সন্ধ্যার আড্ডা ||•|| 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)
আজ রবিবার • ২২শে জ্যৈষ্ঠ • ১৪২৯ বঙ্গাব্দ • ৫ জুন-২০২২


মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।



Picsart_22-06-05_15-12-07-634.jpg

অনেকদিন পর কারো সাথে দেখা হলে আলাদা রকম একটা অনুভূতি কাজ করে। সেই অনুভূতিটা বলে বুঝানোর মতো নয়। তেমনই দুদিন আগে আমার সাথেও আমার দুজন ছোট ভাইয়ের দেখা হয়েছিল । তাদের সাথে আমার দেখা হয় দীর্ঘদিন পর তাই কি যে ভাল লেগেছিল। আমরা তিনজন একসাথে অনেক ভালো একটা সময় পার করেছি। সন্ধ্যা থেকে কিভাবে রাত সাড়ে ১১ টা অবধি আড্ডা দিয়েছিলাম একদম বুঝতেই পারিনি। একসাথে অনেক ঘোরাঘুরি খাওয়া-দাওয়া করে বেশ ভালো একটা সময় অতিবাহিত করেছিলাম।

আমি সেদিন কিছু কাজে রংপুর শহরের বাহিরে গিয়েছিলাম। সন্ধ্যেবেলা রংপুরে ফেরার সময় ছোটভাই সোহাগের ফোন আসলো। হঠাৎ তার ফোন পেয়ে বেশ ভালই লাগছিল। সে আমায় ফোন দিয়ে জানালো সে রংপুরে এসেছে। ভাবলাম ভালোই হলো এক সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দেয়া যাবে। তারপর আমি তাকে জানালাম বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়াতে কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছে যাব। তারপর বাস থেকে নামতেই সোহাগের সাথে দেখা।

IMG_20220601_215828.jpg
IMG_20220601_215952.jpg
IMG_20220601_215944.jpg

যেহেতু আমি সারা দিন বাহিরে ছিলাম ঠিকঠাক ভালোমতো খেতে পারিনি তাই আমার প্রচুর ক্ষুধা লেগে ছিল। সোহাগ কে বললাম আমার কিছু খেতে হবে তখনই সামনে এই ডিম কেক এর দোকান চোখে পড়ে গেলো। সেখানে গিয়ে দুজন দুটো ডিম কেক খেলাম বেশ ভালই লাগলো যেহেতু টিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে তাই আমার ক্ষুধাটা অনেকাংশেই কমে গিয়েছিল।

IMG_20220601_215834.jpg
IMG_20220601_215821.jpg

আমরা যখন ডিম কেকের দোকানে গিয়েছিলাম তখন ডিমগুলো বানানো হয়েছিল কিন্তু গরম ছিল। আমার খুব ইচ্ছে জাগলো এই দিনগুলো কিভাবে বানায় সেটা দেখার। তাই মামাকে বললাম দু একটা ডিম কেক বানানো দেখি কিভাবে এটা তৈরি হয়। তাই মামা আমাকে দেখানোর জন্য একটি ডিম কেক বানিয়ে দেখালো। এই ডিম কেক খেতে যেমন মজার তেমনি পুষ্টিকর। একটু একটু ঝাল একটু একটু মিষ্টি স্বাদের এই ডিম কেক আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল।

IMG_20220601_220549.jpg

তারপর ডিম কেক খেয়ে সেখান থেকে পেট পুজো করে আমরা অটোতে চেপে লালবাগের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। লালবাগে আড্ডা দিতে আমার ভালই লাগে বেশ জাঁকজমকের একটা এলাকা। অটো দিয়ে যেতে যেতেই আমার আর এক ছোট ভাই নোহানকে কল দিলাম লালবাগে আসার জন্য। তিনজন একসাথে জমিয়ে আড্ডা দেয়া যাবে। সে জানালো তার আসতে কিছুক্ষণ সময় লাগবে কারণ তার বাসা লালবাগ থেকে অনেকটা পথ ধরে ছিল।

IMG_20220601_220957.jpg
IMG_20220601_221132.jpg

লালবাগ পৌঁছে অনেকক্ষণ নোমানের জন্য অপেক্ষা করছি তার জন্য রাস্তা ফুরোচ্ছেই না। যাইহোক কি আর করা তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। তখনই সামনে পড়ে গেল একটি পেয়ারা মাখার দোকান। পেয়ারা মাখা আমি ভীষণ পছন্দ করি সেখানে যদি কাসুন্দি দেওয়া হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। তাই পেয়ারা-মাখার দোকান এর কাছে গেলাম ২০ টাকার পেয়ারা-মাখা নিয়ে আমি আর সোহাগ খেয়ে সাবাড় করলাম। তাতেই নোহান চলে আসলো।

IMG_20220601_222059.jpg

এই হল আমার সেই ছোট ভাই নোহান এবং সোহাগ। সেখানে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে আমরা অনেকক্ষণ গল্পগুজব কুশলবিনিময় করলাম। তারপর মোহন বললো এখানে দাঁড়িয়ে না থেকে কোথাও গিয়ে চা খেতে খেতে গল্প করা যাক। চা খেতে খেতে গল্প করার মজাটাই অন্যরকম।

IMG_20220601_223022.jpg
IMG_20220601_222955.jpg

তারপর তিন ভাই মিলে এক চায়ের দোকানে বসে অনেক্ষণ গল্পগুজব করলাম এবং চা খেলাম। রাস্তার ধারে বসে চা খেতে খেতে গল্প করার মজা যে কতটা সেটা বলে বোঝানো যাবেনা। এভাবেই গল্প গুজব করতে করতে আমরা অনেকটা সময় পার করে ফেলেছিলাম।

