সারারাত ঢাকার যাত্রাবাড়ি ও কাজলা এলাকার সাইটে রাতভর প্রচন্ড গন্ডগোল। তাই তারাই এই দাওয়াত ক্যান্সেল করেছে। তাই এই শুক্রবার পরিবেশটা একটু ঠান্ডা হওয়াতে তাদের সবার আপুর বাসায় দাওয়াত ছিল। বলাতো জায়না আবার কখন কি হয়ে যায়। আর তাদের মাঝে আমাকেও দাওয়াত করেছে। কারন আপুর শশুর বাড়ির মানুষগুলো অনেক ভালো। আমাকে অনেক আদর করে। তাই তারাই আমাকে ফোন দিয়ে দাওয়াত দিয়ে দিয়েছে। আর আপুরাও।

Polish_20240728_182134204.jpg

আপুর শশুর বাড়ির সবাই অনেক জলিমাইন্ডের লোক। অনেক ফ্রি, মিসুক আর ভালো। আমারও তাদের কে অনেক ভালো লাগে। আপুর শাশুড়ী নোনাস ভাসুর আর তাদের ছেলে মেয়ে সবাই অনেক ভালো। তাই তাদের মাঝে আমারও অনেক ভালো লাগে। যাইহোক শুক্রবার আপুর বাসায় দাওয়াতে গিয়ে বেশ আনন্দই হয়েছে। সবাই মিলে অনেক গল্পগুজব আর হাসাহাসিতে মেতে ছিলাম। আর গল্পের মাঝে মাঝে তো এটা ওটা মজার খাবর ছিলোই। যা আমাদের দাওয়াতের আর গল্পের আনন্দের মুহূর্তটাকে আরও আনন্দময় করে তুলেছে। আর দাওয়াতে গিয়ে গল্প পেয়ে যেন খেতে যেতে ইচ্ছে করছিল না। তারপরও সবাই একসাথে খাওয়ার মজাই অন্যরকম।এরপর সবাই নামাজ পড়ে আসলে আমরা সবাই চলে গেলাম খাবার পর্বতে। কেউ দাওয়াত করলে খাবার সময় চোখ পড়ে কি কি আইটেম করলো। যদিও আমি অনেক ভোজন বিলাসী, তবে কেউ আবার ভাইবেন না যে আমাকে দাওয়াত করলে সব খেয়ে সাবার করে ফেলবো।আমাকে আপনারা অনায়াসে দাওয়াত করতে পারেন। আমি ভোজন বিলাসী হলেও আমার খাোরের পরিমান খুবই কম।

Polish_20240728_181944417.jpg

যাইহোক খেতে বসে দেখি ওমা আপুতো এবার অনেক আইটেম করেছে। আপুদের বাসায় কখনও গ্যাস থাকে না। তারপরও আপু যে এই আইটেমগুলো করেছে তা দেখেই আমি অবাক। প্রতিটি খাবারি দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছিল, খেতেও ঠিক সেইরকম স্বাদ হয়েছে। এবার অবশ্য আপু আমাকে কিছু করতে দেয়নি।আর এই মজার মজার খাবারগুলো আমাদের দাওয়াতের আমেজটাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আরও একদিন আপনাদের মাঝে দাওয়াতে কি কি মজার খাবার খেলাম শেয়ার করব। আপু এতো মজা করে প্রতিটি খাবার রান্না করেছে আপুর শাশুড়ি খেয়ে খুব প্রশংসা করেছে। আর কি লাগে। মায়ের মতো শাশুড়ির সুন্দর রিভিউ পেয়ে আপুর মুখে আমি অনেক আনন্দ দেখতে পেলাম। আসলে মাঝে মাঝে এই রকম দাওয়াতের আয়োজন হলে ভালোই লাগে।এতে করে সবার সাথে সবার দেখা কথা ও আনন্দে কিছুটা সময় কেটে যায়। আর সেটা আমি মনে করি মনমানুসিকতা ভালো থাকে।আর তার মধ্যে আরও মজা হলো নতুন নতুন ইউনিক রেসিপি।

