টাকা অনলাইন করতে ব্যাংকে যাওয়া

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)
আজ সোমবার • ৬ই আষাঢ় • ১৪২৯ বঙ্গাব্দ • ২০ জুন-২০২২


মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী ব্লগার ভাই এবং বোনদের আমার সালাম এবং আদাপ। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি।



Picsart_22-06-20_18-54-06-346.jpg

আমার কাছে বিরক্তিকর কাজ গুলোর মধ্যে একটি হলো ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া অথবা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা। কারণ এই দুটো কাজের জন্য ব্যাংকে গিয়ে অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

আমার কোন কাজের জন্য আমি কখনো ব্যাংকে যাই না, বেশিরভাগ সময়ই আব্বু অথবা আমাদের কাজের জন্য ব্যাংকে যেতে হয়। আজ আমি আমার মামার ব্যবসার অনলাইনের কাজে ব্যাংকে গিয়েছিলাম।

যাদের ব্যাংকে যেতে হয় তারা ঠিকই জানেন ব্যাংকে গেলে কাজ সারতে কতটা সময় লাগে। কিন্তু আজ ব্যাংকে ঢুকে আমি একদম অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সৌভাগ্যবশত আজ ব্যাংকে খুব একটা ভীড় ছিল না। আমাদের এখানে বিকাল ৪ টা অব্দি অনলাইনের কাজ চলে। আমি ঠিক শেষ সময়ে গিয়েছিলাম তাই হয়তো লোক সংখ্যা অনেক কম ছিল।

IMG_20220620_184442.jpg
IMG_20220620_184346.jpg

আজ মামা ব্যস্ততার কারণে ব্যাংকে যেতে পারবেনা বলে আমাকে সকাল সকাল ফোন দিয়েছিল আমাকে ব্যাংকে যেতে হবে কিন্তু আমার যেতে অনেকটা সময় লেগে গিয়েছিল। বাসায় গিয়েই দেখি মামা টাকাপয়সা গুছিয়ে সামারি করে রেখেছে। মোট ৮০ হাজার টাকার সামারি করা হয়েছিল। বাসায় বসেই আমি টাকা গুলো একবার মিলিয়ে নিলাম। ব্যাংকে গিয়ে ভেজাল হওয়ার থেকে বাসায় ভেজাল হওয়াটাই শ্রেয়।

IMG_20220620_153108.jpg

টাকা করে গুছিয়ে ব্যাগে পুরে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম। বাসা থেকে ব্যাংকে যেতে সময় লাগে মোটে ১০মিনিট। এদিকে ব্যাংকের অনলাইন এর সময় ঘনিয়ে আসছিল তাই তাড়াহুড়া করেই বাইক চালিয়ে ব্যাংকের সামনে চলে গেলাম। ব্যাংকের সামনে গিয়ে ঘড়িতে চোখ বুলিয়ে দেখি অনলাইনে সময় আর মাত্র ১০ মিনিট রয়েছে।

IMG_20220620_153131.jpg
IMG_20220620_153255.jpg

ব্যাংকে ঢুকতেই এই সরকারি নির্দেশনা চোখে পরলো। কিন্তু কারোর মুখে মাক্স ছিল না। মাক্সতো দূরের কথা কেউই দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করছিলো না একদম ঘেঁষে চলাফেরা করছিল। তবে লোক সংখ্যা কম থাকায় আমার কোন সমস্যা হয়নি। আপনার উপরের ছবিটি দেখলেই বুঝতে পারবে আসলেই ব্যাংকের ভেতর তুলনামূলক লোক সংখ্যা কত রকম ছিল।

IMG_20220620_184510.jpg

ব্যাংকের ভেতরে ঢুকে চিন্তা করলাম টাকাগুলো আরেকবার মিলিয়ে দেখি। আমি সবকিছু নিখুঁতভাবে করতে পছন্দ করি। তাই যেকোনো কিছু বারবার মিলিয়ে দেখা আমার একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অভ্যাসটা আমি ভালোই মনে করি ভুল হওয়ার সুযোগ অনেক গুণে কমে যায়।

IMG_20220620_154319.jpg
IMG_20220620_184607.jpg
IMG_20220620_153519.jpg

টাকাগুলো মিলিয়ে সোজা চলে গেলাম ক্যাশ রিসিভ কাউন্টারের দিকে। প্রথমে সেখানে থাকা আপু বলেছিলো আজ আর অনলাইন হবে না সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপর তাকে অনুরোধ করার পর সে একটু বিরক্ত হলেও অনলাইন করতে রাজি হয়ে গিয়েছিল। তারপর টাকাগুলো তার হাতে তুলে দিলাম। সে খুব তাড়াতাড়ি করে টাকাগুলো মিলিয়ে নিল।

IMG_20220620_154030.jpg

ব্যাংকের সেই আপু টাকাগুলো মিলিয়ে নেয়ার সময় এই দুটো টাকা বের করে আমার হাতে ধরিয়ে দিল। টাকা গুলো দেখে আমারই হাসি পেয়েছিল। প্রথম টাকাটি একদম দুর্বল ছিল আর দ্বিতীয় টাকাটির কথা কি আর বলি। মানুষ পারেও বটে এক টাকা ছেড়েছে বলে অন্য আরেকটি টাকা কেটে সেই টাকার নিচে লাগিয়ে দিয়েছে। হাহাহা মনে মনে ভালই হাসি পাচ্ছিল সেই টাকাটি দেখে।