IMG-20220601-WA0032.jpg

চা খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা কিছুক্ষণ মেইন রাস্তা দিয়ে হাঁটলাম। হাঁটতে হাঁটতেই চোখের সামনে একটি ফাঁকা ভ্যান পেয়ে গেলাম ভাবলাম এখানে বসে গল্প করি। সেখানে বসে গল্প করতে করতে কখন যে রাত সাড়ে ১১ টা বেজে গেছে তা আমরা বুঝতেও পারিনি। সত্যি সময়টা অসাধারণ কেটেছিল। এভাবে অনেক দিন পর কারো সাথে দেখা হলে যে কতটা ভালো লাগে সেটা দেখা হওয়ার পরেই বোঝা যায়। যাই হোক আমরা আড্ডা দেওয়া শেষ করে যার যার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।

বন্ধুরা তাহলে আজ এই পর্যন্তই আপনাদের সাথে দেখা হবে আমার আবার অন্য কোন এক পোস্টে সে অব্দি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল সকলের জন্য।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iQCpyfJ2aBLuuM6t9DyLVRQ4fCoQ4LK7JyPMKkfTQ2x6acrJKzR88WLpa6hUEXLCDYmThgd2iDc.png



PicsArt_03-22-02.27.17.png

আমি মাহির শাহরিয়ার ইভান। আমার বাসা বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে । আমি একজন ব্লগার, ফটোগ্রাফার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। নতুন কোন বিষয়ে লিখতে এবং সবাই কে অজানা বিষয়ে জানাতে আমার ভিষণ ভালো লাগে। ছবি তুলতে, জাঙ্ক ফুড খেতে এবং ঘুরতেও আমি ভিষণ পছন্দ করি । আর আমার সব থেকে বড় শখ ছবি তোলা।

FacebookTwitterYouTube

image.png

standard_Discord_Zip.gif

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া পরিচিত ভাই-ব্রাদারদের সাথে দেখা হলে খুবই মজা লাগে। এবং তাদের সাথে সময় কাটাতে অনেক ভালো হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আসলে ভাই অনেকদিন পর দেখা হয়েছিল তাই আরো বেশি ভালো লেগেছিল আর সময়টাও অনেক ভালো কাটিয়েছিলাম।

আপনি আপনার ছোট ভাইয়ের সাথে দারুণ এক সময় অতিবাহিত করেছেন ।চা কেক সহ বিভিন্ন কিছু খেয়ে দারুন সময় কেটে গেছে আপনাদের এবং সেই অনুভূতি গুলো আমাদের সামনে আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনি একদম ঠিক বলেছেন এরকমভাবে অনেকদিন পর কারো সাথে দেখা হলে বেশ ভালই লাগে সুন্দর সময় কেটে যায়।

আসলে আপু অনেক সুন্দর একটা সময় ছোট ভাইদের সাথে অতিবাহিত করেছিলাম। অনেকদিন পর কারো সাথে দেখা হলে আসলে খুবই ভালো লাগে।

সন্ধ্যা বেলা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে আপনি অনেক কিছু খেয়েছেন ভাইয়া। আপনার খাবারের ছবিগুলো দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। যদিও বাইরের খাবার আমি খুব একটা খাই না কিন্তু আমার খুব খাওয়ার আগ্রহ জাগে 😁। বন্ধুদের সাথে হলে তো কথাই নেই। যাইহোক আপনাকে ধন্যবাদ সন্ধ্যায় কাটানো সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

সন্ধ্যাবেলা ছোট ভাইদের সাথে আড্ডা দিয়েছিলাম আপু। আর খাবার গুলো সত্যি মুখোরোচক ছিল। মাঝে মাঝে আপনি বাইরের খাবার খাবেন দেখবেন ভালোই লাগবে।

আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি সন্ধ্যায় আপনার ছোট দুই ভাইয়ের সাথে ভালোই সময় কাটিয়েছেন। আসলে অনেক দিন পর আপন মানুষদের সাথে দেখা হলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। শুভ কামনা আপনার জন্য।

জি ভাই একদম ঠিক বলেছেন আপনি অনেকদিন পর আপন মানুষ জনের সাথে দেখা হলে মনের ভিতর আলাদা রকম একটা আনন্দ কাজ করে।

এক সময় এ রকম আড্ডা দিতে আসলে খুব ভালো লাগতো। কিন্তু এখন আসলে সময় হয়ে ওঠে না এরকম আড্ডা দেওয়ার। আপনি আপনার ভাইয়ের সাথে ভালো সময় কাটিয়েছেন। আর আসলে আর দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই মুহূর্তগুলো খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।

মাঝে মাঝে সময় বের করে আড্ডা দেয়া উচিত। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত দেয়ার জন্য।

ভাই ব্রাদার ছাড়া জীবন চলে না । বন্ধুবান্ধব থাকলে লাইফে আমেজ থাকে। আর অনেকদিন পরে কাছের মানুষদের সাথে দেখা হলে তো আরও ভাল লাগা কাজ করে। আপনার সন্ধ্যাটি অনেক ভাল কেটেছে বন্ধুদের সাথে। খাওয়া দাওয়া ও করেছেন দেখলাম। ভাল লাগল দেখে। ভাল থাকবেন।।

আসলে ভাই ব্রাদার ছাড়া জীবন চলেনা আপনি একদম ঠিক বলেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার মতামত দেখে ধন্যবাদ।