Polish_20240728_182254406.jpg

Polish_20240728_182418922 (1).jpg

আসলে এই ধরনের অনেক মানুষের মাঝে ঘরোয়াভাবে দাওয়াত খেতে আমার ভালোই লাগে। এতে অনেক সুন্দর কিছু স্মৃতি থেকে যায়। সবমিলেয়ে এই শুক্রবারের দিনটাই কিছু ভালো মুহূর্তের সাথে আমার অনেক ভালো কেটেছে। তবে খারাপ লেগেছে যখন সবার বিদায় নেয়ার সময় হয়ে গেছে। আসলে আনন্দের পড়ে কিছু কষ্ট আসবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আমাদের দাওয়াত শেষে সবার বিদায় নিয়ে অনেক কষ্ট হয়েছে। আজ ঠিক একই ভাবে আপনাদের মাঝ থেকেও বিদায় নিতে কষ্ট হচেছ। তারপরও সবকিছু থেকে এক সময় বিদায় নিতে হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই আমি আজ আপনাদের সবার সুস্থতা কামনা করে আমার পোস্ট থেকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ্ বাচাঁলে ইনশাল্লাহ্ আবারও নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে যাবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।

পরিচিতি

আমি মাহফুজা আক্তার নীলা । আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুননি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।

❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ছুটির দিনে বোনের বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন শুনে খুবই ভালো লাগলো।বোনের বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আর খাবার গুলো খুবই লোভনীয় লাগছে আপু। আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লেগেছে।

আসলে অনেকদিন পর ভালো কিছু সময় কাটিয়েছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপুর শ্বশুর বাড়িতে তাহলে খুব মজা করে খাওয়া দাওয়া করেছেন। আসলে কারো বাসায় গ্যাস না থাকলে তখন রান্না করতে অনেক সমস্যা হয়। আপনার আপুর বাসায় গ্যাস নেই তারপরও অনেকগুলো আইটেম তৈরি করেছে। এই কারণে হয়তো বা আপনি অবাক হয়ে গেলেন। আর যদি খাওয়ার গুলো ভালো হয় কেউ প্রশংসা করলে এমনিতে বেশ ভালো লাগে। যেমন আপনার আপুর শাশুড়ি খাবারের প্রশংসা করেছে বিধায় আপনার আপু অনেক খুশি হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

প্রশংসা করলে আসলে ভালো লাগে। সবসময় সুন্দর মন্তব্য করে সাপোট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপুর শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে দাওয়াত করাতে আপনাকেও তারা আসতে বলল এটা জেনে ভালো লাগলো খুব।ফ্যামিলি গেট টুগেদার খুব দরকার।এতে করে একে অন্যের ভাবের আদান-প্রদান হয়।সবাই তো সব সময় ব্যস্ত সময় পার করে।যদি ছুটির দিন গুলোতে এমন আয়োজন করা হয় তবে মন্দ হয়না।আপু তো দেখছি বেশ ভালোই আয়োজন করেছেন। খাবার গুলো খেয়ে শ্বাশুড়ি মা প্রশংসা করলে সব বউদের কাছেই তা ভালো লাগার একটি বিষয় হয়।আপু ও নিশ্চয়ই খুব খুশী হয়েছে।খুশী থাকুক সব সময়। আপু আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লেগেছে আমার। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে আমাদের মাঝে চমৎকার আয়োজন ভাগ করে নেয়ার জন্য।

হ্যাঁ এতে করে একে অন্যের ভাবের আদান-প্রদান হয়।সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

গত শুক্রবার তথা ১৯ তারিখ যাত্রাবাড়ি থেকে ধরে সাইনবোর্ড নারায়নগঞ্জ কিয়ামত ছিল। সবাই ভেবেছে আবার যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। ঐদিন দাওয়াত ক্যানসেল করে ভালোই করেছে। তা না হলে যে কোন অঘটন হতে পারতো। যায়হোক আপুর বাসায় দাওয়াতে গিয়ে ভালই খাওয়া দাওয়া হলো। ধন্যবাদ।

আমরাও তাই ভেবেছি ক্যানসেল করে অনেক ভালো করেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া মতামতের জন্য।

আপনার আপুর শশুর বাড়িতে গিয়ে তাহলে তো অনেক মজা করে খাওয়া দাওয়া করেছেন। আপনি আপনার আপুর বাসায় গিয়ে খুব সুন্দর একটা সময় উপভোগ করেছেন। আপু আপনার ধারণ করা ফটোগ্রাফি গুলা দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে খাবার গুলো দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। প্রতিটি খাবারই দেখতে অসাধারণ হয়েছে।আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

মজার খাওয়ার সাথে খুব সুন্দর সময় উপভোগ করেছি।আপনাকেও ধন্যবাদ সবসময় সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আমার করা মন্তব্য আপনার অনেক পছন্দ হয়েছে শুনে ভালোই লাগলো।