"আসসালামু আলাইকুম" আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু আজকে আমার নতুন ব্লগ। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি চেষ্টা করলেই সম্ভব নিয়ে কিছু কথা। তাহলে চলুন শুরু করা যাক....
আমি বর্তমানে আমার বাংলা ব্লগে লেভেল থ্রী পাস করে ফোরে রয়েছি। আস্তে আস্তে হয়তো একদিন আমি ভেরিফাইড মেম্বার হয়ে যাব। আর সেই দিনের অপেক্ষায় আমি রয়েছি। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন ছোট বাচ্চারা বাড়িতে থাকলে কাজ করা অনেক কঠিন। আরে কঠিন কাজটা সহজ করাটা অত সহজ নয়। ছেলে অথবা মেয়ে সবারই উপার্জন করা দরকার রয়েছে। নিজের জন্য নিজে পরিবারের জন্য কমবেশি যাই হোক না কেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমিও চেষ্টা করেছি। আমার বাংলা ব্লগে আমি কাজ করি পাশাপাশি আমি কিছু হাতের কাজ করার চেষ্টা করছি। আমি অনেক আগে থেকেই হাতের কাজ জানি। আরে হাতে কাজের মধ্যে রয়েছে কথা সেলাই, চিত্র অংকন, বিভিন্ন ধরনের আর্ট, আর এই আর্টের মধ্যে রয়েছে উল্লেখযোগ্য হুপ আর্ট। আমি সব সময় চেষ্টা করি বিভিন্ন ধরনের কাজগুলো করার জন্য আর এখান থেকে কিছু টাকা ইনকাম করার জন্য।
আমার জীবনের সব থেকে শ্রেষ্ঠ সময় হচ্ছে কলেজ লাইফটা। কলেজ লাইফে আমি অনেক মজা, হাসি, ঠাট্টা, আনন্দ করে কাটিয়েছি। পড়াশোনা ফাঁকে ফাঁকে ফাঁকিবাজি ও ছিলাম বেশ খানিকটা। অনেকের কাছে প্রশ্ন করলে হয়তো বলবে যে তাদের কাছে তাদের জীবনের সব থেকে শ্রেষ্ঠ জীবন হচ্ছে স্কুল জীবন। কিন্তু আমার কাছে উল্টো। আমার জীবনের কলেজ লাইফে আমি এত ইনজয় করেছি আর কখনো আমি এত ইনজয় করতে পারিনি। অনেক দুষ্টামি করেছি এই সময়। এমন অনেক দিন গেছে যে কলেজের দেওয়াল টপকে কখনো রেস্টুরেন্টে খেতে গেছি কখনো মিষ্টি পান খেতে গেছি কখনো ফুচকা খেতে গেছি বা কখনো পার্কে ঘুরতে গেছি। আমাদের একটা গ্যাং ছিল চারজন বান্ধবীর। আমরা যেখানেই যেতাম এই চারজন একসঙ্গে।
আমাদের কলেজ টা বেসরকারি কলেজ ছিল তাই ঝড়-বৃষ্টি বাদল যাই হোক না কেন কলেজে প্রেজেন্টেন্স দেওয়াই লাগবে। বৃষ্টির দিনেও আমরা কলেজে এসে উপস্থিত কলেজের ফ্লিড তো পানিতে টইটুম্বুর। আমাদের মাথাতেও পানি দেখে বুদ্ধিতে গিজগিজ করা শুরু করে দিল। দুষ্টামি ফাঁদতে শুরু করে ফেললাম। আমাদের চার বান্ধবীর মধ্যে একজন বান্ধবী ছিল একটু ডাকাত টাইপের। সেই সময় আমাদের কলেজের গাছের আম গাছগুলোতেও বেশ আম ধরেছিল। আমগুলো বেশ বড় বড় হয়ে গিয়েছিল। যেই ভাবা সেই কাজ এখন যদি আমরা ওই আম চুরি করতে যাই তাহলে কোন টিচারই আমাদের কিছু বলতে পারবে না। কারণ এমন ঝুম বৃষ্টি হয়েছিল যে তারা অফিস থেকে আমাদের রুম পর্যন্ত আসতেই পারবে না এমনকি দেখতেও পারবে না। তো আমাদের যেই ডাকাত বান্ধবী ছিল তাকে চড়িয়ে দিলাম গাছে। সে তো গাছ থেকে আম পেড়ে আসতে গিয়ে একেবারে ভিজে একাকার। বৃষ্টিতে আমরা সেদিন এমন ভেজা ভেজেছিলাম একেবারে কাক ভেজা। তারপর আর কি করার জামা কাপড় তো নেই সব তো ভিজে শেষ। যেভাবে হোক এবার বাড়ি ফিরতে হবে। কিন্তু কলেজ ছুটি দেওয়া অনেক দেরি চারজন মিলে ঠিক করলাম দেওয়ার টপকে যেভাবেই হোক বাড়ি পৌঁছাতে হবে। সেই প্রথম আমরা কলেজের দেয়াল টপকানো শুরু করি এরপর থেকে রোজই চলতে প্রায়।
আর একদিনের ঘটনা আমরা চার বান্ধবী মিলে ঠিক করলাম আমরা হরিপুর ব্রিজের পার্কে যাব। কিন্তু কলেজে পড়ে আমাদের বাড়ি থেকে যেতে দেবে না এই জন্যই আমরা কলেজে ক্লাস মিস করে কলেজ থেকে পালিয়ে সেই বাঁধে গিয়েছিলাম। সেখানে অবশ্য আমরা অনেক মজা করেছিলাম। ছাদ থেকে মজা হয়েছিল কলেজের দেয়াল টপকানোর সময়। কারণ প্রায়শই বৃষ্টি হতো দেওয়াল পিছলা হয়ে থাকতো। তাহলে পা দিলেই পা পিছায় যেত। আমার এক বান্ধবী তো এপার থেকে ওপারে যেতে কে ধিম করে পড়ে যাই। সেই নিয়ে কি হাসাহাসি। আসলেই দিনগুলো অনেক মজার ছিল। এসব দিনগুলো আর কখনোই ফিরে পাওয়া যাবে না জীবনে। শুধুই স্মৃতি হয়ে স্মৃতির পাতায় থেকে যাবে আজীবন। সংসার জীবনে অবসরে যখন বসব স্মৃতির পাতাগুলো নিয়ে। তখন সেই ধুলো জমা বাক্স থেকে এই স্মৃতিগুলো ভেসে উঠবে মনের কোণে। আর এগুলো স্মৃতিচারণ করে কেটে যাবে সেই অবসর সময়টা। সেসব দিনের এই হাসি আনন্দের কাটানো দিনগুলো যখন মনে উঠবে ঠোঁটের কোনে এমনি হাসি চলে আসবে। এখনো বারবার মনে হয় যদি আবার ফিরে পেতাম সেই হারানো দিনগুলো। এখনকার এই বদ্ধ জীবনের সংসারের গ্যারাকল সবকিছু ছাপিয়ে সেই দিনগুলো ফিরে যেতে বড্ড ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে আবার সেই কলেজের পুরনো রুমে পুরনো বেঞ্চে বসে ক্লাসের টিচারের লেকচার শোনা বাদ দিয়ে বান্ধবী মিলে গল্প করা আড্ডা দেওয়া বিস্কিট খাওয়া কিংবা যার ফোন আছে তার ফোনে টিকটক দেখা। আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সে পুরনো দেয়াল টার কাছে। বৃষ্টির পানিতে পা ভেজাতে ঘাসের জলে। টিচারের বকুনি মার সবই এখন পেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু তা সবই আজ অসম্ভব।
পরিশেষে ভুল ত্রুটি থাকলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সকলেই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
👩🦰আমার নিজের পরিচয়👩🦰
আমি মাহমুদা রত্না। আমি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার চৌদুয়ার গ্রামের মেয়ে। আর মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার জুগীরগোফা গ্রামের বউ। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন করছি কুষ্টিয়া গর্ভমেন্ট কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে,ক্রাফট এর কাজ করতে অনেক পছন্দ করি। বর্তমানে আমি ফ্রীল্যান্সিং সেক্টরে ডিজাইন এবং এসইও পদে কাজ করছি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (১৯ - ১১ - ২০২৩) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR