আজ বাসায় অনেক খাটাখাটনির পর খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। এদিকে আবার বাহিরে খেতে যাওয়ার ইচ্ছা করছিল কিন্তু শরীরের সে ক্ষমতা ছিল না। বাসায় মামা-মামি এসেছে তাই আর বাহিরে না গিয়ে অনলাইনে খাবার অর্ডার করে ফেললাম। যে রেস্টুরেন্টে খাবারের অর্ডার করেছিলাম সেখান থেকে দীর্ঘ ৩০ মিনিট পর তারা কল দিয়ে বলে তাদের ডেলিভারি ম্যান এখন নেই তাই খাবারটি সেখানে গিয়েই নিয়ে আসতে হবে। এদিকে তাদের খাবারের মূল্য পরিশোধ করে দেওয়া হয়েছে, তাই ভাবলাম কিছু করার নেই খাবার নিতে যাওয়াই লাগবে। মামা বলল চলো বাইকে ঘুরে আসি বাহিরে গেলে ক্লান্তি টাও অনেকটা দূর হবে। তাই আর চিন্তাভাবনা না করে প্রস্তুত হয়ে পড়ি বাহিরে যাওয়ার জন্য।

বাসা থেকে বের হয়ে প্রথমেই সেই রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে রওনা হই। বেশিক্ষণ দেরী করলে পিজ্জা আর খাওয়ার পরিস্থিতি থাকবে না, কারণ পিজ্জার চিজ গুলো ঠান্ডা হয়ে গেলেই জমে আসে। বাসা থেকে সেই রেস্টুরেন্টের দূরত্ব মিনিট দশেকের মত। এদিকে আবার ঈদ মার্কেট শুরু হয়েছে তাই বাহিরে প্রচুর জ্যাম। নিচের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে রাস্তায় কি রকম জ্যাম ছিল।

এটা আমার বাসা থেকে বেরিয়ে মেইন রাস্তায় উঠার পরের ছবি। এদিকে খুব একটা জ্যাম ছিল না তবুও অন্য সময়ের তুলনায় রাস্তাঘাটে প্রচুর গাড়ি ছিল। সবাই ছুটছে মার্কেটের উদ্দেশ্যে। সামনে ঈদ বলে কথা নতুন জামা কাপড় তো কিনতেই হবে। দুদিন পর আমিও ঈদ শপিং করতে যাবো আপনাদের সাথে অবশ্যই আমার পোষ্টের মাধ্যমে আমার ঈদ শপিং করার অনুভূতি শেয়ার করব।

রংপুরে যারা একবার হলেও এসেছেন তারা আমার মনে হয় এই জায়গাটি অবশ্যই চিনবেন। এটা হল রংপুরের প্রাণকেন্দ্র, জায়গাটির নাম হল শাপলা চত্বর। আমরা যে রেস্টুরেন্টে যেতে চাচ্ছি সেই রেস্টুরেন্টে অন্য রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় কিন্তু আমি এই জায়গাটি ছবি তোলার জন্য মামাকে বললাম এই দিক দিয়ে যেতে। কারণ ঈদ কিংবা পূজার সময় এই জায়গাটি লাইট দিয়ে খুবই আলোকিত করা হয় আমার কাছে দেখতে বেশ ভালই লাগে।

এখনো পুরোপুরি ভাবে লাইটিং করা শেষ হয়নি শাপলার নিচের রেলিং গুলো লাইটিং করা এখনো বাকি রয়েছে। পুরোপুরিভাবে যখন লাইটিং করা শেষ হবে তখন এখানে পানির ফোয়ারা ছাড়া হবে তখন দেখতে যে কি অসাধারণ লাগে আপনাদের তা বলে বুঝাতে পারব না।

প্রায় মার্কেটের কাছাকাছি চলে এসেছি, এই জায়গাটির নাম হল জাহাজ কোম্পানি মোড় । এখানে আসলেই বোঝা যায় ঈদের মার্কেটের চাপ। লোকজন যেন মার্কেটের দিকে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে । তাড়াতাড়ি না গেলে ভাল ভাল জামা কাপড় গুলো শেষ হয়ে যেতে পারে তাই আরকি হাহাহা।

বাইক দিয়ে ঘুরে ঘুরে ছোটখাটো কাপড়ের শোরুম গুলোর দিকে তাকালাম সে দিকে একটু লোকজন কমই দেখা যাচ্ছে কারণেই শোরুমগুলোতে জামাকাপড় অনেক দামি হয়ে থাকে। এসময় তাদের শোরুমে গেলে যেন গলা টিপে মারতে চায় হাহাহা, এক বস্তা টাকা নিয়ে গেলেও তাদের ওখানে কম পড়ে যাবে। ঈদ কিংবা পুজোর সময় এই ধরনের শোরুম গুলোকে আমি একটু এড়িয়ে চলি।

ছবিগুলো দেখে কি মনে হচ্ছে বিয়ে বাড়ি? না একদমই তা না এটা আসলে একটি শপিং মল। এই শপিংমল টির নাম হল জাহাজ কোম্পানি শপিং কমপ্লেক্স। RAMC শপিং মলের পরেই এর অবস্থান, এখানে কাপড়-চোপড়সহ সব ধরনের পণ্যের মান খুবই ভালো।

তারপর কিছুক্ষন বাইক দিয়ে শহরে ঘোরাঘুরি করার পর চলে গেলাম সেই রেস্টুরেন্টে আমাদের অর্ডার করা পিজ্জাটি নিতে। সেখানে গিয়েই দেখি আমাদের পিজ্জা একদম রেডি করে রেখেছে তারা। বিল আগেই দেয়া ছিল তাই আর টাকা দেয়ার ভেজালটা নিতে হলো না। তারপর পিজ্জা এবং বিল রিসিটটি হাতে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম। আসার সময় দেখেছিলাম রাস্তায় প্রচুর জ্যাম তাই এবার আর সেই রাস্তা দিয়ে না গিয়ে অন্য একটি রাস্তা দিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।

আজ তাহলে এই পর্যন্তই, আপনাদের সাথে দেখা হবে আবার অন্য কোন একদিন অন্য কোন একটি পোস্টে। সে অব্দি সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভকামনা রইল সকলের জন্য।

---

---

ছবি তোলার মাধ্যম	Redmi 9
ছবি তুলেছে	মাহির শাহরিয়ার ইভান (@mahir4221)
লোকেশন	রংপুর, বাংলাদেশ

---

---

আমি মাহির শাহরিয়ার ইভান। আমার বাসা বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে । আমি একজন ব্লগার, ফটোগ্রাফার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। নতুন কোন বিষয়ে লিখতে এবং সবাই কে অজানা বিষয়ে জানাতে আমার ভিষণ ভালো লাগে। ছবি তুলতে, জাঙ্ক ফুড খেতে এবং ঘুরতেও আমি ভিষণ পছন্দ করি । আর আমার সব থেকে বড় শখ ছবি তোলা।

Facebook	Twitter	YouTube

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

JOIN WITH US ON DISCORD SERVER