Picsart_22-06-20_18-42-12-362.jpg
IMG_20220620_154312.jpg

ব্যাংকে আমি আর আমার খালাতো ভাই গিয়েছিলাম। সেখানে দুজন দাঁড়িয়ে থাকতে-থাকতে এই ব্যানারটি চোখে পড়ল। সেখানে আসল নকল টাকা চেনার উপায় উল্লেখ করা ছিল। আপনারা দেখে নিন কাজে লাগতে পারে, কারন আজকাল জালনোটের পরিমাণ অনেক বেড়ে গিয়েছে।

IMG_20220620_183828.jpg

অবশেষে অনলাইন কার্য সম্পন্ন হল। তারপর ভাউচার টি হাতে নিয়ে দেখলাম সব ঠিকঠাকই রয়েছে। তাই আর দেরি না করে ব্যাংক থেকে বেরিয়ে পড়লাম। সত্যি অন্যদিনের তুলনায় আজ অনেক তাড়াতাড়িই হয়ে গেল।

বন্ধুরা আজ তাহলে এ পর্যন্তই আপনাদের সাথে আবার দেখা হবে আমার অন্য কোন এক পোস্টে। সে অব্দি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল সকলের জন্য।



image.png

PicsArt_03-22-02.27.17.png

আমি মাহির শাহরিয়ার ইভান। আমার বাসা বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে । আমি একজন ব্লগার, ফটোগ্রাফার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। নতুন কোন বিষয়ে লিখতে এবং সবাই কে অজানা বিষয়ে জানাতে আমার ভিষণ ভালো লাগে। ছবি তুলতে, জাঙ্ক ফুড খেতে এবং ঘুরতেও আমি ভিষণ পছন্দ করি । আর আমার সব থেকে বড় শখ ছবি তোলা।

FacebookTwitterYouTube

image.png

standard_Discord_Zip.gif

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আরে মাস্ক রে তো মাছ বানিয়ে ফেলেছেন😉😉।হা হা। যাই হোক ভালো ছিলো।১০ মিনিট আগে যেয়ে যে কাজটা সম্পূর্ণ করতে পেরেছেন।তাতেই অনেক। ভালো ছিলো।ধন্যবাদ

হাহাহা ধন্যবাদ ঠিক করে নিয়েছি। ধন্যবাদ 😁

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
default.jpg

২০ টাকার নোটটি দেখে আমার ও হাসি পেলো। তবে যে এই কাজটি করেছে তার বুদ্ধির তারিফ করতে হবে।
ব্যাংকের কাজ যে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছ এটা জানতে পেরে খুশি হলাম।
অনেক সুন্দর উপস্থাপনা ছিলো। শুভকামনা রইল তোমার জন্য।

হাহাহাহা আসলেই হাস্যকর ছিলো।
ধন্যবাদ তোমার মূল্যবান মতমত দেয়ার জন্য।

আজ আমার খুবই ব্যস্ততায় দিন কেটেছে তাই ব্যাংকে গিয়ে অনলাইন করার সময় পাইনি বলে তোমাকে দিয়ে কাজটি করিয়েছি। তুমি কাজটি করেছো বলে আমার ভীষণ উপকার হয়েছে এ জন্য তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আর এই অনলাইন নিয়ে তোমার দারুন একটি পোস্ট দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। সব সময় তোমার পোস্টগুলো এবং তার উপস্থাপনা অত্যন্ত সুন্দর হয়। এভাবেই এগিয়ে যাও তোমার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

ব্যাপার না আমরা আমরাই তো ❤️
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভ কামনা রইলো।

আমার কাছেও ব্যাংকে যাওয়া খুবই বিরক্তিকর একটা বিষয়। আমি খুব বেশি দরকার না পরলে ব্যাংকে যাই না। এত লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকাটা ক্লান্তি এনে ফেলে খুব সহজেই। তবে হ্যাঁ অবশ্যই মাস্ক পরে যাবেন কিন্তু। বর্তমান পরিস্থিতিতে মাস্ক পড়ে যাওয়াই ভালো।

জি ভাই ব্যাংকে দাঁড়িয়ে থাকা সত্যিই অনেক বিরক্তিকর একটি কাজ। তবে কাল সৌভাগ্যবশত ব্যাংকে কোন ভিড় ছিল না তাই সুষ্ঠুভাবেই খুব তাড়াতাড়ি কাজটা সম্পন্ন করতে পেরেছি।

ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আজ বেশি ভোগান্তিতে পরেননি পোস্ট পড়ে জানলাম। মামার ব্যবসার টাকার বেশ ভাল ভাবেই ঝামেলাহীন ভাবে জমা করেছেন। বেশ গুছিয়ে লিখেছেন লেখাটি। ধন্যবাদ আপনাকে

হয়তো আজ শেষ সময় গিয়েছি বলে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। খুব তাড়াতাড়ি জামেলা হীন ভাবে কাজটা সম্পন্ন করতে পেরেছি।

আমি ব্যাংকে গেলে হয় কি দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয়। খুবই ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই ব্যাংকে যেতে আমার মোটেই ইচ্ছে করে না। আপনি খুব সুন্দর ভাবেই ব্যাংকের কাজটা সম্পন্ন করেছেন এবং তা তুলে ধরেছেন।

ভাই আপনার মত আমারও ব্যাংকে যেতে খুব একটা ভালো লাগে না। তবু কি আর করার কাজের জন্য যেতে। ধন্যবাদ মতামত দেয়ার জন্য।