"আসসালামু আলাইকুম" আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু আজকে আমার নতুন ব্লগ। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কলেজ থেকে পালিয়ে ফুচকা খাওয়ার অভিজ্ঞতা। তাহলে চলুন শুরু করা যাক....
প্রতিদিন কলেজে যেতাম আর যাওয়ার জন্য বাবা কিছু টাকা দিত।এখান থেকে কিছু টাকার জমিয়ে রাখতাম। কলেজে যাওয়ার জন্য কখনো রিক্সায় যেতাম কখনো হেঁটে যেতাম। যেদিন হেঁটে যেতাম সেদিন সব টাকা গুলোই বেঁচে যেতো। এভাবে বেশ কিছু টাকা জমিয়ে ফেলছিলাম। একদিন বান্ধবীরা সকলের মিলে ফুচকা খাওয়ার জন্য তৈরি হলাম। এখন ইচ্ছা করলে তো যাওয়া হয় না ।কলেজে স্যারদেরকে বললে তারা যেতে দেবে না। তাই সবাই যুক্তি করলাম যেকোনো ভাবে আজকে কলেজ থেকে পালিয়ে যাব এবং আমাদেরকে ফুচকা খেতেই হবে। সবার কাছে ফুচকা কেমন লাগে আমি জানিনা। তবে আমার কাছে ফুচকা খেতে ভীষণ ভালো লাগে । ছোট বেলা থেকেই আমি ফুচকার প্রতি আসক্ত।
এরপরে আমরা কলেজ থেকে বেরিয়ে পড়লাম । আমাদের কলেজ থেকে প্রায় দশ মিনিট দূরে একজন ফুচকা বিক্রেতা ছিল ।তিনি এত সুন্দর ফুচকা তৈরি করতেন একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা করবে। আমরা পাঁচজন বান্ধবী একত্রিত গিয়েছিলাম। আমাদের কথা ছিল, যে যতটা পারবে সে ততটাই খাবে কিন্তু আমরা ফুচকার বিল সবাই মিলে দিব। যেহেতু আমি ফুচকা খেতে বেশি পছন্দ করি ,তাই তাদের থেকে সবচেয়ে বেশি খেয়েছিলাম। একটা মজার বিষয় কি ,খেয়েছি বেশি কিন্তু টাকা লেগেছে আমার কম হাহাহাহা। আসলে টাকাটা বড় বিষয় না ,বড় বিষয় হল আমরা বেশ মজা করেছিলাম। সেখান থেকে ফুচকা খেয়ে যখন আমরা কলেজে ফিরছিলাম তখন কলেজ ছুটি হয়ে গিয়েছিল।
এরপর আমরা কলেজে না গিয়ে সরাসরি বাসায় ফিরে আসি। তার পরদিন আমাদের কলেজের একজন ম্যাডাম, তিনি আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করেছিল ওই দিনের কথা। আমরা তো শুনে অবাক হয়ে গেছিলাম ।তিনি কিভাবে জানেন এই বিষয়টা প্রশ্ন আমাদের মাথায় ঘুরপাক খেলছিল। তো আমরা তার কাছে সত্যি বলে দিয়েছিলাম ।তিনি তখন বলেছিলেন, এমন ভাবে তোমরা যাবে না ।তোমাদের যদি ইচ্ছে হয় তাহলে তোমরা অবশ্যই আমাদেরকে জানিয়ে যাবে। আর পরবর্তী যদি এ ধরনের কোন কিছু করো তাহলে তোমাদের গার্জিয়ান কে জানানো হবে। বুঝতে পারছেন বাড়িতে যদি জানানো হয় তাহলে আমাদের কি অবস্থা হবে।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে আমরা মনের মতো সেদিন ফুচকা খেয়েছিলাম ।এটা আমার একটা স্মরণীয় দিন। কারণ আমি কখনো এ ধরনের কাজ করি নাই। ওটাই আমার জীবনে প্রথম ।তাই আজকে এটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরিশেষে ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সকলেই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি মাহমুদা মিলা রত্না। আমার জন্ম ১৯ আগষ্ট ২০০২ সালে। আমার বর্তমান বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাস। আমার সব থেকে বড় শখ হলো আর্ট। এছাড়াও আমি ,কবিতা লিখতে ও আবৃতি করতে অনেক পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (১৯ - ১১ - ২০২৩) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
ফুসকা এমন একটা খাবার, এটা বোধ হয় সকলেই পছন্দ করে থাকে। আর এমনকি আমার তো আপনার পোষ্ট পড়েই জিভে জল চলে আসছে৷ তবে কলেজ ফাকি দিয়ে কোন কিছু করার উত্তেজনাও কম না! তাই হয়তো সেই স্মৃতি এতটা দাগ কেটেছে মনে। আবার পরের দিন ম্যাডামের কথায় ভয় ও পেয়েছেন 🤭
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কলেজ থেকে পালিয়ে আমরাও যে কত ঝাল মুড়ি কিংবা খাবার খেয়েছি তার কোন শেষ নেই। তবে আমিও একটা জিনিস জেনে অবাক হলাম যে, আপনার ম্যাডাম জানতে পারল কি করে এই ব্যাপারটা! আমার মনে হয় খুব সম্ভবত কেউ একজন বলে দিয়েছিল। তবে আপনারা পাঁচ বান্ধবী মিলে যে মন ভরে ফুচকা খেয়েছিলেন, এটাই অনেক বড় বিষয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ফুচকা এমন একটি খাবার যা আমরা সকলে পছন্দ করি। আর মেয়েরা তো ফুচকা দেখলে একেবারে যেন পাগল হয়ে যায়৷ তারা সেটি অবশ্যই খাবে যেকোনো ভাবেই হোক না কেন৷ আপনি কলেজ থেকে পালিয়ে ফুচকা খেয়েছেন এবং সেই মুহূর্তটি একেবারে আলাদা৷ এরকম মুহূর্ত কখনোই ভোলার র নয়৷ এই মুহূর্ত সারা জীবন আপনাদের মন থেকে যাবে৷ আপনি যেভাবে আমাদের মাঝে এটি শেয়ার করেছেন এটি আমাদেরও অনেকদিন মনে থাকবে৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit