জেনারেল রাইটিং:- আমার দেখা প্রথম সার্কাস।

in hive-129948 •  8 months ago 
"আসসালামু আলাইকুম" আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু আজকে আমার নতুন ব্লগ। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমার দেখা প্রথম সার্কাস। তাহলে চলুন শুরু করা যাক....


Source


অনেক আগের কথা তখন আমি অনেক ছোট। নারীদের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমার নানা তখন বেঁচে ছিলেন। নানা আমাকে খুব ভালোবাসতেন। যেখানে যেতাম নানা সাথে করে নিয়ে যেত। আমি মা বাবা ছোট ভাই সবাই মিলে সেখানে গিয়েছিলাম। আমার মামারা অনেক ভালো আমাকে খুব ভালোবাসে। মামারা যেখানেই যেত সেখানে পিঠে করে নিয়ে। তাদের কাছে আবদার করলে কোন কিছুই ফিরা তো না। তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করতে যতটুকু পারা যায় আমার আবদার মেটাতে। যেদিন গেছিলাম ঐদিন পাশের বাড়ি থেকে শুনে এসেছিলাম নারীদের বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে সার্কাস বসেছে। এই কথা শুনে মনের কাছে প্রশ্ন রইল এটা আবার কি? সরাসরি এসে মামাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম মামা আমাকে বলেছিল এখানে বিভিন্ন প্রকারের খেলাধুলা করে সেগুলো দেখায়। এই কথা শুনে সেখানে যার ইচ্ছা হল আমি বায়না ধরলাম সেখানে যাব। আমার কথা শুনে সেজ মামা আমাকে নিয়ে গেল।


যদিও প্রথমের দিকে নানা আমাকে নিয়ে যেতে মানা করেছিল কিন্তু আমি কান্নাকাটি করেছিলাম বলে আমাকে নিয়ে যাতে বাধ্য হয়েছিল। বেশি তো দূরে নয় হেঁটে গেলেও কম সময় লাগবে। সেই সময় সাইকেল ছিল মামা আমাকে সাইকেলে পেছনে নিয়ে যাচ্ছিল। যেতে যেতে দেখলাম অনেক মানুষ সেখানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত নিচ্ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা সেখানে পৌঁছে গেলাম যেহেতু আমার নানীর বাড়ি থেকে এটা বেশি দূরে ছিল না। সেখানে গিয়ে টিকিট কাটলাম। দুই টাকা করে টিকিট নিয়েছিল। আমি এবং মামা দুইজনার চার টাকা টিকিট নিল। এরপর আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম। বিভিন্ন রকমের মানুষ বিভিন্ন সাজে সেজেছে। তখনো খেলা শুরু হয়েছিল না আমরা যার প্রায় এক ঘণ্টা পরে খেলা শুরু হলো। বেশ আজব আজব কিছু খেলা করছিল তখন আমি ছোট ছিলাম বেশি ভালো বুঝতাম না কিন্তু এটা বুঝতে পারছিলাম যে তারা কি করছিল।


একজন আরেকজনের গায়ের উপরে দাঁড়িয়ে রিং ধরে ঝোলা ঝুলি করছিল। এরপরে রিং এর মধ্যে মাজায় পেচিয়ে কেমন করে যেন ঘুরাচ্ছিল। অনেকগুলো খেলা দেখেছিলাম প্রত্যেকটা খেলা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এটাই আমার প্রথম দেখা তাই বেশ মজা পেয়েছিলাম। ছোট ছিলাম বলেই গেছিলাম হয়তো বড় হলে যেতাম না। বানরের খেলা দেখেছিল ভেতরে। একজন লোক বানরকে কলা খেতে দিয়েছিল তার খাওয়া দেখে আমার বেশি হাসি পেয়েছিল মাঝেমধ্যে সে দাঁতগুলো নিক্সে তুলছিল। আসলে ছোটবেলা থেকে শুনতাম বানরের বুদ্ধি অনেকটা মানুষের মতো তবে এটা সত্যি। যখন কলা দিয়েছিল ভেবেছিলাম প্রশাসকসহ খেয়ে ফেলবে কিন্তু না কলার খোসা ছাড়িয়ে খেয়েছিল। দেখতে দেখতে প্রায় চারটা বেজে যায়। অনেক ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল মামাকে বলেছিলাম ক্ষুধা লেগেছে মামা বাইরে নিয়ে আসলো। সেখানে বেশ মজার মজার খাবার এসেছিল আমার প্রিয় ছোটকাল থেকে ফুচকা। এছাড়াও কিছু খেলনা সামগ্রী এসেছিল সেগুলো কিনেছিলাম। এক কথায় বেশ মজা করেছিলাম।


