"বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব: সম্মান ও সৌহার্দ্যের পথ"

in hive-129948 •  2 months ago 

আস্সালামু আলাইকুম /আদাব 🤝

আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই। আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি ।আমি @mahfuzur888, বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে আপনাদের সাথে আছি ।

_72a2196d-64c3-47a1-9745-a0773fb77d26.jpeg

বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক দীর্ঘকাল ধরে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্ক দুই দেশের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে এবং এখনও করে চলেছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহযোগিতা এবং সমঝোতার ভিত্তিতে দুই দেশের জনগণ একে অপরকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। তবে, সম্প্রতি কিছু কিছু মানুষের কারণে এই সম্পর্কের মধ্যে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থের জন্য উসকানি দিতে থাকলে, তা পুরো সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

আমাদের প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক গঠন করা, একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। একদিকে, আমাদের বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক আমাদের ভবিষ্যতের উন্নতিতে সহায়ক হতে পারে, অন্যদিকে, কোনও নেতিবাচক সম্পর্ক সামগ্রিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হতে পারে। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে খোলামেলা যোগাযোগ ও সহযোগিতা দুটি দেশের জনগণের মধ্যে শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস সৃষ্টি করে। এটি দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নেও সহায়তা করতে পারে, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য, সংস্কৃতি, শিক্ষা, এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। আমরা যদি একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সহায়ক হই, তবে তা আমাদের উভয়ের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে। কিন্তু যদি কোনো কারণে ওই সম্পর্ক ভেঙে যায়, তা দুটি দেশের জন্যই অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।

যখন কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী একে অপরকে অসম্মান করতে শুরু করে, তখন তা শুধুমাত্র তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটায় না, বরং বৃহত্তর পরিসরে জাতির জন্যও খারাপ প্রভাব ফেলে। কোনও দেশের জাতীয় পতাকা তার গৌরবের প্রতীক। এটি শুধুমাত্র একটি কাপড়ের টুকরো নয়, বরং সেই দেশের ইতিহাস, সংগ্রাম, এবং স্বাধীনতার প্রতীক। বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকা উভয়েরই রয়েছে নিজেদের গৌরবময় ইতিহাস, যা দেশের মানুষের আত্মমর্যাদা ও জাতীয়তাবোধের প্রতীক।

একটি দেশের পতাকার সম্মান প্রদর্শন করা একটি আন্তর্জাতিক নীতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। পতাকা আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ও আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে। আমাদের উচিত পৃথিবীর প্রতিটি দেশের পতাকাকে সম্মান জানানো, কারণ তা সেই দেশের জনগণের আত্মমর্যাদার প্রতীক। যখন আমরা অন্যের দেশের পতাকাকে অসম্মান করি, তখন আমরা সেই দেশের জনগণের সম্মানকে অগ্রাহ্য করি, যা সম্পর্কের উন্নতির জন্য বিপজ্জনক।

এটা মনে রাখা উচিত যে, জাতির অগ্রগতি এবং শান্তির জন্য কেবলমাত্র সরকার বা নেতারা নয়, জনগণের মধ্যেও সহযোগিতা ও সহানুভূতির প্রয়োজন। কোনো দেশের মধ্যে সহিংসতা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি হলে, তা শুধু রাজনৈতিক ক্ষতির কারণ হয় না, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও তা ক্ষতিকর। একে অপরকে বোঝা, সহানুভূতি ও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

যদি কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থে বা হিংসা থেকে অন্য দেশের পতাকাকে অসম্মান করে, তবে সেটা শুধু তাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় না, বরং সেই দেশের মানুষেরও মানহানির কারণ হয়। সুতরাং, আমাদের উচিত যে কোনো পরিস্থিতিতেই শান্তি, সৌহার্দ্য এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা। দুটি দেশের জনগণ যদি একে অপরকে বুঝতে পারে, একে অপরের সংস্কৃতিকে সম্মান করতে পারে, তবে তা কেবল জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্যই উপকারী হবে।

Zskj9C56UonWToSX8tGXNY8jeXKSedJ2aRhGRj6HDecqreqo2XAMzrcrFMezsQ2JYvnkCG8natanTeTWALXvA2X1jsqXD4Nf1w7BTTxEyx7JRMmmeNnz.png

_451b1e22-7477-41cf-ac28-78a74f9098fe.jpeg

পরিশেষে, আমাদের সকলের দায়িত্ব, আমরা যেন আমাদের প্রতিবেশী দেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই এবং কোনো পরিস্থিতিতেই হিংসা বা বিদ্বেষের দিকে না চলে যাই। সম্পর্কের মান বজায় রাখতে হলে, আমাদের একে অপরকে সম্মান করতে হবে এবং কোনো ধরনের উস্কানি বা অস্থিরতা থেকে দূরে থাকতে হবে। একে অপরকে সম্মান করলে, সেই সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে এবং দুই দেশই একে অপরের উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারবে।