এটাই আমার জীবনের প্রথম কোন সার্কাস দেখা তাও আবার সেই ছোট্ট বয়সে। এর পথে কখনো আর দেখা হয়নি। তবে হ্যাঁ বলতে পারেন বানরের খেলা দেখেছি। ছোট তো বুঝতাম কম তবে একটা বিষয় বুঝতে পেরেছিলাম সেই সময় তাদের প্রশাসন গুলো ছিল কেমন যেন ভিন্ন ধরনের। অনেকটা জুব্বা কোয়ালিটির। তারা বেশ ভিন্ন ধরনের সেজেছিল। সব মিলে তাদের দেখতে অনেকটা জোকারের মতো লাগছিল। যাইহোক সেখান থেকে আমি এবং আমার মামা কিছু খাওয়া-দাওয়া করলাম কিছু কেনাকাটা করলাম। কেনাকাটা বলতে ছোট ছোট অনেক জিনিস এসেছিল খেলনা জিনিস সেগুলো আমি নিয়েছিলাম। এরপরে বিকেলের আগেই আমরা বাড়িতে চলে এসেছিলাম। আর এটাই ছিল আমার প্রথম দেখা কোন সার্কাস।


পরিশেষে ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সকলেই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।


👩‍🦰আমার নিজের পরিচয়👩‍🦰


আমি মাহমুদা রত্না। আমি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার চৌদুয়ার গ্রামের মেয়ে। আর মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার জুগীরগোফা গ্রামের বউ। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন করছি কুষ্টিয়া গর্ভমেন্ট কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে,ক্রাফট এর কাজ করতে অনেক পছন্দ করি। বর্তমানে আমি ফ্রীল্যান্সিং সেক্টরে ডিজাইন এবং এসইও পদে কাজ করছি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (১৯ - ১১ - ২০২৩) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPxFqYAEtmnwbJrshP4Tdaov4BmxkXJqLhx2USjht6Vy2soth7e34k1TKBQ2RZ2vXNJBF8X9uKH9aLNKFV...xU6W1ggWaLoBhkXz82k34bfNqfnFypapZe2oHzEHELJzLj6msr2RorLQSivfSXJaPiBZmUdQYzewFKsaGxDCyC6yRhEDYu8mNwzeEnkjmmjmpLrQEyQZKZnCTp.png

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার সার্কাস দেখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার ধরন অত্যন্ত জীবন্ত এবং আকর্ষণীয়। আপনার বর্ণনা পড়ে মনে হচ্ছিল যেন আমি নিজেই সেই সার্কাসে উপস্থিত আছি। আপনার লেখনীতে একটি সুন্দর স্মৃতির ছবি অঙ্কিত হয়েছে যা পাঠকদের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

অতি গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

ছোটবেলায় আপনার দেখা প্রথম সার্কাসের অনুভূতি পড়ে ভালোই লাগলো। ছোট হিসেবেও বেশ ভালোই মনে আছে দেখি আপনার! বেশ অনেক কিছুরই ডিটেইলস স্মৃতি চারণ করেছেন। তবে পোষ্টে নানী শব্দটা নারী হয়ে গিয়েছে দুবার, এছাড়াও শোসা, পোশাক এমন কিছু জায়গায় বানান ভুল রয়েছে আপু। দয়া করে ঠিক করে নিবেন।

ছোটবেলায় কম বেশি সার্কাস দেখার সুযোগ হতো আমাদের সবারই। তবে এখন কেন জানি খুব বেশি একটা দেখা যায় না এইগুলো। আমি তো বড় হয়ে আর সার্কাস দেখার সুযোগ কোনদিন পাইনি আপু। ছোটবেলায় লাস্ট সার্কাস দেখেছি আমি। সার্কাসে গিয়ে বানর খেলার দৃশ্যটা আমার সবথেকে বেশি ইন্টারেস্টিং লাগতো। তাছাড়া, অনেকেই বানরকে কলা কিনে দিত। তাদের কলা খাওয়ার ভঙ্গি আসলেই অনেক হাস্যকর ছিল। যাইহোক, আপনার সার্কাস দেখার এই পুরো ঘটনা গুলো পড়ে, আমার ছোটবেলায় সার্কাস দেখার কথাগুলো মনে পড়ে যাচ্ছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আসলে আমরাও এরকম ছোটবেলায় অনেক সার্কাস দেখেছি৷ তবে আমার এখন সেই কথাগুলো মনে পড়ে না৷ সে সময় এতটাই ছোট ছিলাম যে এখন কোন কিছুই মনে পড়ে না৷ তবে আপনার ছোটবেলার এরকম একটি মুহূর্ত মনে আছে এবং আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