ফোনের বিবরণ

Zskj9C56UonWToSX8tGXNY8jeXKSedJ2aRhGRj6HDecqreqo2XAMzrcrFMezsQ2JYvnkCG8natanTeTWALXvA2X1jsqXD4Nf1w7BTTxEyx7JRMmmeNnz.png

ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি
ধরণডাই পোস্ট ।
মডেলএম ৬২
ক্যাপচার@mahfuzur888
অবস্থানরাজশাহী- বাংলাদেশ

19-28-53-banner-abb3.png

3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3Ce9mzjKNKmBKDNB5bPjytfpGcNzZvsf4kqDNjsgbD5sqJcQmA1hgTqT9wQbCkTa3KEsqrYDBjB.gif

31Q3JAt52XV3K5QcbwxWSgVchhxuEjDPdvUXeiz5hyFcP6pgsytGKPH2yswNpfwm42DwgqpJvZarcjQfADhrdMojh3Bo8Y75dieBs7jEZH...chbbz54g2jJYzx9x1eZeGk7mVyAj9QCnk6CAu4DNeXdfLW4i8Rzh1PTvUQ8SjyvoWHrZjWxdfRY9SS14A8ddv6TSQKCxSsFrd47Yp4qKGuzsc1bqmyG34qn6H.webp

আমার পরিচয়


IMG-20240412-WA0011.jpg

আমার নাম মোঃমাহফুজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের একজন সুনাগরিক। সর্বদাই নিজেকে দেশের মঙ্গল কামনায় ব্যস্ত রাখি। আমার জন্মভূমিকে আমি মায়ের মতো ভালোবাসি।আমি ভ্রমণ করতে খুবি ভালোবাসি।তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে আমার ভালো লাগে,আর রান্না করা আমার নেশা, এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই আমি আমার সৃজনশীলতা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চাই। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়,ধন্যবাদ সবাইকে।🌹💖🌹।

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2...SwCeUWfeYFqXEU6k9E1QBR3LLWpTGQPTugeRKSuzSqXPiupWgvjugsTQfwLmEzMp6y8qhddmwictcszT5MtchDJq2GfNthESS97LtxV2WaG7p797tQfCnHDy4R.gif

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন💖

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশ ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ দুইটি রাষ্ট্র। বর্তমানে কিছুদিন রাজনৈতিক কারণে দুই দেশের ভিতর অস্থিরতা বিরাজ করছে। তার মানে এই নয় যে, আমরা একে অপর দেশের পতাকা অবমাননা করবো। একটি পতাকা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। আমাদের সবার উচিত প্রত্যেক রাষ্ট্রের পতাকা সম্মান করা।

আমাদের সকলের উচিত পাশের রাষ্ট্রকে নিজের বন্ধু হিসাবে চিহ্নিত করে তার সাথে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখা। তাই আমাদের মধ্যে সেই সজাগ চিন্তাধারা আনতে হবে যা দ্বারা সুন্দর একটি রাষ্ট্র গঠন করা যাবে এবং একে অপরের সাথে সুন্দর মিল রাখা যাবে।

আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলেই একটি দেশের পতাকা সেই দেশের জন্য অনেক সম্মান এর। বিশেষ করে সেই পতাকার মধ্যেই দেশের ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে। দেশের স্বাধীনতার চেতনা রয়েছে। এত এই পতাকাকে অসম্মান করা মানে পুরো ইতিহাসকে অসম্মান করা। এটা মোটেই কাম্য নয়।এর প্রতিবাদ জানাই।। আর সব ভেদাভেদ ভুলে আমরা একই সাথে বন্ধু হয়ে বাঁচতে চাই।

যুদ্ধ শুরু থেকে ভারত আমাদের বন্ধুর মত পাশে ছিলো। কালক্রমে কিছু বিভেদ দেখা যাচ্ছে যেটা স্বাভাবিক বিষয়। তবে আমরা খারাপ বিষয়টাকে গুরুত্ব না দিয়ে ভালো কিছু করার লক্ষ্যে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। দুই দেশ এক হয়ে বাকি দিন চলতে চাই নতুন এক বিশ্ব গড়ে তুলতে চাই।

জি ভাই আপনার সাথে আমিও একমত এটা খুবই সাময়িক একটি বিষয়। আমি আশা করি অতি দ্রুত এর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এবং দুই দেশ একসাথে মিলে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে এগিয়ে চলবো ইনশাআল্লাহ।

ইনশাআল্লাহ।